<p>পৌষের এই সময়টায় গ্রামের প্রায় শুকিয়ে যাওয়া ডোবায় ফুটে থাকে লাল শাপলা। মাঠজুড়ে থাকে হলুদ সরিষা ফুল। সকাল-সন্ধ্যার কুয়াশা অন্যরকম মুগ্ধতা তৈরি করে। শীতের এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পাওয়া গেল দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের চিত্রে। চিত্রের জমিনে তাঁরা এঁকেছেন বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকা খেজুর গাছে বেঁধে রাখা হাঁড়ির দৃশ্য, দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ, সমুদ্রতীরে নোঙর করা মাছ ধরা নৌকা। শহরের ব্যস্ততম সড়কে জমাট বাঁধা কুয়াশার দৃশ্যও রয়েছে। সব ছবিই আঁকা হয়েছে জলরঙে।</p> <p>রাজধানীর গুলশানের এজ গ্যালারিতে চলা এই দলীয় চিত্র প্রদর্শনীর নাম ‘জলকাব্য ৫’। চিত্রের বিষয় ও মাধ্যম একটি। শীতকাল এবং জলরং। ৫৪ জন খ্যাতনামা এবং উদীয়মান শিল্পীর জলরঙে আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে প্রদর্শনীটি শুরু হয়েছে গত শনিবার। সবার জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনী চলবে ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রদর্শনীতে শীতের প্রকৃতিকে নিজস্ব সৃষ্টিতে ফুটিয়ে তুলেছেন সবাই। এতে চিত্রিত হয়েছে শীতের নানা মাত্রিক রূপ ও লাবণ্য। জলরঙের স্বচ্ছতা ও মনোমুগ্ধকর বৈশিষ্ট্যে বাংলার গ্রামীণ জীবনের সরল সৌন্দয উঠে এসেছে মোটাদাগে।</p> <p>চলতি বছর আঁকা শিল্পী মনিরুল ইসলামের ছবিটি বিমূর্ত ধারার। শহীদ কবিরের ধূসর চিত্রে জায়গা পেয়েছে স্নানরত গ্রামীণ নারী। জামাল আহমেদের চিত্রের বিষয়ও প্রায় একই। সমুদ্রের ঘন নীল জলরাশি থেকে উঠে তীরে দাঁড়িয়ে আছেন রমণী। নীল সমুদ্র, সুবিশাল আকাশ, সামুদ্রিক পাখি আর মাছ ধরার নৌকা-সাম্পান রয়েছে আজমীর হোসেনের ছবিতে। তাঁর ছবি রঙিন ও উজ্জ্বল।</p> <p> </p>