গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে দেশ উত্তাল

  • ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক
  • মুসলিম বিশ্ব, ওআইসি ও জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা
  • আজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ। ছাত্রশিবিরের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি
শেয়ার
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে দেশ উত্তাল
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন (বাঁয়ে) এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি : শেখ হাসান ও মোহাম্মদ আসাদ

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের ব্যাপক বোমা হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার নো ওয়ার্ক নো স্কুল আনটিল জেনোসাইড স্টপ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ, মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। শিক্ষার্থী ছাড়াও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। এতে উত্তাল হয়ে পড়ে সারা দেশ। বিক্ষোভ থেকে গাজায় হামলা ও নির্বিচারে গণহত্যা বন্ধ, ইসরায়েলের বিচারের দাবি জানানো এবং ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়।

বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন জায়গায় কেএফসি ও পিত্জা হাট ভাঙচুর করেছে। পেপসি, কোকা-কোলা বর্জনের অংশ হিসেবে এসবের সাইনবোর্ডও ভাঙচুর করা হয়।

গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিক্ষোভে নেমে পড়ে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরে এবং গাজার জনগণের প্রতি সহমর্মিতা ও সংহতি প্রকাশ করে।

এই বর্বরতার বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্ব, ওআইসি ও জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পালিত হয় নো ওয়ার্ক নো স্কুল কর্মসূচি। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ করে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের জমায়েত দেখা যায়।

রাজধানীতে বিক্ষোভ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকাল থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। রাজু ভাস্কর্যে ও টিএসসি এলাকায় সমাবেশ হয়।

রাজু ভাস্কর্যের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে অংশ নেন। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। অ্যাপ্রন পরে চিকিৎসকদের এই মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়।

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সকাল ১১টার দিকে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীসহ হাজারো মানুষ অংশ নেয়।

ঢাকার রাজপথে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তাঁরা রাজপথে নেমে আসেন শো ইসরায়েল দ্য রেড কার্ড প্ল্যাকার্ড হাতে।

সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা মধ্য বাড্ডা ও উত্তর বাড্ডা এলাকার সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

প্রায় একই সময়ে আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা রামপুরা ব্রিজসহ আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। একই এলাকায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে এই মিছিল বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে সমাবেশে মিলিত হয়। শিক্ষার্থীদের এই সমাবেশে শিক্ষক, কর্মকর্তারাও অংশ নেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে গতকাল সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।

সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ), ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে এই সমাবেশে যোগ দেয় হাজারো মানুষ। ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ শেষে বিকেল ৫টার দিকে একটি প্রতিবাদ মিছিল মানিক মিয়া এভিনিউ দক্ষিণ করে।

মিরপুর, উত্তরা, বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলকায়ও বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরে এবং গাজার জনগণের প্রতি সহমর্মিতা ও সংহতি প্রকাশ করে। বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার : ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এলাকায় বিক্ষোভ হওয়ায় এই দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এলাকাটিতে পুলিশের পাশাপাশি অবস্থান নেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, এপিবিএন, এসবি, সিআইডি, পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে গুলশান এলাকায় থাকা অন্য দূতাবাসগুলোতেও। বিক্ষোভের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।

ঢাকার বাইরে বিক্ষোভ : ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, যশোর, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, কুড়িগ্রাম, খাগড়াছড়ি, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। বিক্ষোভ সমাবেশে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ ছিল। পুরো সিলেট যেন একটা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।

রাজশাহীতে সকাল থেকে নগরজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পৃথকভাবে এই আন্দোলনে অংশ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী মুহাম্মদীয়া যুব সুন্নীর শিক্ষক-কর্মচারী-ছাত্রছাত্রীসহ মুসল্লিরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুরো প্যারিস রোডকে একখণ্ড ফিলিস্তিন হিসেবে ফুটিয়ে তোলেন। রাজশাহীর প্রায় ১০টি স্থানে বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একই কর্মসূচি পালন করে।

