ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
১৩ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
১৩ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ রমজান ১৪৪৬

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

শেয়ার
কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

বৈচিত্র্যময় উপস্থাপনায় পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, উপদেষ্টা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়

দৈনিক কালের কণ্ঠ ১৫ বছর পূরণ করতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দেড় দশকের মাইলফলকে পদার্পণের এই শুভক্ষণে এ দৈনিকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ, অর্থনৈতিক অভিঘাত, যুদ্ধ-সংঘাত ও অনলাইনভিত্তিক মিডিয়াকে মোকাবেলা করে দেড় দশক অতিক্রম করা একটি প্রিন্ট পত্রিকার জন্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। পথ পরিক্রমার ১৫ বছরে দৈনিক কালের কণ্ঠ এ দেশের গণমাধ্যমজগতে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তায় পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতার নিরিখে দৈনিক কালের কণ্ঠ পেশাদারির স্বাক্ষর রেখে চলেছে।

সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি জাতীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে জনসচেতনতা ও জনমত তৈরিতে সংবাদপত্রের রয়েছে শক্তিশালী ভূমিকা। দৈনিক কালের কণ্ঠ জুলাই বিপ্লবের চেতনায় বৈষম্যহীন, ন্যায়ানুগ ও ইনসাফভিত্তিক দেশ গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আশা করি, আগামী দিনগুলোতে তাদের এই ভূমিকা আরো তীক্ষ ও শাণিত হবে।

এই দৈনিকে প্রত্যহ ইসলামী জীবন পাতা প্রকাশিত হয়ে থাকে। এরই মধ্যে এই পাতা তার বৈচিত্র্যময় উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এ পাতাটি ধর্মীয় জ্ঞানের প্রচার-প্রসার ও সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি দৈনিক কালের কণ্ঠের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মোবারকবাদ

মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আমির, হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ

আলহামদুলিল্লাহ! দৈনিক কালের কণ্ঠ তার অসাধারণ যাত্রার আরেকটি বছর অতিক্রম করল। আমার জানা মতে, তাদের জনপ্রিয় পাতাটি হলো ইসলামী জীবন পাতা। এই পাতাটি কোরআন-হাদিসের আলোকে মুমিনজীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করে। দেশের নির্ভরযোগ্য আলেমদের তত্ত্বাবধানে দক্ষ ও হক্কানি এক ঝাঁক তরুণ আলেমের সমসাময়িক বিষয় বিশ্লেষণ এবং জীবনঘনিষ্ঠ পরামর্শ উম্মাহকে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।

ইসলামের চিরন্তন শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক জীবনের সমন্বয়ে সৃজনশীল এবং গভীরতর চিন্তার প্রতিফলন ঘটানো এই পাতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

এটি শুধু জ্ঞানের আলো ছড়ায় না, বরং সমাজের আচার-ব্যবহার ও চিন্তাধারায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কালের কণ্ঠের দেড় দশকে পদার্পণের এই শুভক্ষণে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই ইসলামী জীবন টিমসহ গোটা কালের কণ্ঠ পরিবারকে। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, এই প্রচেষ্টা যেন আরো বিস্তৃত হয় এবং মানবজীবনে কল্যাণ বয়ে আনে।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

পাঠকের দোরগোড়ায় ইসলামের বাহক

আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভী, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, দারুল মাআরিফ, চট্টগ্রাম

দেশের অন্যতম শীর্ষ সংবাদমাধ্যম দৈনিক কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা। সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি পত্রিকাটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য প্রতিদিন ইসলামী জীবন পাতা প্রকাশ করছে। এতে সচেতন পাঠক প্রতিদিনের খবর পাঠের পাশাপাশি নিজেকে ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছে। পত্রিকাটি ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো যেমন নিয়মিত তুলে ধরছে, তেমনি সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের সুমহান বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। পাঠকের কাছে মুসলিম ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরে ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এক কথায়, তা সব শ্রেণির মানুষের দৌরগড়ায় ইসলামের বাহক। এর মাধ্যমে দাওয়াত ও ইসলাহের কাজগুলো সুন্দরভাবে পালিত হচ্ছে। এতে করে আধুনিক যুগে ইসলামের আবশ্যিকতা নিয়েও শিক্ষিত সমাজে গড়ে উঠছে ইসলামের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব। আমি আশা করি, পত্রিকাটি জাতীয় ইসলামী ইস্যুতে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে এবং সত্য প্রকাশের পথে তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কালের কণ্ঠ ও এর ইসলামী জীবন পাতা-সংশ্লিষ্টদের জন্য আমি দোয়া করছি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের তাঁদের জন্য সাফল্য ও কল্যাণ কামনা করছি।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

