<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি একক ডোজের চতুর্থ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেকোলিন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> জনসাধারণের মধ্যে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এই ভ্যাকসিন অনুমোদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশে অবস্থিত আইসিডিডিআরবির গবেষণা। জরায়ুমুখের ক্যান্সার মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী চলমান প্রচেষ্টায় এই নতুন ভ্যাকসিনের অনুমোদন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যেসব দেশে এইচপিভি ভ্যাকসিনের তীব্র ঘাটতি রয়েছে, সেসব দেশ এখন আরো সহজে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং কার্যকর এই ভ্যাকসিন পাবে। বাংলাদেশ সরকার ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী বা পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মেয়েদের বিনা মূল্যে এইচপিভি টিকা দিচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসকরা মাসব্যাপী এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য, বিশ্বে প্রতিবছর ছয় লাখ ৬০ হাজারের বেশি নারীর জরায়ুমুখের ক্যান্সার শনাক্ত হয়, যার ৯৫ শতাংশই এইচপিভি দ্বারা সৃষ্ট। নিরাময়যোগ্য হলেও এই ক্যান্সারে প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী মারা যায় এবং এই মৃত্যুর ৯০ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে ঘটে থাকে। বাংলাদেশে নারীদের জন্য এই ক্যান্সার অন্যতম স্বাস্থ্যগত সমস্যা। কিন্তু বিশ্বে এ টিকার সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বৃহস্পতিবার আইসিডিডিআরবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন ভ্যাকসিনের অনুমোদনের তথ্য জানানো হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাথ, আইসিডিডিআরবি এবং ঘানার বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে সিভিআইএ ০৮৭ ট্রায়াল পরিচালনা করেন। এই ট্রায়ালের মাধ্যমে চীনের ইনোভ্যাক্সের তৈরি বাইভ্যালেন্ট এইচপিভি ভ্যাকসিন সেকোলিন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত পাওয়া যায়। এই তথ্য পর্যালোচনা করার পর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেকোলিনকে একক ডোজ ভ্যাকসিন হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। আইসিডিডিআরবির গবেষণা কিভাবে বিশ্বব্যাপী টিকানীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখছে এটি তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইসিডিডিআরবির সিনিয়র সায়েন্টিস্ট এবং এই গবেষণার অন্যতম প্রধান গবেষক ড. কে জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের গবেষণা একক ডোজ ভ্যাকসিন হিসেবে সেকোলিনের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। এর ফলে ভ্যাকসিন সরবরাহে ঘাটতি আছে এমন দেশগুলোর জন্য একটি বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি হলো। এ রকম যুগান্তকারী কাজের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা একটি গর্বের মুহূর্ত, এবং আমরা আশা করি এটি এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচিতে মানুষের আস্থা বাড়াবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যান্য বেশির ভাগ ক্যান্সারের তুলনায় জরায়ুমুখের ক্যান্সার আলাদা। কেননা আমাদের এটি নির্মূল করার সক্ষমতা রয়েছে। তাই জরায়ুমুখের ক্যান্সার মোকাবেলায় আরেকটি একক ডোজের এইচপিভি ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার মাধ্যমে আমরা জরায়ুমুখের ক্যান্সার চিরতরে নির্মূল করার ক্ষেত্রে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জরায়ুমুখের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে টিকাই সবচেয়ে ভালো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। আমি সব মা-বাবা এবং অভিভাবকদের অনুরোধ করব যেন তাঁরা তাঁদের মেয়েদের এই জীবন রক্ষাকারী টিকা প্রদান নিশ্চিত করেন। এটি শুধু বিনা মূল্যে পাচ্ছে এমন মেয়েদের জন্য নয়, বরং ঝুঁকিতে থাকা প্রত্যেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>