<p style="text-align:justify">পাবনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু, বন্ধ থাকা বিমানবন্দর খুলে দেওয়া, কাজিরহাটে ওয়াই টাইপ সেতু নির্মাণ, ইছামতী নদী পুনরুদ্ধার, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আতাইকুলা ও আমিনপুর থানাকে উপজেলা ঘোষণাসহ শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের ঘোষিত ১৬ দফার পক্ষে জনমত গঠন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা করেছে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশন। </p> <p style="text-align:justify">বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জেলা পরিষদ রশিদ হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি।</p> <p style="text-align:justify">শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পূর্ণিমা ইসলাম, পাবনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাহতাব উদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সহসভাপতি এস এম আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা।</p> <p style="text-align:justify">১৬ দফা দাবিগুলো হলো আরিচা-কাজিরহাট-দৌলদিয়া পয়েন্টে ১ (ওয়াই) টাইপ সেতু নির্মাণ, সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত সময় ও পরিবহন ব্যয় বাঁচাতে কাজিরহাট থেকে আরো ভাটিতে খয়ের চরে ফেরিঘাট স্থানান্তর করা, কাজিরহাট থেকে সুজানগরের ভেতর দিয়ে পাবনা শহর পর্যন্ত রাস্তাটি চার লেনে উন্নতি করা, পাবনা শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী পুনরুদ্ধার ও খনন নিশ্চিত করা, দেশের প্রাচীনতম জেলাশহর পায়না পৌরসভার আব্দুল হামিদ রোডসহ শহরের সকল সড়ক প্রশস্ত করা, উৎপাদক ও ভোজনের স্বার্থ রক্ষা এবং দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে বৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল সুজানগর উপজেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা। </p> <p style="text-align:justify">এছাড়াও দেশে গরুর দুধের চাহিদা পূরণ করতে সিরাজগঞ্জ-পাবনার মধ্যবর্তী অঞ্চল চাটমোহর-ভাঙ্গুরা এলাকায় দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা গড়ে তোলা, কৃষি নির্ভর পাবনা জেলায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, শিল্পের বিকাশ ও রাজধানী ঢাকা শহরের উপর চাপ কমাতে যমুনা নদীর পশ্চিম পারে বেড়া ও আমিনপুর থানায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা,পদ্মা ও যমুনার তীরবর্তী নগরবাড়ি নদীবন্দর থেকে ঢালারচর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলা, আতাইকুলা ও আমিনপুর থানাকে পৃথক উপজেলা ঘোষণা করা, পাবনার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প, বেনারশি শিল্প (ঈশ্বরর্দী বেনারশি পল্লি) ও হোসিয়ারী শিল্পের বিকাশে মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা সহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।</p> <p style="text-align:justify">পাবনায় অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম মানসিক হাসপাতালকে স্যানিটেরিয়াম করার পাশাপাশি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা, পাবনা থেকে ঢাকার সাথে সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা, সময়ের দাবি পূরণে পাবনায় একটি আধুনিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা, শিক্ষার প্রসার, সাহিত্য সৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক বিকাশে অসামান্য অবদানের জন্য গোপাল চন্দ্র লাহিড়ী, রায় বাহাদুর বনমালী রায়, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কবি বন্দে আলী মিয়া, মাওলানা আব্দুস সুবহান, খান বাহাদুর ওয়াসিম উদ্দিন খান, প্রমথ চৌধুরী, গোত্রী প্রসন্ন মজুমদার, পার্থ মজুমদারের মত পাবনা জেলার কৃতি সন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি গবেষণা এবং তাদের স্মৃতি সংরক্ষণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। </p> <p style="text-align:justify">সভায় বক্তারা বলেন, ১৬ দফা দাবি সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাবনার উন্নয়ন মানেই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন। পাবনার উন্নয়ন সাধন করাই দেশের উন্নয়ন। উন্নয়নের সম্ভাবনাকে এখন কাজে লাগাতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত পাবনার সব উন্নয়নকাজ হোক।</p> <p style="text-align:justify">বঞ্চিত পাবনাকে গতিশীল ও পরিশীলিত জায়গায় দেখতে চাওয়া ব্যক্ত করেন বক্তারা। তরুণেরা শিকড়কে ভুলে গেলেও এসব তরুণ প্রজন্মকে শিকড়কে শক্তিশালী করতে কাজ করায় শেকড় ফাউন্ডেশনের এই মহতী উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানান তারা।</p>