অন্য জীবন

১১ ফুটবলকন্যা গড়া এক বীর

  • পিন্টু রঞ্জন অর্ক
শেয়ার
১১ ফুটবলকন্যা গড়া এক বীর
২০১৩ সালে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এ সেমিফাইনালে জয়ের পর বীর সেনের কাঁধে ঋতু পর্ণা চাকমা। ছবি : সংগৃহীত

পাঁচতারা হোটেলের চোখ-ধাঁধানো আলোয় কিছুটা যেন অস্বস্তি লাগছিল বীর সেনের। আগে কখনো এমন অভিজ্ঞতা হয়নি! তবে মঞ্চ থেকে ঘোষণা আসার পর সপ্রতিভ দেখা গেল তাঁকে। তাঁর ছাত্রী বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের ফুটবলার ঋতু পর্ণা চাকমা এবার হয়েছেন ‘বর্ষসেরা নারী ফুটবলার’। কিন্তু ভুটানের নারী লিগে খেলতে গেছেন বলে ‘কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেননি তিনি।

ঋতু পর্ণার হয়ে সেই পুরস্কার নিলেন বীর সেন। মঞ্চ থেকে নামতে যাবেন এমন সময় উপস্থাপক বললেন, ‘আপনি একটু থাকুন।’

‘কেন?’

জবাব পেতে অবশ্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। ‘তৃণমূল সংগঠক’ হিসেবে পুরস্কার পেলেন তিনি।

তবে নিজের চেয়ে শিষ্যের অর্জনে বেশি গর্বিত বীর সেন, ‘আমি বরং খুশি হয়েছি ঋতু পর্ণা পুরস্কার পেয়েছে বলে।’

গতকাল শুক্রবার এই পুরস্কার পাওয়ার পর হোয়াটসঅ্যাপে কথা হলো ঋতু পর্ণার সঙ্গে। তিনি বললেন, ‌‌‘জাতীয় দলে খেলা দূরে থাক, উনি (বীর সেন) না থাকলে ফুটবলার হতে পারতাম না। সব সময় তিনি আমাদের মাথার ওপর ছায়ার মতো থেকেছেন।

বিকেএসপিতে ভর্তির সময় ৬০ হাজার টাকার মতো লেগেছিল। তিনি জোগাড় করে দিয়েছিলেন।’

শুধু ঋতু পর্ণা নন, রূপনা, মনিকা, আনাই মগিনী, আনুচিং মগিনীসহ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক ও বর্তমান অন্তত ১১ জন খেলোয়াড় উঠে আসার নেপথ্যে এই বীর সেন। পিছিয়ে পড়া মেয়েদের ফুটবলার হয়ে ওঠার জন্য কোচ, পুষ্টিকর খাবার, আবাসিক ক্যাম্প, যাতায়াত ভাড়া, জার্সি, বুটসহ খেলার সরঞ্জাম—হেন বিষয় নেই, যার দায়িত্ব নেননি বীর সেন। সেই অবদানেরই স্বীকৃতি মিলল গতকাল।

শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন : রাঙামাটির কাউখালীর ঘাগড়া ইউনিয়নের রাজখালী গ্রামে জন্ম। দীর্ঘদিন ধরে থাকেন মঘাছড়িতে। পোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে এসএসসি ও রাঙামাটি সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। একই কলেজ থেকে পরে স্নাতকও সম্পন্ন করেছেন।

১৯৮৭ সাল। সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলেন ঘিলাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মঘাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন ১৯৯১ সালে। মাঝখানে আরো দুটি বিদ্যালয় হয়ে ১৯৯৯ সালে আবার আসেন মঘাছড়িতে। এবার প্রধান শিক্ষক। শুরু থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় আগ্রহী করে তোলেন। সহযোগিতা করতেন ক্রীড়া শিক্ষক ধারশ মনি চাকমা।

কুঁড়ি থেকে ফুল : ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ছেলেদের নিয়ে উপজেলায় রানার্স আপ হলেন। পরের বছর ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’। সেবার অনেক কষ্টে ১৭ জন খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজারসহ ২০ জনের মঘাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টিম দাঁড় করালেন। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে সেবারই এই মেয়েদের প্রথম অংশগ্রহণ। কিন্তু মঘাছড়ি ফুটবল টিমকে করতে চেয়েছিলেন দেশসেরা। পাহাড়ের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা হাজারো কুঁড়ি ফুল হয়ে ফুটেছে বীর সেনের যত্ন ও পরিচর্যায়।

