<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুথানে আহত ও নিহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং নিহতদের পরিচয়পত্র প্রদানে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়েছে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির আহত ছাত্র-জনতা। গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, মাসিক ভাতা ও সুচিকিৎসার দাবিতে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির আহত ছাত্র-জনতার ব্যানারে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। সেখানে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভ্যুত্থানে আহত কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. তৌফিক শাহারিয়ারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহীদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, বুয়েটের এআরআই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি সমন্বয়ক নাজমুল হাসান প্রমুখ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিহতদের নিখুঁত তালিকা এবং আহতদের তালিকা তৈরি করতে হবে। আহতদের মিনিমাম ৫০ লাখ টাকা করে দিতে হবে। নিহতদের এক কোটি টাকা করে দিতে হবে। সরকারের প্রথম এবং প্রধান কাজ উচিত ছিল, আহতদের খুঁজে খুঁজে বের করে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সরকারের উচিত ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাঁরা বলেন, এই গণ-অভ্যুত্থানের সরকার রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ও রাষ্ট্র সংস্কারে আমাদের সমর্থিত সরকার। কিন্তু পাঁচ মাসে সরকারের কর্মকাণ্ড আমাদের হতাশ করেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৯ দফা দাবি হলো এক সপ্তাহের (১৯ জানুয়ারি) মধ্যে আহত ও নিহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং তাঁদের পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) দিতে হবে; আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে (দেশে-বিদেশে); আহতদের আজীবন বিনা মূল্যে সরকারিভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে; আহত ব্যক্তি ও নিহতের পরিবারকে সরকারি মাসিক সম্মানী ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে; আহত ব্যক্তি ও নিহতের পরিবারকে দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; আহত ব্যক্তি বা নিহত ব্যক্তির পরিবারকে পরবর্তী কোনো সরকার কর্তৃক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা রাজনৈতিকভাবে কোনো হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া যাবে না এই মর্মে আইন পাস করতে হবে; শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আহত ও নিহতদের পরিবারকে দ্রুত সহায়তা দিতে হবে; জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার করতে হবে; ২৪ গণ-অভ্যুত্থানের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে এবং সব দাবি সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>