ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৮ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৮ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬
এমপিওভুক্ত শিক্ষক

শূন্যপদে বদলি করা হচ্ছে

  • * এনটিআরসিএর নিয়োগপ্রাপ্তরা এই সুযোগ পাবেন * চাকরিজীবনে একবারই বদলি * চাকরির বয়স দুই বছর পূর্ণ হলে আবেদন * এ সপ্তাহে পরিপত্র জারি হতে পারে
শরীফুল আলম সুমন
শরীফুল আলম সুমন
শেয়ার
শূন্যপদে বদলি করা হচ্ছে

অবশেষে শূন্যপদে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু হতে যাচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদের বিপরীতে বদলির ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সপ্তাহের মধ্যেই এসংক্রান্ত পরিপত্র জারি হতে পারে। শুধু বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা তাঁদের চাকরিজীবনে একবারই এই বদলি হতে পারবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক অধিশাখা) জহিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদে বদলিসংক্রান্ত ফাইলের ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে মন্ত্রণালয়। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে এ সপ্তাহের মধ্যেই পরিপত্র জারি হতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পরিপত্র জারি হলেও সারা বছরই শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন না। এসংক্রান্ত একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করার পর বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় কিছু মানদণ্ডের ভিত্তিতে অনলাইনে বদলির আবেদন নেওয়া হবে।

এরপর একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলিযোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করা হবে।

সূত্র জানায়, ২০১৬ সাল থেকে এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সুপারিশ করে আসছে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক সুপারিশ করার ফলে নিজ উপজেলায় শূন্যপদ না থাকায় অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে মাদরাসায় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে মেরিট পজিশন অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষক সুপারিশ করা হয়েছিল।

এনটিআরসিএর নিয়োগ পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক যেকোনো বয়সে পরবর্তী যেকোনো গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেরিট পজিশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন। তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী শিক্ষক নিজ এলাকায় শূন্যপদ না থাকায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন। তবে পরবর্তী সময়ে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরিপত্র ২০১৫-এর ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সাময়িক স্থগিত করার কারণে চতুর্থ ও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের বদলি আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা সমস্যায় পড়েছেন।

জানা যায়, এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষকদের চাকরি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তাঁরা সরকার থেকে শুধু মূল বেতন পান।

এর বাইরে তাঁরা শুধু ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া পান। ফলে একজন সহকারী শিক্ষক শুরুতে অবসর ও কল্যাণের টাকা বাদ দিয়ে সর্বসাকল্যে বেতন পান প্রায় ১৬ হাজার টাকা। অথচ এনটিআরসিএ শিক্ষকদের দূর-দূরান্তের স্কুলে চাকরির সুপারিশ করছে। চাকরিপ্রার্থীরাও কোনো উপায় না পেয়ে সেখানে যোগদান করছেন।

বদলি নীতিমালার খসড়া থেকে জানা যায়, অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তি চলবে, যা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয় হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পর্যায়ে নিষ্পত্তি হবে। শুধু এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের চাকরির বয়স দুই বছর পূর্ণ হলেই তিনি নিজ স্থায়ী ঠিকানার এলাকায় বদলির আবেদন করতে পারবেন। একজন শিক্ষক চাকরিজীবনে শুধু একবারই বদলির সুযোগ পাবেন। তবে বদলির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সম্মতিপত্র বা অনাপত্তি লাগবে কি না তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

খসড়ায় আরো বলা হয়েছে, বদলির কারণে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকশূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পদের ৫০ শতাংশ শূন্য থাকলে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কাউকে বদলির আবেদন বিবেচনা করা হবে না। পদ শূন্য না থাকলে বদলির কোনো আবেদনই বিবেচনা করা হবে না। একই পদে একাধিক শিক্ষক বদলির আবেদন করলে এনটিআরসিএর মেধাক্রম ভিত্তিতে আবেদনটি বিবেচনা করা হবে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

শেয়ার
সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে গতকাল রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।   ছবি : কালের কণ্ঠ

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
শামা ওবায়েদ

সংস্কারের সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা

করুনফরিদপুর প্রতিনিধি
করুনফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
সংস্কারের সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা
শামা ওবায়েদ

অন্তর্বর্তী সরকারকে আহবান জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, আপনারা এ দেশের একটি ক্রান্তিকালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের আপনাদের ওপর ভরসা রয়েছে। আমরা সবাই চাই, আপনারা সফল হন। কিন্তু আপনাদের সফলতা তখনই হবে, যখন সংস্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার এমএন একাডেমি স্কুল মাঠে নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সংস্কারের অংশকে শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এখন সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যে প্রধান মৌলিক অধিকার, মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার, সেটি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলেই আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত সংসদ পাব।