এখন মানুষ আনুচিং মগিনী, আনাই মগিনী, মনিকা চাকমা, চাথুইমা মারমা, মাউচাই মারমা, নদী চাকমা ও সিবলী তালুকদারকে চেনে। এরা তখন অন্য বিদ্যালয়ে পড়ত। তাদের মঘাছড়ি বিদ্যালয়ে ভর্তি করালেন। মঘাছড়ি স্কুলে মাঠ নেই। বীর সেন তাই প্রতিদিন বিকেলে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যেতেন মেয়েদের। অনুশীলনের পর আবার নিয়ে আসতেন। যেসব ফুটবলার মঘাছড়ি স্কুলের হয়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলত, কম্পিউটারে তাদের প্রত্যেকের আলাদা প্রফাইল তৈরি করেন বীর সেন।

প্রভিডেন্ট ফান্ডও ভেঙেছেন : এর মধ্যে মেয়েরা পিএসসি পরীক্ষা দিল। এরপর বীর সেন আলাপ করলেন ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কারণ সবাই একই স্কুলে ভর্তি হলে টিমটা সুসংহত থাকে। কিন্তু হাই স্কুলে ওদের থাকার হোস্টেল ছিল না। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে বিদ্যালয়ের অব্যবহূত দুটি কক্ষে আনুচিংদের থাকার অনুমতি মিলল। সব খরচ চালাতেন বীর সেন। একা কুলিয়ে উঠতে না পেরে একসময় অনেকের কাছে হাত পেতেছেন। খেলোয়াড়দের থাকা-খাওয়া এবং সরঞ্জামের খরচ মেটাতে নিজের প্রভিডেন্ট ফান্ডও ভেঙেছেন। টাকার অঙ্কে সেটা ছয় লাখের কম হবে না।

মেয়েরা পারবে : ফুটবলারদের পথ মসৃণ করতে যা যা সম্ভব, সবই করেছেন বীর সেন। ঋতু পর্ণার কথাই ধরা যাক। অনটনের সংসারে জন্ম। ঋতুর মাকে বীর সেন বললেন, ‘আপনারা কুলাতে না পারলে আমিই ঋতুর দায়িত্ব নেব।’ তাঁরা বীর সেনের কথা ফেলেননি।

ঋতুকে নিয়ে মনে একটা জেদ চেপে গিয়েছিল বীর সেনের। বললেন, ‘জন্মের পর থেকে বৈষম্যের শিকার মেয়েটা। তাই ভাবলাম, ঋতু পর্ণাকে এমনভাবে তৈরি করব, যাতে তাকে দেখে অন্য অভিভাবকরা শেখে।’

বীর সেনের ছোট ভাইয়ের বাসা ঘাগড়ায়। তৃতীয় শ্রেণি থেকে ঋতু পর্ণাকে সেই বাসায় রাখলেন। সেখানকার একটা স্কুলে ক্লাস করার ব্যবস্থা করলেন।

মঘাছড়ি ফুটবল টিমের ১৮ জন মেয়ের মধ্যে প্রথমবার কেবল ঋতু পর্ণা সুযোগ পেলেন বিকেএসপিতে। কিন্তু ভর্তি ও যাতায়াতের টাকা নেই। পরে বীর সেন আর কোচ শান্তিমনি চাকমা মিলে তা জোগাড় করে দিলেন।

সাফের দুইবারের সেরা গোলরক্ষক রূপনা চাকমার খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ২০১১ সালে। তখন তিনি তৃতীয় শ্রেণিতে। বছর দুয়েক পর ২০১৩ সালে তাঁকে নিজের স্কুলে নিয়ে এলেন। ঘাগড়া জুনুমাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তত্কালীন প্রধান শিক্ষক নলিনী চাকমা রূপনার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেন।

উদযাপনপ্রিয় মানুষ : শিষ্যরা ভালো কিছু করলে রীতিমতো তা উদযাপন করে বেড়ান বীর সেন। একেবারেই নিজস্ব ঢঙে। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন মেয়েরা। শিরোপাজয়ী সেই দলে ছিলেন পাহাড়ের পাঁচ কন্যা—রূপনা, ঋতু পর্ণা, মনিকা, আনাই, আনুচিং মারমা।

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার মঘাছড়ি এলাকা থেকে ঋতু পর্ণার বাড়ি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। দীর্ঘ এই পথজুড়েই ছিল আলোর মশাল। মেঠো পথ ধরে ফুটবল কন্যারা গেছেন ঋতু পর্ণার বাড়িতে। ফুটবলাররা গুটি গুটি পায়ে এগিয়েছেন, আর সামনে থেকে একের পর এক মশাল জ্বলে উঠেছে! বীর সেন সবই করেছেন গাঁটের পয়সা খরচ করে।