প্রতিদিন ইসলামী লেখা প্রকাশ প্রশংসনীয় উদ্যোগ

আল্লামা মাহমুদুল হাসান, চেয়ারম্যান, সম্মিলিত কওমি শিক্ষা বোর্ড (হাইআ)

ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মকৌশল হলো প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তার নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দ্বিনি দায়িত্ব পালন করবে এবং ইসলাম ও মুসলমানের কল্যাণে কাজ করবে। এই লক্ষ্য অর্জনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একটি সংবাদপত্রের দায়িত্ব হলো, তার প্রচার-প্রসারে ইসলামকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ইসলামবিরোধী কাজগুলো থেকে বিরত থাকা। 

দৈনিক কালের কণ্ঠ এ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একটি প্রথম সারির পত্রিকা হিসেবে তারা প্রতিদিন ইসলামী জীবন পাতা প্রকাশ করছে, যা আমাদের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে।

তাদের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। আল্লাহ তাদের এই উদ্যোগকে মানুষের কল্যাণে কবুল করুন এবং এর মাধ্যমে ইসলাম প্রচারের মহান কাজকে আরো বিস্তৃত করুন।

আশা করি, দৈনিক কালের কণ্ঠ তাদের প্রচার-প্রসারে ইসলামবিরোধী যেকোনো উপাদান পরিহারের ক্ষেত্রে আরো বেশি সচেতন হবে এবং সব সময় ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করবে। দৈনিক কালের কণ্ঠের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক দোয়া ও মোবারকবাদ রইল। আল্লাহ তাআলা তাদের এই প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতের প্রতিটি উদ্যোগে বারাকাহ দান করুন। আমিন।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

কালের কণ্ঠের ইসলামী আয়োজন পাঠকের প্রশংসা কুড়িয়েছে

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, আমির, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ

একটি সমাজে পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যমের নানামুখী ভূমিকা থাকে। গুরুত্বের বিচারে সংবাদপত্রকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভও বলা হয়। তাই সৎ ও দায়িত্বশীল একটি সংবাদপত্র যেমন জাতিকে পথ দেখাতে পারে, তেমনি তার দায়িত্বহীন ভূমিকা জাতির জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। দৈনিক কালের কণ্ঠ আগামী দিনে জুলুম ও বৈষম্যহীন ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে এবং ইসলাম ও মুসলমানদের পক্ষে কথা বলবে বলে আশা করি। জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ সূচনা থেকে নিয়মিত দৈনিক ও সাপ্তাহিক আয়োজনে ইসলামী লেখা প্রকাশ করে পাঠকের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে।

দেড় দশক পূর্তি উপলক্ষে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই। মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার সব সংবাদকর্মীকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কবুল করে নিন। আমিন।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

ধর্ম পাতার সমৃদ্ধ আয়োজন আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে

শায়খ আহমাদুল্লাহ, চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

দৈনিক কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।

একটি সংবাদপত্র শুধু সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যম নয়, এটি জাতির চেতনা, মূল্যবোধ ও উন্নয়নের প্রতিফলক। একটি দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যম সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে, যেখানে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সমাজের অসংগতি তুলে ধরে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস জোগায় এবং ন্যায় ও মানবিকতার আলোয় জাতিকে আলোকিত করে।

আমরা এমন একসময়ে বসবাস করছি, যখন সত্য ও মিথ্যার মধ্যকার সীমানা প্রায়ই ঝাপসা হয়ে যায়। এমন বাস্তবতায় দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা, দৈনিকটি যেন সততা, বস্তুনিষ্ঠতার মাধ্যমে সত্যিকারের গণমানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে।

