<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পোড়া েনার অভিযোগে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ও চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসিকিউশনের আবেদনে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রধান কৌঁসুলি চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, এস এম মইনুল করিম, শাইখ মাহদী এ সময় উপস্থিতি ছিলেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরোয়ানা জারির আবেদনে ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৫ অগাস্ট আশুলিয়ায় ছয় ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর তাদের লাশ চ্যাংদোলা করে ভ্যানে উঠিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। যেন কেউ বুঝতে না পারে সে জন্য তারা লাশ পুড়িয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এখন তদন্ত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বেশ কিছু কর্মকর্তার নাম পাওয়া গেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তদন্ত এখনো চলছে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ঘটনায় জড়িত আর কারো নাম পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে সেখানে আসামি করা হয়। দুজনের পরিবারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান অভিযোগ দুটি করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওই দিন হুজ্জাতুল ইসলাম খান বলেছিলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এর ৩(২) ও ৪(১)/৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি জানান, নিহত আস-সাবুরের ভাই মো. রিজওয়ানুল ইসলাম ৩০ জনের বিরুদ্ধে এবং নিহত সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা মোছা. শাহীনা বেগম ৪০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুটি করেছেন। দুই মামলার অভিযোগ অভিন্ন।</span></span></span></span></span></p>