ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬
পরিচয়পত্র প্রদানের দাবি

গণ-অভ্যুত্থানে আহত নিহতদের তালিকা প্রকাশে আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গণ-অভ্যুত্থানে আহত নিহতদের তালিকা প্রকাশে আলটিমেটাম

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুথানে আহত ও নিহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং নিহতদের পরিচয়পত্র প্রদানে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়েছে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির আহত ছাত্র-জনতা। গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, মাসিক ভাতা ও সুচিকিৎসার দাবিতে গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির আহত ছাত্র-জনতার ব্যানারে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। সেখানে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা।

অভ্যুত্থানে আহত কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. তৌফিক শাহারিয়ারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহীদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, বুয়েটের এআরআই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি সমন্বয়ক নাজমুল হাসান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিহতদের নিখুঁত তালিকা এবং আহতদের তালিকা তৈরি করতে হবে। আহতদের মিনিমাম ৫০ লাখ টাকা করে দিতে হবে। নিহতদের এক কোটি টাকা করে দিতে হবে।

সরকারের প্রথম এবং প্রধান কাজ উচিত ছিল, আহতদের খুঁজে খুঁজে বের করে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সরকারের উচিত ছিল।

তাঁরা বলেন, এই গণ-অভ্যুত্থানের সরকার রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ও রাষ্ট্র সংস্কারে আমাদের সমর্থিত সরকার। কিন্তু পাঁচ মাসে সরকারের কর্মকাণ্ড আমাদের হতাশ করেছে।

৯ দফা দাবি হলো এক সপ্তাহের (১৯ জানুয়ারি) মধ্যে আহত ও নিহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং তাঁদের পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) দিতে হবে; আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে (দেশে-বিদেশে); আহতদের আজীবন বিনা মূল্যে সরকারিভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে; আহত ব্যক্তি ও নিহতের পরিবারকে সরকারি মাসিক সম্মানী ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে; আহত ব্যক্তি ও নিহতের পরিবারকে দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; আহত ব্যক্তি বা নিহত ব্যক্তির পরিবারকে পরবর্তী কোনো সরকার কর্তৃক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা রাজনৈতিকভাবে কোনো হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া যাবে না এই মর্মে আইন পাস করতে হবে; শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আহত ও নিহতদের পরিবারকে দ্রুত সহায়তা দিতে হবে; জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার করতে হবে; ২৪ গণ-অভ্যুত্থানের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে এবং সব দাবি সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘অর্থনীতি খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘অর্থনীতি খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে’

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ নিয়ে দেশটির গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড যে মন্তব্য করেছেন, তাতে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে বহুপক্ষীয় বা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না।

গতকাল মঙ্গলবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ওপর দীর্ঘদিনের দুর্ভাগ্যজনক নির্যাতন, হত্যা ও নিপীড়নের ঘটনা মার্কিন সরকার এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসনের একটা বড় উদ্বেগের জায়গা।

গ্যাবার্ডের ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

গার্ডিয়ান পত্রিকার সাংবাদিক হান্না বাংলাদেশ সফর করে গিয়ে লিখেছেন, বাংলাদেশ খাদের কিনারায় আছে, উনি কেন এটা বললেন বলে আপনাদের মনে হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, খাদের কিনারায় ছিল। এখন খাদের কিনারা থেকে আমরা রিটার্ন করে চলে আসছি।

উনারা কত কিছু লেখেন। অর্থনীতির বিষয় তো আমি জানি, ভেতরে কী হচ্ছে। কে কী লিখেছেন, এতে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গেল আট মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতি খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাইরের সবাই কি সব কিছু জেনেশুনে লেখেন! তাঁরা মনের মাধুরী মিশিয়ে অনেক কিছু লেখেন। এ ছাড়া তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে আমাদের অর্থনীতিতে বহুপক্ষীয় বা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দিকে অনেকেই তাকিয়ে আছে। কিছু ভুলত্রুটি থাকলেও অবস্থা সন্তোষজনক।

২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও সরকারের প্রচেষ্টায় ত্রুটি নেই জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর তালিকায় প্রবেশ বা এলডিসি উত্তরণ গৌরবের।

২০২৬ সালেই এলডিসি উত্তরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এলডিসির একটা স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি নিয়েছি। স্মুথ মানে ধুম করে নামে না, প্লেন যেমন ধীরে ধীরে নামে। আমরা এটা অলরেডি করছি। এর মধ্যে কোনো সমস্যা হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। আমাদের বলা হয়েছে, তোমরা যদি উত্তরণ ঘটাও, অন্যান্য দেশ সাহস পাবে। এতে দেশ হিসেবে আমাদের গৌরব একটু বাড়বে। সে জন্য কিছু প্রস্তুতি লাগবে, আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 

