<p style="text-align:justify">মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ মানুষ পিষ্ট হলেও কাগজে-কলমে তা ১০ শতাংশের ঘরে আটকে রেখেছিল পতিত শেখ হাসিনা সরকার। বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই হঠাৎ বেড়ে যায় মূল্যস্ফীতি। </p> <p style="text-align:justify">চাল, আলু, আটা, ডিম, মাংসের দাম বাড়তে থাকে। তার পর থেকে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম কমেনি। দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকায় উঠে যায়। ডিমের দাম বেড়ে ডজনপ্রতি ১৮০ টাকায় ওঠে। ২০-৩০ টাকার আলু ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে যায়। </p> <p style="text-align:justify">গত দুই বছর ধরেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। বিভিন্ন সময় নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের ভুল নীতি আরো উসকে দেয় মূল্যস্ফীতিকে।</p> <p style="text-align:justify">যার ফলে হাসিনা সরকারের নেওয়া সব পদক্ষেপই ভেঙে পড়ে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও মূল্যস্ফীতির সঠিক তথ্য লুকিয়ে রাখতে ঠিকই সক্ষম হয় হাসিনা সরকার। যতই বাজার অস্থিতিশীল হোক, পণ্যের দাম বাড়ুক, মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের নিচেই দেখাতে বাধ্য হয় সরকার নিয়ন্ত্রিত বিবিএস। তবে আওয়ামী সরকারেরই আরেক সংস্থা জানায়, বাস্তব মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশের বেশি ছিল।</p>