কাগজ ও প্যাকেজিং শিল্পে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার সৃষ্টি করতে ষষ্ঠবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক পেপারটেক এক্সপো। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে। চলবে আগামী বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। প্রদর্শনীটিতে ২৫টি দেশের প্রায় ৩০০ কম্পানি অংশ নিয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শনীটি উন্মুক্ত থাকবে।
গতকাল আইসিসিবির ৪ নম্বর (নবরাত্রি) হলে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এক্সপোর্ট অ্যান্ড মার্কেটিং ডেভেলপমেন্ট কমিটি বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ও চায়না ন্যাশনাল পাল্প অ্যান্ড পেপার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর চাও লুমেন।
এ প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড। আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন বলেন, ‘পেপার সেক্টরে স্থানীয় ও বৈশ্বিক অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। ষষ্ঠ পেপারটেক প্রদর্শনীর নলেজ এই শিল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা আশা করছি, এই খাতের ভবিষ্যত আরো উজ্জ্বল হবে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পেপার ইন্ডাস্ট্রি টিকতে হলে আমাদের উন্নত প্রযুক্তির দিকে এগোতে হবে। আমরা এক্সপোতে অংশ নিতে চায়না পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং চায়না ন্যাশনাল পাল্প অ্যান্ড পেপার রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, তারা আমাদের আমন্ত্রণে এসেছে। সারা বিশ্ব থেকেই এ মেলায় প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসেছে।
এটি আমাদের সমস্ত স্থানীয় শিল্পকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ডিউটি আরোপ করেছে। যে কারণে চীন চাইলে আমাদের এখানে বিনিয়োগ করতে পারে। আমাদের এক্সিবিটরকে অনুরোধ করব চীনের কোনো আইডিয়া থাকলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।’