দৈনিক কালের কণ্ঠ তার সূচনা থেকে প্রতিদিন তাফসির ও সাপ্তাহিক ধর্ম পাতা প্রকাশ করে আসছিল। ২০১৯ সাল থেকে প্রতিদিন নিয়মিত ইসলামী জীবন পাতা বের করছে। পাতাটির বিষয়-বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধ আয়োজন আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এটি কালের কণ্ঠের অন্যতম পাঠকপ্রিয় পাতা। আমি দৈনিক কালের কণ্ঠ ও কালের কণ্ঠের ইসলামী জীবন পাতার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

আধুনিকতা ও আধ্যাত্মিকতার অভূতপূর্ব সমন্বয়

মুফতি শাহেদ রহমানী, বিশিষ্ট ইসলামী অর্থনীতিবিদ

দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র দৈনিক কালের কণ্ঠ কৃতিত্বের সঙ্গে তার সাফল্যের আরেকটি বছর পার করেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আলহামদুলিল্লাহ দেড় দশক ধরে এই পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে।

এই পত্রিকার বিশেষ আকর্ষণ ইসলামী জীবন পাতা উম্মাহর খিদমতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে উম্মাহর ইসলামী জ্ঞানের পিপাসা নিবারণে এই পাতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোরআন-হাদিসের আলোকে বিশুদ্ধ ও যুগোপযোগী তথ্য-উপাত্ত প্রদান, রুচিশীল অলংকরণ ও প্রযুক্তির ব্যবহারে এই পাতা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বাংলাদেশে সম্ভবত এটাই প্রথম ইসলামী পাতা, যারা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তথ্যবহুল আধুনিক ইসলামী সমস্যাগুলোর সমাধানের পাশাপাশি প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবহারও তাদের পাতায় ফুটিয়ে তুলেছে। প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সম্ভবত এই পাতাটিই নিয়মিত করে দেখিয়েছে। এক কথায়, এই পাতায় আধুনিকতা ও আধ্যাত্মিকতার অভূতপূর্ণ সমন্বয় দেখা যায়। দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কালের কণ্ঠ পরিবারের সবাইকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। মহান আল্লাহ তাদের খিদমতকে কবুল করুন।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ইসলামী জীবন পাতা

আল্লামা আবু তাহের নদভী, মহাপরিচালক, জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া

বাংলাদেশের প্রথম সারির পত্রিকা দৈনিক কালের কণ্ঠ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে দৈনিক এক পৃষ্ঠার রঙিন ইসলামী জীবন পাতা ছাপার মাধ্যমে ইসলামের খিদমত করে যাচ্ছে তারা। শুরু থেকেই এই পাতা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামী জ্ঞান অর্জনে ইচ্ছুক পাঠক মহলে এই পাতার বিশেষ অবস্থান আছে। কারণ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের মনের মধ্যে জাগা ইসলামী জিজ্ঞাসাগুলোর জবাব এই পাতায় খুব সাবলীলভাবে পাওয়া যায়। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ইসলামের তথ্যের পাশাপাশি আধুনিক মাসআলা-মাসায়েল তুলে ধরার ক্ষেত্রে এই পাতার অবদান অনস্বীকার্য।

প্রিয় দৈনিকের ১৫ বছর পূর্তিতে কালের কণ্ঠ পরিবারকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই। মহান আল্লাহ তাদের খিদমত কবুল করুন। আমিন।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

হক্কানি আলেমদের তত্ত্বাবধানে ধর্মীয় লেখা

আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী, সভাপতি, ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী

আমি জেনে আনন্দিত যে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সংবাদপত্র দৈনিক কালের কণ্ঠ ১৫ বছর পূর্ণ করে ১৬ বছরে পদার্পণ করছে। পত্রিকাটি তার সূচনালগ্ন থেকে ইসলামবিষয়ক লেখা প্রকাশ করে আসছে। বর্তমানে কালের কণ্ঠ প্রতিদিন ইসলামী জীবন পাতা প্রকাশ করছে। আমি আরো খুশি হয়েছি এ কথা জেনে, হক্কানি-রব্বানি আলেমরা এই পাতার নেগরানি (তত্ত্বাবধান) করে থাকেন। পাতায় যাঁরা করেন তাঁদের সবাই আলেম ও বিশুদ্ধ আকিদায় বিশ্বাসী। কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য বর্তমানে খুব লক্ষণীয়। সমাজে নানা ফিরকা ও তরিকার প্রচলন ঘটেছে। এসবের মধ্যে সমন্বয় ও ঐক্যের প্রয়াস পরিলক্ষিত হয় এই পাতায়।