রূপনা চাকমা বলেন, ‘ভাবতেই পারিনি এলাকায় এভাবে বরণ করে নেওয়া হবে! সত্যিই ভীষণ চমকে গেছি।’

বীর সেনের এই উদ্যোগ নিয়ে ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কালের কণ্ঠের শেষ পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছিল সচিত্র প্রতিবেদন। শিরোনাম, ‘আলো ছড়ানো পথে পাহাড়ের পাঁচ মেয়ে’।

বীর সেন চাকমা বললেন, ‘মেয়েদের ফুটবল খেলাকে অনেকে বাঁকা চোখে দেখত। সবাইকে বোঝাতে চেয়েছি, মেয়েরা বোঝা নয়, বরং ঠিকঠাক পরিচর্যা করতে পারলে ওরা ফুল হয়ে ফুটবে।’

এখনো সাধ্যমতো মেয়েদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে অবসরে গেছেন। এরপর ‘ভরসা বহুমুখী প্রকল্প’ নামের জৈব কৃষিভিত্তিক একটা প্রকল্প চালু করেছেন, যার অধীনে জৈব সার উত্পাদন, নার্সারি স্থাপন, মৌমাছি পালন, বাঁশ দিয়ে আসবাব তৈরি ও বিক্রি করছেন। বীর সেন বলেন, ‘ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব ফসল উত্পাদনের জন্য একটি কৃষিপল্লী নির্মাণের ইচ্ছা আছে।’

১১ ফুটবলকন্যা গড়া এক বীর

স্ত্রী-সন্তানসহ বীর সেন চাকমা। ছবি : পিন্টু রঞ্জন অর্ক

১১ ফুটবলকন্যা গড়া এক বীর

তৃণমূলে খেলোয়াড় তৈরির নেপথ্য কারিগর হিসেবে পেয়েছেন কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪। ছবি : মীর ফরিদ

১১ ফুটবলকন্যা গড়া এক বীর

বাঁ থেকে আনুচিং, রুপনা, আনাই, মনিকা ও ঋতুপর্ণা। রাঙামাটির এই পাঁচ ফুটবলারের উঠে আসার পেছনে অসামান্য ভূমিকা আছে বীর সেনের।  ছবি: সংগৃহীত

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শুল্কঝড়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক-দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে জোর

    ছায়া সংসদে ফাহমিদা খাতুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শুল্কঝড়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক-দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে জোর

সারা বিশ্বে এখন শুল্কঝড় বইছে। মার্কিন প্রশাসন শুল্কহার বৃদ্ধিতে কোনো নিয়ম-কানুনের ধার ধারেনি। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশও এই চ্যালেঞ্জের বাইরে নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের চাপ এবং ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এটি মোকাবেলায় আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের জোট এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপর জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। 

গতকাল শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ সভাপতিত্ব করেন।

 

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ কর আরোপের প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। তবে ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতি আমাদের জন্য ওয়েক-আপ কল। ব্যক্তি সমালোচনা না করে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশের করকাঠামো শক্তিশালী করতে আয়কর আদায়ে জোর দিতে হবে।

কারণ মার্কিন শুল্কারোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত হলেও কাটেনি অনিশ্চয়তা।

তিনি বলেন, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কাটিয়ে বাণিজ্যের সম্প্রসারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) গঠিত হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালী দেশগুলো ডব্লিউটিওর নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেনি। তাই সংস্থাটি এ ক্ষেত্রে সেভাবে প্রভাব রাখতে পারেনি। এর পর থেকেই নিজেদের মধ্যে সমমনা ১৫ থেকে ২০টি দেশ মিলে একাধিক জোট করে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য করছে।

আরো আগে আমাদের এই পথে যাওয়া দরকার ছিল।

ড. ফাহমিদা খাতুন আরো বলেন, বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে আমরা অনেক দিন ধরেই বেশ কিছু দেশের সঙ্গে এফটিএ করার কথা বলে আসছি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামে যেখানে ৫০ দেশের সঙ্গে এফটি রয়েছে সেখানে আমাদের রয়েছে শুধু ভুটানের সঙ্গে। যত দ্রুত সম্ভব আরো কিছু দেশের সঙ্গে এফটি করতে হবে। একই সঙ্গে নতুন বাজার, পণ্য বহুমুখীকরণ ও উৎপাদনশীলতার ওপর জোর দিতে হবে।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে ঘোষিত নতুন শুল্ক আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। এই ৯০ দিনের মধ্যে নতুন করে এলসি খোলা হলে তার জাহাজীকরণ যদি ৯০ দিনের পরে হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে ওই রপ্তানির বিপরীতে স্থগিত কর সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। যদি এই স্থগিতাদেশের ৯০ দিন পর মার্কিন শুল্ক বিভাগ পণ্য খালাসীকরণের লক্ষ্যে শুল্ক অ্যাসেসমেন্ট করে তাহলে কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, তা নিশ্চিত করা না গেলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা থেকেই যাবে।

