ঢাকা, সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫
২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫
২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৬
শুভ কাজে সবার পাশে

শুভসংঘের উদ্যোগে নতুন ঘর পেলেন নেজাম

  • কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রী শামা পেলেন বই ও শিক্ষাসামগ্রী কেনার টাকা
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
শুভসংঘের উদ্যোগে নতুন ঘর পেলেন নেজাম
ফেনী সদরে নিজের নতুন ঘরের সামনে দাঁড়ানো শারীরিক প্রতিবন্ধী নেজাম উদ্দিন। ছবি : কালের কণ্ঠ

বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার ফেনী সদরের মাথিয়ারা গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী নেজাম উদ্দিনকে একটি নতুন ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। কুড়িগ্রামে কলেজছাত্রী শামার হাতে বই ও শিক্ষাসামগ্রী কেনার টাকা তুলে দেন শুভসংঘের সদস্যরা। প্রতিনিধিদের খবরে :

ফেনী : একেবারেই নিঃস্ব ফেনী সদরের পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামের মিস্ত্রি বাড়ির শারীরিক প্রতিবন্ধী নেজাম উদ্দিন। তাঁর নেই কোনো স্থায়ী আয়ের পথ।

স্ত্রীও অসুস্থ। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় তাঁর ঘরের চারপাশের টিনগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুভসংঘ ফেনী শাখার সদস্যরা তাঁর বিধ্বস্ত ঘরটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন।

শুভসংঘের উদ্যোগে নতুন ঘর পেলেন নেজামগতকাল সকালে মিস্ত্রি মাইন উদ্দিন ও খুরশীদের তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘ ফেনী শাখার উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান দারা, সভাপতি ফয়জুল হক বাপ্পি, সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসিম আনোয়ার জাকি, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর ফেনী শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শুভ চৌধুরীসহ ‘শুভসংঘ’ সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এসব কার্যক্রম সমন্বয় করছে পুনর্বাসনে সমন্বিত উদ্যোগ ‘ঘুরে দাঁড়াবে ফেনী’।

নাসিম আনোয়ার জাকি বলেন, ‘এসব পরিবারের বেশির ভাগ ঘর নষ্ট হয়েছে। আমরা আরো কয়েকটি ঘর মেরামত করে দিতে পারব।

নতুন ঘর পেয়ে নেজাম শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।’

কুড়িগ্রাম : ‘ওর বাবা মারা যায় ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট। তখন আমার মেয়ের বয়স চার বছর। সেই তখন থেকে আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসারটা চালাচ্ছি। খুব কষ্ট করে গতবার এসএসসি পাস করেছে আমার মেয়েটি।

কলেজে ভর্তি করানো হলো, কিন্তু বই কেনার টাকা নেই। এখনো ক্লাসে যেতে পারে না। আমি বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই বইগুলো কিনে দেওয়ার জন্য। আমি চাই তারা সব সময় আমার মতো অসহায় মানুষের পাশে থাক।’

কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কবিরাজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোছা. নিলুফা ইয়াসমিন। নিলুফার ঘরে এক মেয়ে। তার নাম শামসা বেগম শামা। সে এখন নিলারাম স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ে। শামার পাশে দাঁড়িয়েছে শুভসংঘ। গতকাল সদর উপজেলার নিজ বাড়িতে সংগঠনের সদস্যরা তার হাতে তুলে দেন বই ও শিক্ষাসামগ্রী কেনার টাকা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘ জেলা শাখার সভাপতি খন্দকার খায়রুল আনম, স্বাধীন বাংলা টিউটরিয়াল হোমসের স্বত্বাধিকারী জাহিদ হাসান বাবু, আনন্দবাজার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুল কাদের, সমাজসেবক আব্দুল লতিফ, কালের কণ্ঠ’র উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি তামজিদ হাসান তুরাগ প্রমুখ।

শিক্ষা সহায়তা পেয়ে শামসা বেগম শামা বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এ সময় সে ভবিষ্যৎ জীবনের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা তুলে ধরে জানায়, নিজেকে একজন সফল ব্যক্তিত্বে পরিণত করে মানবিক মানুষ হয়ে উঠতে চায়। সে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতো শুভ কাজে সবার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মোহাম্মদপুরে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মোহাম্মদপুরে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫

সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার এ কে এম মেহেদী হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার দিনভর মোহাম্মদপুর ও আদাবরের বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন জাবেদ, রুবেল, মুরাদ, তাহিদুল, মিরাজ, সাম, মুনসুর, আরিফ, মন্টি পাটোয়ারী, জামিল, সজল, শোয়েব, মাহাফুজ, আরিফ ও রাশেদ।

মন্তব্য

রাজবাড়ীর সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী রাজধানীতে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাজবাড়ীর সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী রাজধানীতে গ্রেপ্তার

রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীকে রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের অভিযোগে মামলা আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবিপ্রধান) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, কাজী কেরামত আলীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও রাজবাড়ীতে একাধিক মামলা রয়েছে।

এর যেকোনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

মন্তব্য

‘গরমে সব আদালতে যেন এসি দেওয়া হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘গরমে সব আদালতে যেন এসি দেওয়া হয়’

গরমে অধস্তন আদালতের এজলাসে (বিচারকক্ষে) শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এয়ার কন্ডিশনার-এসি) বসাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার। গতকাল রবিবার তিনি এ অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, গরমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের কালো গাউন পরতে হবে।

গরমে কালো গাউন পরা নিয়ে গত ২৫ মার্চ বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞার দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী তাপপ্রবাহের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো। এ নির্দেশনা ৬ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

গতকাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি তুলে ধরেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। সুপ্রিম কোর্টের এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ট্রাইব্যুনাল গরমে গাউন পরা শিথিল করবে কি না জানতে চান।

তখন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, এখানে তো এসি আছে, তাই এখানে গাউন পরতে হবে। এসি থাকলে গাউন পরতে সমস্যা কী? তার পরও কেউ যদি গরমে গাউন পরতে অসুবিধা বোধ করেন, আমাদের বললে আমরা সেটি বিবেচনা করব।

চেয়ারম্যান বলেন, নিম্ন আদালতের প্রতিটি কোর্টে যেন এসি থাকে, সেই ব্যবস্থা করা উচিত। সেখানে বিচারপ্রার্থী, আসামি, আইনজীবীসহ অনেক মানুষের উপস্থিতি থাকে।

এসি না থাকলে বিচারকরা কিভাবে বিচার করবেন? গরমে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। আমাদের হাম্বল রিকোয়েস্ট, সব আদালতে যেন এসি দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালে এ সময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও চিফ প্রসিকিউটরের পরামর্শক ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানও উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ছুটি শেষে খুলেছে সচিবালয় কাটেনি ঈদের আমেজ

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
ছুটি শেষে খুলেছে সচিবালয় কাটেনি ঈদের আমেজ

ঈদুল ফিতরের টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে গতকাল রবিবার খুলেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়। কর্মস্থলে ফিরছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি। প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে কর্মদিবস শুরু করেছেন।

অফিসে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি ও গল্প করছেন। 

গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশির ভাগই উপস্থিত, আবার অনেক কক্ষে চেয়ার-টেবিল ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। কোলাকুলি করছেন একে অপরের সঙ্গে।

সচিবালয়ে গাড়ি রাখার স্থানগুলো অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল। তবে সচিবালয়ের করিডর, লিফটগুলোর সামনে ভিড় ছিল না, আর সচিবালয়ে দর্শনার্থী কক্ষটিও ছিল ফাঁকা। আর গাড়ি রাখার স্থানগুলো অন্যান্য সময়ের মতো গাড়িতে ভরা ছিল না।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার অফিস খুলেছে, তবে অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি উপভোগ করছেন।

ঈদের পরে প্রথম কর্মদিবস মোটামুটি এমনই হয়ে থাকে। খুব একটা কাজ হয় না, আবার অনেকেই ছুটিতে থাকেন। যাঁরা অফিসে এসেছেন তাঁরাও গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে সচিবালয়ের অফিস পুরোদমে শুরু হবে বলে মনে করেন তাঁরা।

গত সোমবার দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে ২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল (শনি, রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার) সাধারণ ছুটি এবং ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। সব মিলিয়ে এবার ঈদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা ৯ দিন ছুটি ভোগ করেছেন। ছুটি শেষে গতকাল অফিস শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