আমি আশা করি, আগামী দিনেও দৈনিক কালের কণ্ঠ দেশ ও সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইসলামী জীবন পাতা কোরআন-হাদিসের বিশুদ্ধ জ্ঞান প্রচারের মাধ্যমে মানুষের ঈমান-আখলাকের উন্নতি সাধনের পাশাপাশি তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। দৈনিক কালের কণ্ঠ ও তার পরিবারভুক্ত সবাইকে আল্লাহ সততার সঙ্গে কল্যাণের পথে পরিচালনা করুন। আমিন।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

কালের কণ্ঠ হোক দেশ ও মানবতার কণ্ঠস্বর

মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন গহরপুরী, সহসভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়্যাহ

দৈনিক কালের কণ্ঠ দেশের শীর্ষ ও জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিকগুলোর একটি। জাতীয় দৈনিকটি ১৫ বছর পূর্ণ করে ১৬ বছরে পদার্পণ করেছে। পাঠকের ভালোবাসা ও আস্থা না থাকলে নিশ্চয়ই পত্রিকাটি এত দূর আসতে পারত না। দৈনিক কালের কণ্ঠের আগামীর দিনগুলোও সুন্দর হোক এই প্রত্যাশাই করি।

ইসলামী জীবন পাতা দৈনিক কালের কণ্ঠের পাঠকপ্রিয় পাতা। একটি প্রাত্যহিক পাতা হওয়ার পরও পাতাটির বিষয়-বৈচিত্র্য ও লেখার মান প্রশংসনীয়। শুরু থেকে আজ অবধি তারা তাদের পাতার মান মোটামুটি অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে।

আশা করি, দৈনিক কালের কণ্ঠ ভবিষ্যতে দেশ, জাতি ও মানবতার কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবে; বিশেষত দেশের আলেমসমাজ ইসলামী অঙ্গনের ব্যাপারে আরো ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করবে। আল্লাহ সবার কল্যাণ করুন। আমিন।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

ইসলামের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে সিদ্ধহস্ত

ড. মুহাম্মদ শফিউল্লাহ কুতুবী, সহকারী অধ্যাপক, আরবি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

জাতীয় দৈনিকে যতগুলো ইসলামী পাতা হয় তার মধ্যে কালের কণ্ঠের ইসলামী জীবন পাতাটি আমার কাছে সুন্দর, পরিশীলিত ও বিষয়বস্তুতে এগিয়ে রয়েছে বলে মনে হয়। কালের কণ্ঠের ইসলামী জীবন পাতা গতানুগতিক বলয়ের বাইরে নতুনত্ব ও আধুনিকতায় সর্বজন আকর্ষণধন্য। উদ্ধৃতি সূত্র, প্রামাণ্যতায় দারুণ মুনশিয়ানার ইসলামময় জীবন গড়ার নির্দেশনা দেয়। ইসলামী মূল্যবোধ, উম্মাহর ঐক্য ও ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে সিদ্ধহস্ত।

আমি মনে করি, কালের কণ্ঠের ইসলামী জীবন পাতার মাধ্যমে সর্বশ্রেণির পাঠক উপকৃত হচ্ছে এবং আগামী দিনেও কল্যাণের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। কালের কণ্ঠ পরিবার ও কালের কণ্ঠ ইসলামী জীবন পাতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