এপ্রিলে দুই কার্গো এলএনজি কেনা হবে

গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে ২ এপ্রিল ও ১২ এপ্রিল দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের টোটাল এনার্জিসের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ১৪.২২ ডলারে এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য কার্গো ১৪.৪৮ ডলারে কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এই দুই কার্গো এলএনজি আনতে ব্যয় হবে এক হাজার ৩৭৬ কোটি ৪৭ লাখ তিন হাজার ৬৮০ টাকা।

খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৯.৫৫ ডলার।

স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৯৪ টাকা ২৩ পয়সা দরে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি লিটার ১৬২ টাকা ৫০ পয়সা দরে কেনা হচ্ছে এক লাখ ১০ হাজার লিটার রাইস ব্র্যান তেল। এতে ব্যয় হবে ২৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, মজুমদার প্রডাক্টস লিমিটেড ও মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেড থেকে এই তেল কেনা হবে। মেসার্স মদিনা ট্রেডিং করপোরেশন ও মেসার্স পায়েল ট্রেডার্স থেকে মসুর ডাল কেনা হবে। 

 

সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের ব্যয় ১,৫১৩ কোটি টাকা 

স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের ট্রিটেড ওয়াটার প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইনস স্থাপনের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। দুই প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৫১৩ কোটি ২৪ লাখ ১১ হাজার ৯২২ টাকা।

এর মধ্যে এক হাজার ৩৯ কোটি ৫৫ লাখ ১২ হাজার ৪৪৭ টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্পে ট্রিটেড ওয়াটার প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইনস স্থাপনের পূর্ত কাজ চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কো. বাস্তবায়ন করবে। ৪৭৩ কোটি ৬৮ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৪ টাকা ব্যয়ে অন্য প্রকল্পের কাজ যৌথভাবে হুবেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনস্ট্রাকশন গ্রুপ (এইচআইসিসি) ও এসআর করপোরেশন (এসআরসি) বাস্তবায়ন করবে।

 

নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন

ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) মালিকানাধীন ৬০০ একর জমিতে গ্রাউন্ড মাউন্টেড সোলার ভিপি (১০০-২০০ মেগাওয়াট) নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। গতকাল সভায় জানানো হয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমিতে এখন প্রকল্পটি পিপিপির অধীনে বাস্তবায়ন করা হবে।

 

মন্তব্য
নৌপরিবহন উপদেষ্টা

ঈদে নৌপথের যাত্রা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদে নৌপথের যাত্রা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন নৌপথের যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানগুলো সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় জুম প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান।

সভায় উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন ঈদে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানগুলো সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এর মধ্যে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দূরপাল্লার লঞ্চগুলোতে সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে। নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে নৌপথের বিশেষ অপরাধপ্রবণ জায়গাগুলোতে বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে ফেরি ও যাত্রীবাহী জাহাজে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য বিআইডব্লিউটিসির কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের লোকজনকে প্রয়োজনে ০২২২৩৩৬২৭৭৯ ও ০১৪০৪৪৪৩৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করে সেবা নিতে বলা হয়েছে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা নৌ-দুর্ঘটনা রোধে ঈদের আগের পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন দিনরাত মিলিয়ে সার্বক্ষণিক বাল্কহেড (বালুবাহী) চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

 

মন্তব্য

হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
শেখ হাসিনা

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৩১টি অ্যাকাউন্টের অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের অস্থাবর সম্পদ/সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন/স্থানান্তর বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন এ মর্মে অবরুদ্ধকরণের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১১ মার্চ শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ এবং শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির বাসভবন সুধা সদনসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরো কিছু সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেন আদালত।

একই সঙ্গে শেখ হাসিনাসহ পরিবারের সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়।

 

 

মন্তব্য

যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান
শফিক রেহমান

যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের স্বাক্ষর করা অফিস আদেশে তাঁকে এই ডিক্লেয়ারেশন প্রদান করা হয়েছে।

ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (প্রকাশনা ও ছাপাখানা শাখা) নুসরাত নওশীন এই তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে প্রকাশের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ জাতীয় এই দৈনিকের ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করে সরকার।

অফিস আদেশ অনুযায়ী, যায়যায়দিন পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য যে অনুমোদিত প্রেস রয়েছে সেখান থেকে ছাপা হচ্ছে না, কিন্তু প্রিন্টার্স লাইনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে মর্মে শফিক রেহমান অভিযোগ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার পর এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পত্রিকাটি মুদ্রণের ডিক্লেয়ারেশন বা ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়।

আদেশ অনুযায়ী, যায়যায়দিন পত্রিকা প্রকাশে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ১০ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে যায়যায়দিন পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে যে ঘোষণাপত্র ছিল তা বাতিল করা হয়।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