<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টাঙ্গাইলের গণপূর্ত বিভাগের সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন। বর্তমানে তিনি শেরেবাংলানগর গণপূর্ত বিভাগ-৩-এ কর্মরত। ঘুষ গ্রহণ, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে আলমগীর ও তাঁর স্ত্রী তাহমিনা তামান্না রুমার নামে থাকা তিন কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দ করেছেন আদালত। যেখানে রুমার সম্পদের পরিমাণ তাঁর স্বামী আলমগীরের চেয়ে বেশি। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দুদক সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর ও তাঁর স্ত্রী রুমার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মাহবুবুল আলমকে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অবিলম্বে আলমগীর ও তাঁর স্ত্রী রুমার স্থাবর সম্পদসমূহ জব্দের আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রুমার দুই কোটি ছয় লাখ টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল হাউজিং এস্টেটের ৫.৭৮ শতাংশের অংশ জমি, যার প্রদর্শিত মূল্য আড়াই লাখ টাকা। টাঙ্গাইলে বিশ্বাস বেতকা মৌজার বাড়িশ্রেণির তিন শতাংশ জমি। যার প্রদর্শিত মূল্য ৬৫ লাখ টাকা। ঢাকার মিরপুর হাউজিং এস্টেটের ১৫ নম্বর সেকশনের ডি-ব্লকের ১/২ নম্বর প্লট বা বাড়ি (আবাসিক কাম বাণিজ্যিক)-এর ১৬.২ একর ভূমির ওপর নির্মিত ব্লক-৮-এ ১৫ তলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবনের টাইপ-এ, টাওয়ার-২-এর সপ্তমতলার ফ্ল্যাট, কমন স্পেসসহ ফ্ল্যাটের আয়তন ১৮৭২ বর্গফুট এবং নিচতলার ১২৫ বর্গফুট আয়তনের একটি কার পার্কিং স্পেস। যার প্রদর্শিত মূল্য ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। টাঙ্গাইলে বাড়িশ্রেণির দশমিক ৫৫৫৬ শতাংশ জমি। যার প্রদর্শিত মূল্য ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০ টাকা। টাঙ্গাইলে বাড়িশ্রেণির স্থাপনাবিহীন পাঁচ শতাংশ জমি। যার প্রদর্শিত মূল্য ৮০ লাখ টাকা। এসব জমি ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ২৫ মে পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে আলমগীরের এক কোটি ২৮ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইলে আকুরটাকুর মৌজার ৫.৭৮ শতাংশ জমির একের চতুর্থাংশ। যার প্রদর্শিত মূল্য আড়াই লাখ টাকা। টাঙ্গাইলের সাবালিয়া মৌজায় বাড়িশ্রেণির দশমিক ৩৯৬ শতাংশ জমি। যার প্রদর্শিত মূল্য ছয় লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ টাকা। টাঙ্গাইলের সাবালিয়া মৌজায় বাড়িশ্রেণির দশমিক শূন্য ৫৭ শতাংশ জমি। যার প্রদর্শিত মূল্য এক লাখ তিন হাজার ৬৪০ টাকা। টাঙ্গাইলের বিশ্বাস বেতকা মৌজার বাড়িশ্রেণির তিন শতাংশ জমি। যার প্রদর্শিত মূল্য ৬৫ লাখ টাকা। টাঙ্গাইলের বিশ্বাস বেতকা মৌজার বাড়িশ্রেণির আরো তিন শতাংশ জমি। যার প্রদর্শিত মূল্য ৩৩ লাখ টাকা।  টাঙ্গাইলে সাবালিয়া মৌজার বাড়িশ্রেণির দশমিক ৫৫৫৬ শতাংশ জমি। যার প্রদর্শিত মূল্য ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০ টাকা। ঢাকার মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা মৌজার ৩৮ শতাংশ বাড়িশ্রেণির জমি ও পুরাতন ১৬০০ বর্গফুটের চারতলা বাড়ির হারাহারি অংশ। যার প্রদর্শিত মূল্য সাত লাখ ২৩ হাজার ৮১০ টাকা। এসব সম্পদ ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>