কালের কণ্ঠের দেড় দশক : বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা

একটি প্রশংসনীয় আয়োজন ইসলামী জীবন পাতা

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

দেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ তাদের দেড় দশক পূর্ণ করছে। দীর্ঘ এই পথচলায় তারা সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে, জাতির বিবেক হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এ জন্য দৈনিক কালের কণ্ঠ ও তার কর্মীদের আমি অভিনন্দন জানাই। দৈনিক কালের কণ্ঠের একটি প্রশংসনীয় আয়োজন ইসলামী জীবন পাতা। প্রতিদিন পুরো পাতা রঙিন ইসলামী আয়োজন মূলধারার সংবাদপত্রের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ। দৈনিক কালের কণ্ঠের ইসলামী জীবন পাতাটি সুন্দর, পরিশীলিত ও বিষয়বস্তুতে পরিপূর্ণ। আমার কাছে পাতাটি ভালো লাগে। যাঁরা এই পাতায় কাজ করেন তাঁরা সমকালীন বিষয়গুলোতে চোখ রাখেন এবং কোরআন-হাদিসের সঠিক বার্তাটি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই পাতার আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি ছবি। আধুনিক এই প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোতে এখনো অপ্রতুল। আমি মনে করি, ইসলামী জীবন পাতার কর্মীরা যদি অতীতের মতো আন্তরিক ও যত্নবান হন, তবে ভবিষ্যতেও পাতার আবেদন অক্ষুণ্ন থাকবে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কোরআন থেকে শিক্ষা

    পর্ব, ৭৩২
শেয়ার
কোরআন থেকে শিক্ষা

আয়াতের অর্থ :  ‘সেসব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে এবং নামাজ আদায় ও জাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখে না, তারা ভয় করে সেদিনকে, যেদিন অনেক অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। যাতে তারা যে কাজ করে তজ্জন্য আল্লাহ তাদেরকে উত্তম পুরস্কার দেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের প্রাপ্যের অধিক দেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবিকা দান করেন।’

(সুরা : নুর, আয়াত : ৩৭-৩৮)

আয়াতদ্বয়ে মুমিন ব্যক্তি ও সৎ ব্যবসায়ীর বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে।

শিক্ষা ও বিধান

১. নামাজ থেকে বিরত রাখে এমন বিষয়গুলোর মধ্যে ব্যবসাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে আল্লাহ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন। কেননা ব্যবসা ইবাদতবিমুখতার বড় কারণ।

২. ফিকহের সব ইমাম এই বিষয়ে একমত যে নারীদের জন্য মসজিদে না গিয়ে ঘরে নামাজ আদায় করা উত্তম। হাদিস থেকে এমনটিই বোঝা যায়।

৩. পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেননা মসজিদই মুসলমানের ধর্মীয়, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের প্রাণকেন্দ্র।

৪. আশ্রয়হীন পথিকের জন্য মসজিদে ঘুমানো জায়েজ। শর্ত হলো মসজিদের সব শিষ্টাচার রক্ষা করা।

৫. আয়াত দ্বারা দ্বিনদার ব্যবসায়ীর মর্যাদা প্রমাণিত হয়। কেননা আল্লাহ তাদের জন্য পুরস্কার ও অনুগ্রহ ঘোষণা করেছেন।

(তাফসিরে মুনির : ৯/৫৮৭)

মন্তব্য
পর্ব : ২৫

তারাবিতে কোরআনের বার্তা

শেয়ার
তারাবিতে কোরআনের বার্তা

সুরা আশ-শুরা

ওহি সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে সুরাটি শুরু হয়েছে। এরপর ফেরেশতাদের কর্মযজ্ঞ নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। পরে মুসলমানদের মধ্যকার বিরোধ নিরসনে কোরআনের নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সুরায় রাসুল (সা.)-এর রিসালত ও মুমিনদের সম্পর্কেও কিছু আলোচনা আনা হয়েছে।

এ কথার মাধ্যমে সুরাটি সমাপ্ত হয়েছে যে আসমান ও জমিনের রাজত্ব একমাত্র মহান আল্লাহর।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. জাতি-বৈচিত্র্য আল্লাহর ইচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ।

(আয়াত : ৮)

২. বিদ্বেষবশত বিবাদ কোরো না। (আয়াত : ১৪)

৩. কিয়ামত আসন্ন, তা বেশি দূরে নয়।

(আয়াত : ১৭)

৪. জান্নাতিদের সব প্রত্যাশা পূরণ করা হবে।

(আয়াত : ২২)

৫. আত্মীয়দের প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করো।

(আয়াত : ২৩)