 

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ১০ সুপারিশ

বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ১০ দফা সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে এক. শুধু পোশাক খাতকেন্দ্রিক রপ্তানিনির্ভরতা না রেখে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখিতা ও বৈচিত্র্য বাড়ানো এবং বিকল্প বাজার খুঁজে বের করা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য কূটনীতি জোরদার করে সে দেশের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি অব্যাহত রাখা, ৯০ দিনের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষে রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালে বা জাহাজীকরণ হলে রপ্তানির বিপরীতে স্থগিতকৃত শুল্ক সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না তা স্পষ্ট করা অন্যতম।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সক্ষম হবে শীর্ষক ছায়া সংসদে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া এফসিএ, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা, ড. এস এম মোর্শেদ এবং টিভি অনুষ্ঠান নির্মাতা কে এম মাহমুদ হাসান।

মন্তব্য
ঢা‌বি সাদা দল

ফ্যাসিবাদের মুখোশে আগুন পরিকল্পিত

ঢাকা বিশ্ব‌বিদ‌্যা‌লয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ব‌বিদ‌্যা‌লয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ফ্যাসিবাদের মুখোশে আগুন পরিকল্পিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রা মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

একই সঙ্গে অবিলম্বে অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায় সংগঠনটি।

গতকাল শনিবার ঢাবি সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক মো. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বাঙালি জাতির ঐতিহ্যের স্মরক পহেলা বৈশাখ।

এ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। আনন্দ শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য ফ্যাসিস্টদের প্রতিকৃতি তৈরিসহ অন্যান্য প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ দিকে তখন শনিবার ভোরে চারুকলা অনুষদের চার দেয়ালের ভেতরে তৈরি করা এসব প্রতিকৃতিতে আগুন দেওয়া নিছক কোনো রহস্যজনক নয়। এটি একটি পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড। এ ঘটনায় ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের দোসর কিংবা ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের হাত থাকার সম্ভাবনা বেশি।

নেতারা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাবি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা পালনের লক্ষ্যে তৈরি প্রতিকৃতিসহ অন্যান্য জিনিসের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর চারুকলার শোভাযাত্রা নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকা অত্যাবশ্যক ছিল। অতএব পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করি।

ঢাবি সাদা দলের নেতারা অবিলম্বে চারুকলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো জোরদার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহবান জানান।

মন্তব্য

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ১৭ ঘণ্টা পর চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ১৭ ঘণ্টা পর চালু

ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় গত শুক্রবার রাতে। এর ১৭ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে পুনরায় একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৪৬ মেগাওয়াট। ক্রমান্বয়ে এক ইউনিট থেকে বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়বে।

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে দায়িত্বে থাকা একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়েছে গত মঙ্গলবার। আর দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয় গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে।

এতে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়। পরে গতকাল সন্ধ্যায় একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে আদানি। 

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।  ঘাটতি পূরণে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বাড়ানো হয়।

জ্বালানির সরবরাহ পেলে চাহিদা মতো উৎপাদন করা যাবে। শনিবার রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট পুনরায় চালু হয়, আরেকটি ইউনিট ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা করছে বলেও তিনি জানান। 

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বিরোধ আছে। এটি নিয়ে আদানি ও বিপিডিবির মধ্যে আলোচনা চলছে। বকেয়া শোধ নিয়েও বিভিন্ন সময় তাগাদা দিয়েছে আদানি।

গত বছর একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল আদানি। এরপর নিয়মিত চলতি বিল পরিশোধ করায় তারা একটি ইউনিটের উৎপাদন চালু করে। গত ফেব্রুয়ারিতে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ জানায় বিপিডিবি। গত মার্চে শুরু থেকেই দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তারা।

পিজিসিবি ও বিপিডিবি সূত্র বলছে, গতকাল শনিবার ছুটির দিন থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম। গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছে ১৩ হাজার ৫৫২ মেগাওয়াট। এ সময় ৪২৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ শুরু না হলে আজ রবিবার লোডশেডিং আরো বৃদ্ধি পেত। ঘাটতি মেটাতে পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাস সরবরাহও চেয়েছিল বিপিডিবি।

আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এই কেন্দ্রে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে। ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে বিপিডিবি। আদানির সঙ্গে বিপিডিবির চুক্তি পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত একটি কমিটি কাজ করছে।

মন্তব্য

ইসরায়েল গাজায় এবার পানি-অস্ত্র প্রয়োগ করছে

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
ইসরায়েল গাজায় এবার পানি-অস্ত্র প্রয়োগ করছে

ধরার বুকে নির্মিত জাহান্নাম হিসেবে পরিচিত গাজার মানবিক পরিস্থিতির অবনতি বিশ্বসম্প্রদায়কে ভাবতে বাধ্য করছে। দখলদার ইসরায়েলের বেপরোয়া বিমান হামলা ও ভয়াবহ স্থল হামলায় অবরুদ্ধ গাজাবাসী এখন শুধু খাবারের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে না; অনাহারি গাজাবাসী এক ঢোক সুপেয় জলও এখন পাচ্ছে না।

গাজায় বিশুদ্ধ পানির সবচেয়ে বড় উৎসটি ছিল ইসরায়েলি একটি কম্পানির। গত শুক্রবার কম্পানিটি পানির পাইপলাইন বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলি নির্বিচার বিমান হামলা ও নির্মম স্থল অভিযানের পর যেসব হতভাগা গাজাবাসী বেঁচে ছিল, তারা এখন এক ফোঁটা সুপেয় পানির জন্য মাইলের পর মাইল চষে বেড়ায়। গাজার এক অবরুদ্ধ নগরীর পৌঢ়া নারী ফাতিন নাসের (৪২) বড়ই আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, সকাল থেকে আমি পানির অপেক্ষায় আছি। কিন্তু সুপের পানির কোনো উৎস বা স্টেশন আর অক্ষত নেই। পানির ট্রাকও চোখে পড়ে না।
কোথাও পানি নেই। এলাকা ত্যাগ করে যে কোথাও যাব, তারও সুযোগ নেই। আল্লাহ যদি যুদ্ধটা থামিয়ে দিতেন। 

ইসরায়েল গত সপ্তাহেই গাজার শিজাইয়া এলাকার সব অধিবাসীকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

কিন্তু তারা কোথায় যাবে, কেমন করে যাবে, সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। বাস্তবতা হচ্ছে, এমন কোনো ভূমি বাকি নেই, যেখানে এখন বোমা পড়ছে না। তবে ইসরায়েল বারবার দাবি করছে, তারা কোনো বেসামরিক এলাকায় বোমা ফেলছে না। তারা শুধু সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে বোমা ফেলছে। দখলদার বাহিনী বেছে বেছে উত্তর গাজার সব পানির কূপও ধ্বংস করে ফেলছে।

মিউনিসিপ্যালিটির একজন কর্মকর্তা বলেন, গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন এবং দিন দিন তা অবনতির দিকেই যাচ্ছে। পানি তো দৈনন্দিন নানা কাজে লাগে। কিন্তু পানি কোথাও মিলছে না। গাজা এখন বিশ্বের এক তৃষ্ণার্ত নগরী। আগামী দিনগুলোতে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা আমরা কেউ জানি না।

গাজার লোকসংখ্যা ২৩ লাখ। কিন্তু যুদ্ধের কারণে বেশির ভাগ অধিবাসী এখন বাস্তুচ্যুত। প্রত্যন্ত এলাকায় এখনো দু-একটি কূপে পানি রয়েছে। কিন্তু সেই কূপে পানির বিশুদ্ধতার কোনোই গ্যারান্টি নেই।

গত শুক্রবার রেড ক্রসের প্রেসিডেন্ট মিরজানা স্পোলজারিক বলেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি পৃথিবীর দোজখে পরিণত হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। কারণ এরপর গাজাবাসীর রসদ ফুরিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা রেড ক্রস।

তিনি বলেন, আমরা গাজায় এখন নিজেদের এমন পরিস্থিতিতে দেখছি। যেটিকে আমাকে বলতে হবে পৃথিবীর দোজখ। মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার পায় না।

গত ২ মার্চ গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে দখলদার ইসরায়েল। ওই সময় দখলদারদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে। ওই দিন থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরাইল চুক্তি ভঙ্গ করে। এর কয়েক দিন পর ১৮ মার্চ রাতে গাজায় হঠাৎ তীব্র বিমান হামলা চালায় তারা। এতে এক রাতে চার শরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে অন্তত এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং দুই শর বেশি মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