<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজশাহীর বাগমারায় এক রাজকারকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানরা। এ সময় তাঁরা ইসমাইল হোসেন গাইন নামের ওই ব্যক্তিকে রাজাকার বলে অভিযুক্ত করে গেজেট থেকে নাম বাতিলের দাবি জানান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন মিলমালত। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্বার্থান্বেষী কিছু নেতার কারণে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর রাজাকার ও তাঁদের মধ্যে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার ইসমাইল হোসেন গাইনকেও বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রাখা হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে নিজেদের সম্মানহানি ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসমাইল হোসেন গাইনের অপকর্মের কথা উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন মিলমালত বলেন, বাগমারায় রাজাকার বাহিনীর অন্যতম সদস্য ইসমাইল হোসেন গাইন মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাই তিনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিত পরিবারগুলোর সদস্যদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসমাইল হোসেন গাইনের ছেলে জিল্লুর রহমান স্থানীয় এমপি (রাজশাহী-৪) এনামুল হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। ২০২১ সালের ১৫ জুন বাগমারা উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি তাঁর নাম জামুকায় (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) পাঠায়। পরে তাঁকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় ইসমাইল হোসেন গাইনকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আমি বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, আব্দুস সালাম, ইউসুফ আলী খন্দকার বুলবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান খোদা বক্স, ফজলুর রহমান, জনাব আলী, আজাজুল ইসলাম প্রমুখ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমপি এনামুল হকের সাবেক মিডিয়া কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বিষয়টি যাচাই করছেন। এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>