৬. সম্পদের অবাধ প্রাচুর্য বিপর্যয় ডেকে আনে।

(আয়াত : ২৭)

৭. অশ্লীলতা পরিহারকারীদের জন্য জান্নাত।

(আয়াত : ৩৭)

৮. মীমাংসাকারীদের জন্য পুরস্কার। (আয়াত : ৪০)

৯. অত্যাচারের প্রতিবিধান করো। (আয়াত : ৪১)

১০. বিপদেও অকৃতজ্ঞ হয়ো না। (আয়াত : ৪৮)

১১. ছেলেমেয়ে উভয়ই আল্লাহর দান। (আয়াত : ৪৯-৫০)

সুরা জুখরুফ

আলোচ্য সুরায় কুরাইশ ও আরববাসীদের জাহেলি আকিদা-বিশ্বাস ও কুসংস্কারের সমালোচনা করা হয়েছে।

কোরআনের কসমের মাধ্যমে সুরাটি শুরু হয়েছে। এতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে এই শিরকের সপক্ষে তোমাদের কাছে কোনো যুক্তি-প্রমাণ আছে? তারা বলে, আমাদের বাপ-দাদার সময় থেকে এ কাজ এভাবেই হয়ে আসছে। অথচ ইবরাহিম (আ.) পূর্বপুরুষদের এমন অন্ধ অনুসরণ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আর আরবরা তো তাঁরই বংশধর।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. পূর্বসূরিদের অন্ধ অনুকরণ কোরো না। (আয়াত : ২২)

২. জীবিকার তারতম্য আল্লাহই করেন। (আয়াত : ৩২)

৩. কোরআন মুসলিম উম্মাহর জন্য সম্মানের বিষয়। (আয়াত : ৪৪)

৪. নবীদের নিয়ে উপহাস কাফিরদের অভ্যাস।

(আয়াত : ৪৭)

৫. ভালো কাজ থেকে বিমুখ হয়ো না। (আয়াত : ৬২)

৬. তোমরা পরস্পরের সঙ্গে মতবিরোধ কোরো না।

(আয়াত : ৬৫)

৭. জান্নাতে মনের সব ইচ্ছা পূর্ণ হবে। (আয়াত : ৭১)

৮. অবাধ্য পাপীদের উপেক্ষা করো। (আয়াত : ৮৯)

সুরা দুখান

আলোচ্য সুরা শুরু হয়েছে কোরআন নাজিলের ইতিহাস বর্ণনার মাধ্যমে। কোরআন নাজিল হয়েছে রমজান মাসের কদরের রাতে। এরপর অবিশ্বাসীদের ইহকালীন ও পরকালীন শাস্তি বর্ণনা করা হয়েছে। সুরার শেষের দিকে নেককার ও বদকারদের পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। (আয়াত : ৮)

২. সংশয়গ্রস্ত লোকেরাই দ্বিন নিয়ে বিদ্রুপ করে।

(আয়াত : ৯)

৩. আল্লাহ পাপীদের কঠোরভাবে পাকড়াও করেন।

(আয়াত : ১৬)

সুরা জাসিয়া

এই সুরায় তাওহিদ ও আখিরাত সম্পর্কে মক্কার কাফিরদের সন্দেহ, সংশয় ও আপত্তির জবাব দেওয়া হয়েছে। এতে দেখানো হয়েছে যে পৃথিবীর সব কিছু আল্লাহর অস্তিত্বের সাক্ষ্য দেয়। এই পৃথিবীতে মানুষ যত জিনিসের সাহায্য গ্রহণ করছে এবং বিশ্বে যে অসংখ্য বস্তু ও শক্তি মানুষের সেবা করছে তা আল্লাহই নিজের পক্ষ থেকে দান করেছেন। এরপর মক্কার কাফিরদের হঠকারিতা, অহংকার, ঠাট্টা-বিদ্রুপ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. মিথ্যাবাদীদের জন্য দুর্ভোগ। (আয়াত : ৭)

২. পাপের পথ থেকে সরে এসো। (আয়াত : ৮)

৩. সমুদ্রে আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করো।

(আয়াত : ১২)

৪. অবিশ্বাসীদেরও ক্ষমা করো। (আয়াত : ১৪)

