<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) গণ-অভ্যুত্থানে আহত রোগীদের চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা, নোংরা পরিবেশ ও রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এ সময় বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যেভাবে কাজ করার কথা, সেভাবে কাজ করছেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাভারের সিআরপিতে গণ-অভ্যুত্থানে আহত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সারজিস আলম এই মন্তব্য করেন। এর আগে তিনি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসায় অবহেলা রয়েছে কি না, খাবার এবং পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। গণ-অভ্যুত্থানে আহত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি চিকিৎসা নিচ্ছেন সিআরপিতে। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই এখানে এসেছেন বলে জানিয়েছেন সারজিস আলম।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিদর্শন শেষে সারজিস আলম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে সক্রিয় উপদেষ্টা হওয়ার কথা ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার, যিনি অফিস মন্ত্রণালয়ে না করে হাসপাতালে করবেন। প্রতিটি হাসপাতালে তিনি দৌড়ে বেড়াবেন। আমরা এই কথাটা বারবার বলছি যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আমরা যেমন অ্যাকটিভ দেখতে চাই, তেমনটা দেখতে পাই না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">  আক্ষেপ জানিয়ে সারজিস বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেন আমরা এখনো এখানে আসব? আজ দুই থেকে আড়াই মাস হয়ে যাচ্ছে অথচ আহতরা বলছে, সরকার থেকে কোনো সাহায্য পায়নি! একটা মন্ত্রণালয়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা কী খুব বড় ব্যাপার? এই একেকটা মানুষকে যদি এক লাখ টাকা করে দেয় তাহলে কী খুব বেশি টাকা লাগবে?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাভার সিআরপির বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ গেছে। অনেক ছবি ও ভিডিও পেয়েছি। এখানকার পরিবেশ অনেক খারাপ। এখানকার স্টাফ ভাই-বোনদের ব্যবহার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। রোগীদের বেডশিটের পরিবর্তে পেপার দেওয়া হচ্ছে। যেখানে গুলি লেগেছে, ক্ষত শুকাচ্ছে, ওই জায়গায় এই পেপার দেওয়া মানে আরো বেশি ইনফেকশন করবে। এই পেপার তো দোকান থেকে কেজি দরে কিনে আনা হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখানে খাবারের মানও অত্যন্ত খারাপ। যেদিন অভিযোগ দেওয়া হয়, সেদিন একটু ভালো, তারপরই আবার যে যার মনমতো খাবার দেয় এবং মানও কমে যায়। আরেকটা অভিযোগ হলো, এখানে কিছু বেড ও কেবিন দুই তিন বছর আগে থেকেই পরিত্যক্ত।</span></span></span></span></span></p>