আর সেই সংসদে গিয়ে সংসদ সদস্যরা দেশের মানুষের জন্য কথা বলবেন, দেশের জন্য কথা বলবেন।

 

মন্তব্য
আবুল কাসেম ফজলুল হক

আমরা জনগণের স্বার্থে সংস্কার চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আমরা জনগণের স্বার্থে সংস্কার চাই
আবুল কাসেম ফজলুল হক

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, আসলেই আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার দরকার। সংস্কার হতে পারে সর্বজনীন কল্যাণে। আবার তা হতে পারে উচ্চ শ্রেণির লোকদের সুবিধা থেকে। আমরা জনগণের স্বার্থে সংস্কার চাই।

সংস্কার সম্ভব হতে পারে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দ্বারা গঠিত নির্বাচিত সরকারের দ্বারা।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও রাজনীতি কী এবং কেন? শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বাংলাদেশের জনমনে রাজনীতির প্রতি, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এখন কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। জনমনের এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

এ জন্য দেশের বিবেকবান চিন্তাশীল লোকদের লিখতে হবে। উন্নত নতুন রাষ্ট্র ও রাজনীতির জন্য উদীয়মান রাজনীতিবিদদেরও লিখতে হবে।

বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার বলেন, ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা ক্ষমতা অপব্যবহার করে বিরাট অঙ্কের টাকা আয় করেন। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতিকেই তাঁরা অর্থ আয়ের অবলম্বন করে ফেলেন।

এই ধরনের রাজনীতিতে প্রকৃতপক্ষে কোনো রাজনীতি থাকে না। রাজনীতিকে পরিণত করা হয়েছে ব্যবসার পুঁজির বিষয়ে। গণতন্ত্র বলি, সমাজতন্ত্র বলি, ধর্ম বলি সব ক্ষেত্রেই রাজনীতিকে ব্যবসার অবলম্বনে পরিণত করা হয়েছে। 

আলোচনাসভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব লেখক অমূল্য কুমার বৈদ্যের সঞ্চালনায় অধ্যাপক ড. মো. শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী, শামীম ইসতিয়াক চৌধুরী, পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক বিজন হালদার, প্রভাষক মহাসীন আলমগীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

 

মন্তব্য

২০২৪ সালে মৃত্যু ৯ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর

    জাতিসংঘের তথ্য
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
২০২৪ সালে মৃত্যু ৯ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ বছর ছিল ২০২৪ সাল। বছরটিতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অভিবাসন রুটে প্রায় ৯ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা (আইওএম)। মৃত্যুর এই সংখ্যাকে ট্র্যাজেডি, অগ্রহণযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য বলে অভিহিত করেছে সংস্থাটি।

আইওএম বলেছে, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে যাত্রাপথে আট হাজার ৯৩৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর হিসাব রাখতে শুরু করে সংস্থাটি। সেই হিসাবে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে অন্তত ২০০ মানুষ বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।

২০২০ সাল থেকে অভিবাসন রুটে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

আইওএমের উপপরিচালক উগোচি ড্যানিয়েলস বলেন, বিশ্বজুড়ে অভিবাসী মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান ঘটনা একই সঙ্গে অগ্রহণযোগ্য, আবার সেটি প্রতিরোধযোগ্যও। প্রতিটি সংখ্যার পেছনে একজন মানুষ থাকে, যার জন্য এই ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ।

আইওএমের মিসিং মাইগ্র্যান্ট প্রজেক্ট অনুসারে, ২০২৪ সালে শুধু এশিয়া মহাদেশেই অন্তত দুই হাজার ৭৭৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন।

সংখ্যাটি ২০২৩ সালের চেয়ে ৬২৪ জন বেশি। মৃতের হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভূমধ্যসাগর। দুই হাজার ৪৫২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে। অভিবাসন রুটে মৃত্যুর তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা আফ্রিকায় রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে দুই হাজার ২৪২ জন মারা গেছেন।
আমেরিকা মহাদেশের ক্ষেত্রে এখনো চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখানে অন্তত এক হাজার ২৩৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যু ও নিখোঁজের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইওএম জানিয়েছে, সরকারি সূত্রের অভাবে অনেক তথ্য অপ্রমাণিত রয়ে যাচ্ছে। সূত্র : এএফপি, ডয়চে ভেলে

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