৫. মূর্খদের অনুসরণ কোরো না। (আয়াত : ১৮)

৬. কোরআন মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ।

(আয়াত : ২০)

৭. পার্থিব জীবনকেই শেষ মনে কোরো না। (আয়াত : ২৪)

৮. গৌরব-গরিমা কেবল আল্লাহর। (আয়াত : ৩৭)

সুরা আহকাফ

কোরআনের প্রশংসার মাধ্যমে আলোচ্য সুরা শুরু হয়েছে। কাফিরদের কাছে দুনিয়াটা একটি উদ্দেশ্যহীন খেলার বস্তু। তারা এখানে নিজেদের দায়িত্বহীন সৃষ্টি মনে করে। এ কথার মাধ্যমে সুরা শেষ হয়েছে যে কিয়ামত অনিবার্য সত্য।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. মা-বাবার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞতা। (আয়াত : ১৫)

২. মানুষ ইহকালে ও পরকালে তাদের কাজ অনুযায়ী সম্মান লাভ করবে। (আয়াত : ১৯)

৩. দুনিয়ার জীবন এক দিনের চেয়েও ক্ষুদ্র। (আয়াত : ৩৫)

সুরা মুহাম্মাদ

এই সুরায় যুদ্ধ, বন্দি, গনিমত এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। উভয় দলের পরিণতিও বর্ণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি মুরতাদ ও মুনাফিকের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। সুরাটি কোনো ভূমিকা ছাড়াই এ কথার মাধ্যমে শুরু হয়েছে যে যারা কাফির এবং যারা মানুষকে আল্লাহর পথে বাধা দেয়, তারা আল্লাহর শত্রু। সুরাটি শেষ হয়েছে যুদ্ধের প্রতি উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে। এখানে ঈমানদারদের ভীরুতা ও হীনম্মন্যতা দূর করতে বলা হয়েছে।

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. অবিশ্বাসীদের ভালো কাজও নিষ্ফল হয়ে যায়। (আয়াত : ৮)

২. কিয়ামতের আলামত প্রকাশ পেয়েছে এবং পাচ্ছে। (আয়াত : ১৮)

৩. মানুষ ক্ষমতা পেলে আত্মীয়তা ছিন্ন করে।

(আয়াত : ২২-২৩)

৪. কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা জরুরি। (আয়াত : ২৪)

৫. দ্বিনবিমুখ মানুষের আনুগত্য কোরো না। (আয়াত : ২৬)

৬. পাপীদের শাস্তি মৃত্যুর সময় থেকে শুরু। (আয়াত : ২৭)

৭. বাকভঙ্গিতে অন্তরের ভাব প্রকাশ পায়। (আয়াত : ৩০)

৮. সত্য জেনেও বিমুখ হয়ো না। (আয়াত : ৩২)

৯. নিজের কাজকে অর্থহীন কোরো না। (আয়াত : ৩৩)

১০. অবিশ্বাস নিয়ে মৃত্যুবরণ কোরো না। (আয়াত : ৩৪)

১১. নিজের ও আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার ক্ষেত্রে কার্পণ্য করো না। (আয়াত : ৩৮)

 

গ্রন্থনা : মুফতি আতাউর রহমান

 

মন্তব্য

প্রশ্ন-উত্তর

    সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা
শেয়ার
প্রশ্ন-উত্তর

নাবালক শিশুকে জাকাত দেওয়া

প্রশ্ন : কেউ যদি জাকাত দেওয়ার সময় এমন কিছু শিশুকে জাকাত দেয়, যারা এখনো সাবালক হয়নি। তাহলে কি তার জাকাত আদায় হবে? আমাদের দেশে দেখা যায়, জাকাতের জন্য অনেকেই সঙ্গে তাদের নাবালকদের নিয়ে আসে। মানুষজনও সেই নাবালকদের জাকাত দেয়।

মোখলেসুর রহমান, ময়মনসিংহ

 

উত্তর : জাকাত আদায় হওয়ার জন্য জাকাতের টাকা যাকে দেওয়া হবে সে সাবালক হওয়া শর্ত নয়, বরং স্বেচ্ছায় খরচ করার বুঝ রাখেএমন হলেই তাকে জাকাত আদায় করা যাবে।

