বাংলাদেশে পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে ভারতের ব্যবসায়ী গৌতম আদানির কম্পানি আদানি পাওয়ার লিমিটেড। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা পাওয়ার প্লান্টের পুরো সক্ষমতা অর্থাৎ এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটই বাংলাদেশে সরবরাহ শুরু করেছে। বাংলাদেশের তরফ থেকে নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ শুরুর পরই এ উদ্যোগ নিয়েছে আদানি। চার মাস আগে বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে আদানি পাওয়ার।
এখন তারা বাংলাদেশে পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা আদানিকে নিয়মিত অর্থ পরিশোধ করছি এবং আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি।’ তবে তিনি পরিশোধিত অর্থের পরিমাণ বা আগের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, দুই সপ্তাহেরও বেশ কয়েক দিন আগে থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়েছে আদানি।
গত নভেম্বরে বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা একাধিকবার পরিবর্তন হওয়ায় ঝাড়খণ্ড রাজ্যের এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে আদানি।
২০১৭ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আদানির সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুসারে আদানি ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট রয়েছে।
প্রতি ইউনিটের সক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে। এ দুটি ইউনিট শুধু বাংলাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে বিল পরিশোধে দেরি হওয়ায় ৩১ অক্টোবর আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। এর জেরে ১ নভেম্বর একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায় এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রটি মাত্র ৪২ শতাংশ সক্ষমতায় পরিচালিত হতে থাকে। পরে বাংলাদেশই আদানিকে অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যেতে বলে।