সারা দেশে আজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ : ফিলিস্তিনের শহীদ ও যুদ্ধাহতদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা কর্মসূচিতে সংহতি জানানোর জন্য এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। গত রবিবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরও সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান এবং দুপুর ১২টায় প্রতিটি শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মিছিলসহকারে উপস্থিত হয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রে সম্মিলিত বিক্ষোভ সমাবেশ করা।

ছাত্রশিবিরের কর্মসূচি : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এ বিষয়ে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গত সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তাঁদের ঘোষিত কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে ৮ এপ্রিল দেশের সব মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, ৯ এপ্রিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ভবনের ছাদে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সলিডারিটি উইথ প্যালেস্টাইন কর্মসূচি পালন, ১০ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া, ১১ এপ্রিল জেলা পর্যায়ে ম্যাস মুভমেন্ট কর্মসূচি পালন এবং ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল সপ্তাহব্যাপী অনলাইন ক্যাম্পেইন ইকোস অব গাজা কর্মসূচি পালন।

ঢাবি শিক্ষকদের সাদা দলের বিবৃতি : ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অবিলম্বে গণহত্যা ও জবরদখল বন্ধে দখলদার বর্বর ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। একই সঙ্গে নো ওয়ার্ক নো স্কুল আনটিল জেনোসাইড স্টপ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনের ছয় দফা দাবি : ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে পাসপোর্টে ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী দেশ আখ্যায়িত করে পুনরায় ইসরায়েল প্রবেশ নিষিদ্ধ চাওয়া; ইসরায়েল ও তাদের মিত্রদের সব পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা; ইসরায়েল ভ্রমণ আছে এমন ব্যক্তিদের বিমানবন্দরে বিশেষ জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা এবং ফিলিস্তিনের অনুদান পাঠানো সব পণ্য শুল্কমুক্ত ঘোষণা। এ ছাড়া এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জবি উপাচার্যের : ইসরায়েলের সব পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রেজাউল করিম। সেই সঙ্গে দেশি পণ্য ব্যবহার করে গাজাবাসীর জন্য আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীনের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক বক্তব্য দেন।

ডিআরইউর প্রতিবাদ ও নিন্দা : ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। পাশাপাশি জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ সারা বিশ্বের সব মানুষকে ইসরায়েলের এই গণহত্যা বন্ধের জন্য সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিআরইউ। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ আহ্বান জানান।

গাজায় হামলার প্রতিবাদে দেশজুড়ে নিন্দা বিক্ষোভের ঝড়

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে দেশ উত্তাল

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা (বাঁয়ে) এবং মহাখালী থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত।

 

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে দেশ উত্তাল

শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এনসিপি (বাঁয়ে), ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ও বুয়েটে (ডানে) বিক্ষোভ।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে দেশ উত্তাল

মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে (বাঁয়ে) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল।

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে দেশ উত্তাল

চট্টগ্রাম (বাঁয়ে), কক্সবাজারে কেএফসি, পিৎজা হাটে ভাঙচুর ও রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সামনে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ (ডানে)।   ছবি :  কালের কণ্ঠ

 

 

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ

যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪%, জবাবে চীনের ৮৪%

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪%, জবাবে চীনের ৮৪%

কয়েক ডজন দেশের ওপর চাপানো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক গতকাল বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে চীনের পণ্যে আরোপিত ১০৪ শতাংশ শুল্কও রয়েছে।

এদিকে চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্কারোপের জবাবে এবার সব ধরনের মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার থেকে নতুন এই শুল্ক কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে চীন সরকার।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২ এপ্রিল বিশ্বের প্রায় সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। ওই দিন বাংলাদেশি পণ্যেও ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়। ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কের একাংশ সেদিনই কার্যকর হয়ে যায়। বাংলাদেশসহ বাকি অংশ গতকাল থেকে কার্যকর হলো।

বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধের আঁচ

এদিকে বিশ্লেষকদের মতে এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে পুরোদমে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, চীন পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের এই ঘটনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে আবারও বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিষয়টি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করছেন তাঁরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিলেও বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এড়ানো যায়নি।

