ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬
সচিব কমিটির বৈঠকে উঠছে আজ

হালনাগাদ হচ্ছে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা

  • স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ বাস্তবায়নে কাজ করবে
দেলওয়ার হোসেন
দেলওয়ার হোসেন
শেয়ার
হালনাগাদ হচ্ছে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা

স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হালনাগাদ হচ্ছে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ বিবেচনায় নিয়ে তিন ধাপে এই নীতিমালার কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্প, ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এই নীতিমালা বাস্তবায়িত হবে।

খসড়া নীতিমালা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত নতুন এ নীতিমালায় একটি রূপকল্প, ৯টি উদ্দেশ্য, ৭৩টি কৌশলগত বিষয়বস্তু ও ৩৩০টি করণীয় উল্লেখ করা হয়েছে।

রূপকল্প ও উদ্দেশ্যকে জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে। বৃহত্তর উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল রেখে কৌশলগত বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে, যার সুফল ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সমপ্রসারণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদার বাড়াতে এই নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্তমান নীতিমালায় উদ্দেশ্য আটটি, কৌশলগত বিষয়বস্তু ৫৫টি ও ৩০৬টি করণীয় রয়েছে।
জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা-২০২৪-এর খসড়া অনুমোদনের জন্য আজ বুধবার সচিবালয়ে প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে উঠতে যাচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সচিব কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে।

সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা হালনাগাদ করা হচ্ছে।

২০০৯ সালে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল। এরপর ২০১৫ ও ২০১৮ সালে দুই দফায় হালনাগাদ করা হয়। এবার ছয় বছর পর আবার হালনাগাদ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, সরকার যখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশাল কর্মযজ্ঞ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, তখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে।

আর এ বিপ্লবের গতি দ্রুততর করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), রোবটিকস, ব্লকচেইন, অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর), ভার্চুয়াল রিয়ালিটির (ভিআর) মতো অগ্রসর প্রযুক্তি। এমন এক বাস্তবতায় সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে শুধু তাল মেলানো নয়, নেতৃত্ব দিতে চায়। এ দুটি লক্ষ্য পূরণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা সংশোধন করা খুবই জরুরি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি শুম্ভস্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজব্যবস্থা। প্রতিটি স্তম্ভের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমনস্মার্ট বাংলাদেশের একজন স্মার্ট নাগরিক হবে বুদ্ধিদীপ্ত, দক্ষ, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, প্রগতিশীল, অসামপ্রদায়িক চেতনায় জাগ্রত দেশপ্রেমিক এবং সমস্যা সমাধানের মানসিকতাসম্পন্ন নাগরিক। স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, সার্কুলার, উদ্যোক্তামুখী, গবেষণা ও উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমন্বয়ে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি। স্মার্ট সরকার হবে নাগরিককেন্দ্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারব্যবস্থা, যা হবে কাগজবিহীন, উপাত্তনির্ভর, আন্ত সংযুক্ত, আন্ত চালিত, সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয়। স্মার্ট সমাজ হবে বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা, যা হবে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ সহনশীল সমাজ, যা নিরাপদ ও টেকসই। এই চারটি স্তম্ভের ভিত্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, যা উচ্চ আয়ের একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের হাতে উপহার তুলে দেন পরিবেশ উপদেষ্টা

শেয়ার
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের হাতে উপহার তুলে দেন পরিবেশ উপদেষ্টা
শাহজালাল বিমানবন্দরে গতকাল জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের হাতে উপহার তুলে দেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি : পিআইডি
মন্তব্য

সংস্কারে ১১ দল মতামত দিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সংস্কারে ১১ দল মতামত দিয়েছে

সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ব্যাপারে আরো চারটি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত জানিয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১১টি দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে। এ দলগুলোকে নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবার নাগাদ আলোচনা শুরু করা হতে পারে। দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে এসব আলোচনা জাতীয় সংসদ ভবনে করা হবে।

এর বাইরেও ১৮টি রাজনৈতিক দল পূর্ণাঙ্গ মতামতের জন্য অতিরিক্ত কিছুদিন সময় চেয়েছে সংস্কার কমিশনের কাছে।

গতকাল রবিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানায়, মতামতের বিষয়ে কোনো কিছু না জানানো দলগুলোর সঙ্গে কমিশন পুনরায় যোগাযোগ করছে। এর আগে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত চেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছিল।

মন্তব্য

জুলাই আন্দোলনে আহতদের পুনাকের আর্থিক সহায়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাই আন্দোলনে আহতদের পুনাকের আর্থিক সহায়তা

বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে পুনাক সভানেত্রী আফরোজা হেলেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ও জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৫০ জনকে দেখতে যান। এ সময় তিনি তাঁদের হাতে আর্থিক সহায়তার অর্থ তুলে দেন। তিনি তাঁদের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসা সম্পর্কে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুনাকের সহসভানেত্রী আইরিন রহমান, সাধারণ সম্পাদিকা কানিজ ফাতেমা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা তৌহিদা নূপুর।

মন্তব্য
পিলখানা হত্যাকাণ্ড

২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশ আজ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাগারে থাকা ২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত এ দিন ধার্য করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়েছিল। ওই দিন শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