<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার আরো বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে সব ধরনের সুদের হার বেড়ে যাবে এবং ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, মুদ্রানীতি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার বিদ্যমান ৮.৫০ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। দুই বছর ধরে ক্রমাগত বাড়ছে নীতি সুদহার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নীতি সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নীতি সুদের করিডরের ঊর্ধ্বসীমা এবং নিম্নসীমাও বাড়ানো হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, নীতি সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে সুদহার ১০ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১০.৫০ শতাংশে এবং নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৭ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৭.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়। বিষয়টি হলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মনে করে সমাজে অর্থের সরবরাহ বেশি এবং সে কারণে মূল্যস্ফীতির সূচক বাড়ছে, তাহলে অর্থপ্রবাহ কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে তারা। নীতি সুদহার বৃদ্ধির অর্থ হলো, ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত সুদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হবে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে ঋণ দেয়, তার সুদহার বাড়ে। নীতি সুদহার বেশি থাকলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে নিরুৎসাহ হয়। নীতি সুদহার হলো রেপো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে গত ১৩ বছরের মধ্যে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠার তথ্য প্রকাশিত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার আরো বাড়ানোর ঘোষণা দিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১১.৬৬ শতাংশ। গত জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৭২ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল সর্বোচ্চ ১১.৯৭ শতাংশ। এরপর গত জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি আবার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়ায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত জুলাই মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.১০ শতাংশে। বিবিএসের হিসাবে, জুনে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৪২ শতাংশ। এই এক মাসের ব্যবধানে হঠাৎ খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেকটা বেড়ে যায়। জুলাইয়ে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির যে হার দাঁড়িয়েছে, তা গত ১৩ বছর চার মাস বা ১৬০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।</span></span></span></span></p>