<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর বিভাগের আট জেলার ৫৮টি উপজেলায় সরকারি হাসপাতালে ভয়াবহ চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদার অর্ধেক চিকিৎসকই নেই হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে। ফলে কাঙ্ক্ষিত উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ফলে বিভাগীয় শহরমুখী হতে হচ্ছে তাঁদের। এতে খরচ-সময় দুটোই অপচয় হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিকিৎসক বদলি নীতমালা দুর্বল হওয়ায় ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা চিকিৎসকরা যোগদানের দুই বছর পরই বদলি নিয়ে শহরমুখী হচ্ছেন। এ কারণেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রংপুর বিভাগে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে তিনটি। এ ছাড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে দুটি। অন্যদিকে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল ছয়টি, ১০০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল দুটি, ৩১ শয্যার হাসপাতাল একটি, ২০ শয্যার হাসপাতাল তিনটি ও ১০ শয্যার হাসপাতাল দুটি রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিনিয়র কনসালট্যান্টের অনুমোদিত পদ রয়েছে ৮৯টি। কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৩০ জন। জুনিয়র কনসালট্যান্টের অনুমোদিত পদ রয়েছে ৫৯৮টি, কর্মরত রয়েছেন ১৯৫ জন। মেডিক্যাল অফিসারের অনুমোদিত এক হাজার ৬০৩টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৮৪৮ জন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৫৮টি, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ১৯৮টি, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে ৩৩০টি। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিনিয়র কনসালট্যান্ট পদে একজনও নেই। আর দু-তিনজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে কোনো কোনো উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, বেশির ভাগ চিকিৎসকই প্রাইভেট প্রাকটিস করতে জেলা শহরকেই বেশি প্রাধান্য দেন। এ কারণে উপজেলা পর্যায়ে কেউ থাকতে চান না। শর্ত অনুযায়ী দুই বছর পার হতে না হতেই জোর লবিং করে শহরমুখী হচ্ছেন তাঁরা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৃহত্তর একটি উপজেলা নিয়ে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ১৭টি ইউনিয়নের মানুষ এখানে আসে চিকিৎসা নিতে। কিন্তু মেডিক্যাল অফিসারের ২৭ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১৩ জন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই চিকিৎসক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেবা দিতে বিভিন্ন কর্নার চালু আছে,  চিকিৎসক সংকট থাকায় প্রতিদিনের ডিউটি করার পরে বাড়তি সেবা দিতে হচ্ছে অন্য জায়গায়। সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। চিকিৎসক ঘাটতি থাকার কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছি না। মেডিক্যাল অফিসারের পদগুলো পূরণ হলে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারতাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী গ্রাম থেকে সেবা নিতে আসা মোহাইমিনুল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি এক্স-রে করে আসছি। সকালে একবার একজন এসে একটা প্যারাসিটামল দিয়ে গেছেন। আর চিকিৎসক আসে নাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বালাটারী গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুপুরের পর গেলে আর ডাক্তার পাওয়া যায় না। সকালে গেলে এত ভিড় যে ডাক্তারের কাছেও যাওয়া যায় না। বড় অসুখ হলে হয় কুড়িগ্রাম না হয় রংপুর যাওয়া লাগে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) মো. হারুন অর রশীদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি ঢাকায় থাকায় নীতিনির্ধারণের খুব কাছাকাছি ছিলাম। এসব বিষয় নিয়ে আমরা বিভিন্ন জন বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করছি, সংকট মোচনে সরকারের একটা ভালো সিদ্ধান্ত আসবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>