ট্রাম্পের এই শাস্তিমূলক শুল্ক কয়েক দশক ধরে বিরাজমান বিশ্ব বাণিজ্যের ধারায় ভূমিকম্প ঘটিয়েছে।  বিশ্বব্যাপী মার্কিন পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার প্রথমদিনেই এর আঁচ লেগেছে বিশ্ববাজারে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। গতকাল ব্রেন্টের অপরিশোধিত তেলের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে বিক্রি হয়েছে, যা করোনাকালে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর সর্বনিম্ন। বিশ্লেষক অ্যাশলে কেলি বলছেন, হোয়াইট হাউস চায় তেলের দাম আরো কমে যাক।
কারণ এটাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে।

ট্রাম্পের চালু করা নতুন শুল্কের ধাক্কায় শেয়ারবাজারেও উথালপাথাল দেখা যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে দরপতন হচ্ছে। গতকাল সকালে এশিয়ার শেয়ারবাজারে আবারও পতন হয়েছে। মূলত ট্রাম্প চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্কের জবাবে চীনের পণ্যে অতিরিক্ত, অর্থাৎ মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘটনার জেরে গতকাল সকালেই এশিয়ার শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে।

এরপর ইউরোপের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পর পরই সূচকের পতন হয়। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক আঞ্চলিক সূচক প্যান-ইউরোপীয় স্টকস ৬০০ কমেছে ৩.৪ শতাংশ। আঞ্চলিক এই সূচকের অন্তর্ভুক্ত সব খাতের শেয়ারের দামেই নেতিবাচক প্রবণতা চলছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবা, খনি ও তেল ও গ্যাস খাতের সূচকগুলো ব্যাপক হারে পড়ে গেছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, খনি, তেল ও গ্যাস খাতের শেয়ারের দাম যথাক্রমে ৫.৩ শতাংশ, ৩.৩ শতাংশ ও ৪.৬ শতাংশ কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে অন্যান্য বাজারেও। মন্দা দেখা দেবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোর বিপরীতে কমেছে ডলারের দাম।

এদিকে বিশ্ববাজারে গতকাল সোনার দাম বেড়েছে। অবশ্য ২ এপ্রিলে সোনার দাম পড়ে গিয়েছিল।

বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া

চীন জানিয়েছে, এই দ্বন্দ্ব্ব সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক। এই লক্ষ্যে চীন গতকাল বাণিজ্য বিষয়ক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। শ্বেতপত্রে চীন বলেছে, চীন সব সময়ই চেষ্টা করেছে, মার্কিন-চীন বাণিজ্য যেন সব সময় উভয়ের জন্য লাভজনক হয়। শ্বেতপত্রে আরো বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টা শুল্কের বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থা, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হবে।

এদিকে ট্রাম্পের চাপিয়ে দেওয়া শুল্কের ধাক্কা সামাল দিতে ভিয়েতনাম, ইসরায়েল, আর্জেন্টিনার মতো কিছু দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কম করেছে। ভারতও কিছু পণ্যে শুল্ক কম করেছে।

তবে ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কারোপের প্রতিক্রিয়ায় এবার পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপের ২৭টি দেশের এই জোট যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন, মোটরসাইকেল ও সৌন্দর্যপণ্যেও পাল্টা শুল্ক আরোপের বিষয়টি গতকাল অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কয়েকটি যানবাহনের ওপর গতকাল থেকে ২৫ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করেছে কানাডা।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। বিশেষ করে, চীনা পণ্য আমদানির ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করাটা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের রীতির মধ্যে পড়ে না বলে মনে করে দেশটি।

 

মন্তব্য

রাজশাহীর নবগঙ্গা পদ্মার পার থেকে তোলা

শেয়ার
রাজশাহীর নবগঙ্গা পদ্মার পার থেকে তোলা
একসময়ের প্রমত্তা পদ্মার রূপ এখন আর নেই। পানি শুকিয়ে কঙ্কালসার অবস্থা। জেগেছে ছোট-বড় অসংখ্য চর। অনেক জায়গায় নৌকা লাগে না, হেঁটেই পার হওয়া যায় নদী। রাজশাহীর নবগঙ্গা পদ্মার পার থেকে তোলা। ছবি : সালাহ উদ্দিন
মন্তব্য
সালাহউদ্দিন আহমদ

ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদে একমত নয় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদে একমত নয় বিএনপি
সালাহউদ্দিন আহমদ

রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদ-এর সঙ্গে একমত নয় বিএনপি। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন খবর প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিষয়টি পরিষ্কার করেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেড শিটের ৫, ৬ ও ৭-এ সংবিধানের মূলনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে বহুত্ববাদের কথা বলা হয়েছে, সাম্য-মানবিক মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বহুত্ববাদসহ অন্য বিষয়গুলোর সঙ্গে বিএনপি একমত নয়।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিগুলো সংবিধানের ৮, ৯, ১০ এবং ১২এই অনুচ্ছেদগুলোতে বিধৃত আছে। সেই অনুচ্ছেদগুলোর বিষয়ে সংস্কার কমিশনে সুপারিশ করা হয়েছে যে তারা এই বিষয়গুলো পুনস্থাপন করতে চেয়েছে। যেমনএকটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি বিলুপ্ত করা হোক। আমরা সেখানে বলেছি, এটাতে (ধর্মনিরপেক্ষতা) একমত নই।

কিন্তু কী কী চাই সেটাও আমরা বলেছি।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন,  আমরা চেয়েছি, পঞ্চম সংশোধনীতে যেটা গৃহীত হয়েছে, সেটা পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বাবস্থা, সেটা বহাল করা হোকআমরা চেয়েছি। কিন্তু সবাই মনে করেছে, ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিলের কথা বলেছি। বিষয়টা তা নয়।

আমরা পরিষ্কার করার জন্য বলেছি, আপনাদের (সংস্কার কমিশনের) প্রতিস্থাপন বহুত্ববাদসহ অন্যান্য বিষয় এক সঙ্গে আসতে হবে। অর্থাৎ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র অর্থাৎ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার’—এ বিষয়গুলো রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গণ্য হবে। যেটা গৃহীত হয়েছিল বাকশাল বিলুপ্তির পরে। আশা করি এ নিয়ে আর কোনো বিভ্রান্তি থাকবে না।

রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধানের মূলনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বিষয়ে কথা বলছি।

আমরা উপরাষ্ট্রপতি, উপপ্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব করেছি, দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাব করেছি, উভয় কক্ষে ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে নিয়ে আসার প্রস্তাব করেছি। আমরা রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রস্তাব করেছি, নতুন করে কিছু ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করেছি, সংসদে সংরক্ষিত ৫০ মহিলা আসন থেকে ১০০-তে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছিএ ধরনের অনেক প্রস্তাব করেছি।

 

মন্তব্য

দুদকে ‘অতিগোপনীয়’ অভিযোগ নিয়ে হাসনাত-সারজিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুদকে ‘অতিগোপনীয়’ অভিযোগ নিয়ে হাসনাত-সারজিস

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সেখানে তাঁরা লিখিতভাবে কিছু অভিযোগ জানিয়েছেন।

গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এই দুই নেতা সাক্ষাৎ করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

সাংবাদিকদের হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা কিছু অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে এসেছি। অভিযোগগুলো আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেরি কনফিডেনশিয়াল (অতিগোপনীয়)। কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে হাসনাত বলেন, কনফিডেনশিয়াল বিষয় বলে দিলে তো আর কনফিডেনশিয়াল থাকল না।

এ ছাড়া অপরাধীরা এতে সতর্ক হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে দুদককে ব্যবহার করে অনেকে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। অনেক সাধারণ মানুষকে আবার বিনা অপরাধে হয়রানি করা হয়েছে। এ সময়ে এসেও এখন আমরা সেটি প্রত্যাশা করি না।

আমাদের কিছু অভিযোগ ছিল, সেটি জানাতেই এখানে এসেছি। এর বেশি কিছু বলছি না এখন।

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