উল্লেখ্য যে নাবালক ছেলের বাবা ধনী হলে ছেলেকে জাকাত দিলে জাকাত আদায় হবে না। তাই নাবালককে জাকাত দেওয়ার সময় এ বিষয়টি খেয়াল করতে হবে।

(রাদ্দুল মুহতার : ২/৩৪৯, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল

মিল্লাত : ৫/৩৭৬)

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

যেসব আমলে সদকার সওয়াব মেলে

মাইমুনা আক্তার
মাইমুনা আক্তার
শেয়ার
যেসব আমলে সদকার সওয়াব মেলে

মহান আল্লাহকে খুশি করার অন্যতম মাধ্যম সদকা। সাধারণত আমরা সদকা বলতে বুঝি, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সওয়াবের আশায় কাউকে অর্থ-সম্পদ, খাবার কিংবা পোশাক ইত্যাদি দান করা। সদকাকে এই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা হলে মনে হবে সদকার সম্পর্ক শুধু অর্থ-সম্পদের সঙ্গে। যার কাছে অর্থ-সম্পদ আছে, সেই শুধু সদকা করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে।

যার কাছে নেই, তার সদকার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের কোনো ব্যবস্থা নেই; কিন্তু বিষয়টি আসলে এ রকম নয়। রাসুল (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, যারা অসচ্ছল, যাদের কাছে সদকাযোগ্য অর্থ-কড়ি নেই, তাদের জন্যও সদকা করার রাস্তা খোলা আছে। সদকা মূলত দুই প্রকার১. অর্থ-সম্পদের মাধ্যমে সদকা। ২. আমলের মাধ্যমে সদকা।
নিম্নে কোরআন-হাদিসের আলোকে আমলের মাধ্যমে সদকার ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।

আমলের মাধ্যমে সদকা

তাসবিহ, জিকির ইত্যাদি : আবু জার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-এর কিছুসংখ্যক সাহাবি তাঁর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, ধন-সম্পদের মালিকরা তো সব সওয়াব নিয়ে নিচ্ছে। কেননা আমরা যেভাবে নামাজ আদায় করি তারাও সেভাবে আদায় করে। আমরা যেভাবে সিয়াম পালন করি তারাও সেভাবে সিয়াম পালন করে।

কিন্তু তারা তাদের অতিরিক্ত সম্পদ দান করে সওয়াব লাভ করছে অথচ আমাদের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি (সা.) বলেন, আল্লাহ তাআলা কি তোমাদের এমন কিছু দান করেননি, যা সদকা করে তোমরা সওয়াব পেতে পার? আর তা হলো প্রত্যেক তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) একটি সদকা, প্রত্যেক তাকবির (আল্লাহু আকবার) একটি সদকা, প্রত্যেক তাহমিদ (আলহামদু লিল্লাহ) বলা একটি সদকা, প্রত্যেক লাইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা একটি সদকা। (মুসলিম, হাদিস : ২২১৯)

সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে

নিষেধ : মানুষকে সৎ কাজের আহ্বান করা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য উৎসাহী করাও সদকা সমতুল্য। রাসুল (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক ভালো কাজের আদেশ দেওয়া এবং মন্দ কাজ করতে দেখলে নিষেধ করা ও বাধা দেওয়া একটি সদকা।

(মুসলিম, হাদিস : ২২১৯)

নম্র ব্যবহারও ভালো কাজ : মহান আল্লাহ প্রতিটি পুণ্যের কাজকেই সদকা হিসেবে গণ্য করেন।

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, প্রতিটি পুণ্যই

দান-খয়রাতস্বরূপ। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে তোমার হাসিমুখে সাক্ষাৎ এবং তোমার বালতি থেকে তোমার ভাইয়ের পাত্রে একটু পানি ঢেলে দেওয়াও সৎ কাজের অন্তর্ভুক্ত।

(আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৩০৪)

উল্লিখিত আলোচনা দ্বারা বোঝা যায়, সদকা শুধু ধনাঢ্য ব্যক্তিদের আমল নয়, অসচ্ছল দরিদ্র ব্যক্তিরাও কিছু কিছু কাজের মাধ্যমে সদকার সওয়াব পেতে পারে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