<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২০০৭ সালের ১৯ জানুয়ারি বিডিনিউজ২৪ডটকমে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উলফা কমান্ডার অ্যাডমিটস অ্যাটাকিং হাসিনা র‌্যালি ইন ২০০৪</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিডিনিউজের ভারতের গুয়াহাটি প্রতিবেদক স্মিতা মিশ্রর লেখা ওই প্রতিবেদনে আসাম পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান খগেন শর্মাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, পল্লব সইকিয়া নামের এক উলফা জঙ্গি আসাম পুলিশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আইবির জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, উলফার সামরিক শাখার প্রধান পরেশ বড়ুয়ার নির্দেশে তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা করেন। পল্লব সইকিয়া ২০০৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর শিলংয়ে গ্রেপ্তার হন। তিনি আসাম পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং ভারতের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানান, উলফার সামরিক শাখার প্রধান পরেশ বড়ুয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশনায় এই হামলা চালানো হয়। তার নেতৃত্বে উলফার ১১ জন যোদ্ধা গ্রেনেড ও অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে ওই হামলা চালান। ঢাকার গুলশানের একটি বাড়িতে বসে পরেশ বড়ুয়া ওই বছরের ২৬ জুলাই হামলার পরিকল্পনার কথা বলেন। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা ওই হামলা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন, তবে পল্লব সইকিয়া তাদের চেনেন না।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পল্লব সইকিয়া জানান, হামলায় তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন রুবুল আলী। রুবুল ২০০৬ সালের মে মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক সংঘর্ষে মারা যান। ২১ আগস্টে হামলাকারী উলফার ১১ জনের মধ্যে ছয়জন ওই সময় জীবিত ছিলেন বলেও দাবি করেন পল্লব।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিডিনিউজকে বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো বাহিনী চাইলে পল্লবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। তবে যাতে কোনো ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়, সে জন্য তারাও ওই সময় থাকতে চান। চাইলে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলও তাকে জেরা করতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে পল্লবের দেওয়া ওই তথ্য অস্বীকার করে উলফা। উলফার মুখপাত্র রুবি ভুঁইয়া বিডিনিউজকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি হয়তো প্রলাপ বকছেন, নয়তো তাকে চাপ দিয়ে এসব বলতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা অন্য কোনো দেশের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমরা আসামকে ভারতের ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে সংগ্রাম করছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিডিনিউজে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদপত্রেও প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে ডেইলি স্টারের শিরোনাম ছিল, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আগস্ট ২১ গ্রেনেড অ্যাটাক উলফা লিডারস লেটেস্ট ক্লেইম মেকস ইট মোর ইনট্রিগুইং</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">। প্রথম আলো এই খবর যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয়। তাদের নয়াদিল্লি প্রতিনিধি গুয়াহাটি, কলকাতা ও নয়াদিল্লিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র এবং সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে জানান, গ্রেপ্তার হওয়া উলফা অধিনায়ক (ক্যাপ্টেন) পল্লবের এই স্বীকারোক্তির সত্যতা পাওয়া গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জিজ্ঞাসাবাদে পল্লব জানিয়েছেন, তিনি ১৯৮৮ সালে উলফায় যোগ দেন। আসাম পুলিশ ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে পল্লব সইকিয়া তার নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া আরো ১১ জন উলফা জঙ্গির নাম বলেন। তারা হলেন রুবুল আলী, বিশ্বেশ্বর গোহাই, লক্ষ্যজিৎ বরপুজারী, টিকলু শর্মা, রাজধর বড়ুয়া, রূপক বুজার বড়ুয়া, জয়ন্ত ইংটি, গকুল রাভা, রমেশ বরকাকোতি, শহীদ আলী ও বিপ্লব সইকিয়া।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার চার দিন পর ২০০৪ সালের ২৫ আগস্ট ভারতের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এসংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, উলফার চিফ কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার একটি গোপন বার্তা নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদানের সময় ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে পৌঁছায়। ওই বার্তায় পরেশ বড়ুয়া তার লেফটেন্যান্ট রাজু বড়ুয়াকে নির্দেশ দেন, যাতে মায়ানমারে থাকা উলফার ১০৯ ব্যাটালিয়ন থেকে ১৫ জন ভালো যোদ্ধাকে পাঠানো হয়। এসব যোদ্ধাকে গারো পাহাড়ে উলফার ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পল্লব সইকিয়ার কাছে প্রথম রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় গিয়ে পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করার কথা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বার্তা পর্যালোচনা করে ভারতীয় গোয়েন্দাদের এই ধারণা হয় যে পরেশ বড়ুয়া দুটি কারণে ১৫ জন যোদ্ধা চেয়ে পাঠাতে পারেন। ১. তার নিজের নিরাপত্তার জন্য; ২. তিনি বড় কিছু করার পরিকল্পনা করছেন, যার জন্য দক্ষ যোদ্ধা দরকার। ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলার পর উলফার প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ বাড়ে। কারণ এ ধরনের বড় জনসমাবেশে গ্রেনেডের মতো সমরাস্ত্র ব্যবহার করে আক্রমণ করার মতো দক্ষ জনবল উলফার আছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে দেশের সাবেক একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার মতে, ২১ আগস্টের ওই হামলায় উলফার সংশ্লিষ্টতার খবরের সূত্র ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা; নিরপেক্ষ কোনো সূত্রের তথ্য নয়। ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং তার পরের আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এমন তথ্যও প্রকাশ পায়নি।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>