<p style="text-align: center;"><strong>অধ্যায়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>প্রথম অধ্যায় </strong></p> <p><strong>১। ‘তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে একজন কর্মী তার কর্মে অনেক দক্ষ হয়ে ওঠে’ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।</strong></p> <p><strong>উত্তর :</strong> তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এর বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো স্বয়ংক্রিয়করণ এবং প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে কিছু কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে বা বেশ কিছু কাজের ধারা পরিবর্তন হয়েছে বটে, তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য কর্মীরা নিজেদের ক্রমাগত দক্ষ করে নেয়, ফলে দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচিগুলোতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে।</p> <p>অধ্যাপক ড. ইকবাল কাদিরের মতে, প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়লে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ে। ফলে তৈরি হয় নতুন নতুন কর্মোদ্যোগ। ফলাফল নতুন কাজের সুযোগ।</p> <p>তাই তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানই কম কর্মী দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে নিতে পারে।</p> <p> </p> <p><strong>২। বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বিস্তার কিভাবে নতুন কর্মসৃজনের দিগন্ত উন্মোচন করেছে? সংক্ষেপে লেখো।</strong></p> <p><strong>উত্তর :</strong> বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বিস্তার নতুন কর্মসৃজনের দিগন্তু উন্মোচন করেছে। যেমন—</p> <p>ক) মোবাইল কম্পানিতে কাজের সুযোগ : মোবাইল ফোনের বিস্তারের ফলে দেশের সব মোবাইল অপারেটর কম্পানিতে কাজের পরিধিও অনেক বেড়েছে। ফলে প্রতিটি অপারেটর কম্পানিতে বিলুলসংখ্যক কর্মসংস্থান হয়েছে।</p> <p>খ) মোবাইল ফোনসেট বিক্রয়, বিপণন ও রক্ষণাবেক্ষণ : দেশের প্রায় ১২ কোটি মোবাইল গ্রাহককে মোবাইল ফোনসেট সরবরাহ, সেগুলোর বিপণন, বিক্রয় এবং পরবর্তীকালে বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য বিপুল পরিমাণ কর্মীর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।</p> <p>গ) মোবাইল সেবা প্রদান : মোবাইল ফোনে বিল পরিশোধের জন্য দেশে প্রতিনিয়ত বিল পরিশোধ কেন্দ্র বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া মোবাইলে নতুন নতুন সুবিধা যুক্ত হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে অঞ্চলভিত্তিক সেবাকেন্দ্র। এর ফলেও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে।</p> <p>ঘ) নতুন খাতের সৃষ্টি : মোবাইল প্রযুক্তি বিস্তারের ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতো অসংখ্য নতুন খাতের সৃষ্টি হয়েছে, যার মাধ্যমে অনেক নতুন কর্মপ্রত্যাশীর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।</p> <p> </p> <p><strong>৩। আইসিটি প্রয়োগের ফলে ব্যবসায়ে কী কী সুবিধা অর্জিত হয়?</strong></p> <p><strong>উত্তর :</strong> ব্যবসা ক্ষেত্রে আইসিটি ব্যবহারের সুবিধা নিচে দেওয়া হলো—</p> <p>১. কম সময়ে অধিক পরিমাণ কাজ করা যায়।</p> <p>২. মজুদ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিশেষায়িত সফটওয়্যার কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মজুদের হালনাগাদ তথ্য জানা যায়। ফলে সে অনুযায়ী উৎপাদনের ব্যবস্থা করা যায়।</p> <p>৩. উৎপাদন স্বয়ংক্রিয়করণসহ আইসিটি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হলে কম সময়ে অধিক উৎপাদন করা যায়।</p> <p>৪. কর্মীব্যবস্থাপনায় তথ্য-প্রযুক্তির প্রয়োগ উৎপাদন গতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়।</p> <p>৫. ই-মেইল ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবসা ক্ষেত্রে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।</p> <p>৬. ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্যের খবর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে, সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এতে পণ্যের প্রচারে সহায়তা পাওয়া যায়।</p> <p>৭. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মৌখিক যোগাযোগ ও ভিডিও কনফারেন্সিং সুবিধা পাওয়া যায়।</p> <p> </p> <p><strong>৪। যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।</strong></p> <p><strong>উত্তর :</strong> তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে সবচেয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন হচ্ছে যোগাযোগ। প্রাচীনকালে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল—ঘোড়া, পায়ে হেঁটে বা বিভিন্ন পোষা প্রাণীর মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে যোগাযোগব্যবস্থা এমন যে পুরো পৃথিবীটা এখন হাতের মুঠোয়, যাকে বলে গ্লোবাল ভিলেজ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যেসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে তা হলো—</p> <p>১. টেলিফোন : টেলিফোন আবিষ্কারের ফলে যোগাযোগব্যবস্থা অনেক সহজ হয়, যার ফলে যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে নিমেষেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে।</p> <p>২. মোবাইল : মোবাইল আবিষ্কারের ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো জায়গায় বসে পৃথিবীর যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে। বর্তমান স্মার্টফোন আবিষ্কারের ফলে তা দিয়ে ভিডিও কলও করতে পারছে। এ ছাড়া ই-মেইল, চ্যাট, ফেসবুক ব্যবহার করে যোগাযোগ সম্পন্ন করছে।</p> <p>৩. কম্পিউটার : কম্পিউটার আবিষ্কারের ফলে যোগাযোগব্যবস্থা আরো এক ধাপ এগিয়ে যায়। যেমন—ই-মেইল, ভিডিও চ্যাটিং, স্কাইপিং সামাজিক নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ সহজতর হচ্ছে।</p> <p>পরিশেষে বলা যায়, যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান অনস্বীকার্য।</p>