রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানির (ডেসকো) আউটসোর্সিং কর্মচারীরা চাকরি স্থায়ীকরণের পাশাপাশি বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছেন। এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।
প্রায় এক যুগ ধরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ডেসকোতে কাজ করা এক জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আউটসোর্সিং বা ঠিকাদারের মাধ্যমে তিনি ডেসকোতে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রতি মাসে তাঁর ব্যাংক হিসাবে ৫৬ হাজার টাকা পাঠায় ডেসকো।
কিন্তু বেতনের পুরো টাকা কখনো হাতে পাননি তিনি। নিয়োগকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসে তাঁর বেতন থেকে ১৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, অলিখিত চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো আগে থেকেই নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের চেক বইয়ে স্বাক্ষর নিয়ে নিজেদের কাছে আটকে রাখেন। ফলে কর্মীদের ব্যাংক হিসাবে বেতনের টাকা ঢুকলেও তা তুলে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এরপর মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয় আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের।
রাজধানীতে বিদ্যুৎ বিতরণকারী আরেক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ডিপিডিসিতে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পেয়ে টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন ইমরান। নিয়ম অনুযায়ী ইমরানের মাসিক বেতন ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু ইমরান পাচ্ছেন ২৯ হাজার টাকা।
বাকি আট হাজার ৫০০ টাকা যাচ্ছে নিয়োগ দেওয়া ঠিকাদারের পকেটে। ডেসকো ও ডিপিডিসিতে ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এমন দুই হাজারের বেশি কর্মীর বঞ্চনার গল্প অনেকটা একই রকম। ভুক্তভোগীরা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত পরিশ্রম করেও মেলে না ন্যায্য পারিশ্রমিক। অথচ আউটসোর্সিং সেবা গ্রহণ নীতিমালা ২০১৮-এর ৭ (১) ধারায়, অতিরিক্ত সময় সেবা দিলে চুক্তি অনুযায়ী অতিরিক্ত সেবামূল্য প্রদানের কথা রয়েছে।