<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে গিয়ে গতকাল সোমবার ১২ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। চিকিৎসা পেতে গিয়ে তাঁরা কিভাবে হয়রান হচ্ছেন, তা-ই কালের কণ্ঠকে বলেছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডেঙ্গু আক্রান্তরা জানান, তাঁদের মধ্যে দুজন ঢাকাফেরত। বাকিরা স্থানীয় রোগী। এর আগে গত ৪ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যু হলে নড়েচড়ে বসে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন। নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ডের ৩ নম্বর এবং ৬ নম্বর ইউনিটে রাখা হয়েছে এই রোগীদের। সাধারণ রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তদের রেখে চিকিৎসা দেওয়া নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুড়িগ্রাম থেকে এক রোগী জানান, ঢাকার মালিবাগের এক কম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের পরদিন ভীষণ জ্বর আসে। বন্ধুদের সেবায়ও যখন কাজ হচ্ছিল না তখন বাড়ি চলে আসেন। এরপর কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পরীক্ষা করান। সেখানে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। মঙ্গলবার রংপুরে আসেন। তিনি বলেন, ‘এখানে এসে কোনো সেবা পাচ্ছি না। সব কিছু বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। হাসপাতাল থেকে শুধু দুইটা গ্যাসের ট্যাবলেট আর নাপা দিয়েছে। গত ছয় দিনে একটা স্যালাইন পেয়েছি। অথচ প্রতিদিন আমাকে দুইটা স্যালাইন দেওয়া লাগছে।’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খন্দকার রিয়াজুল ইসলাম নামের এক রোগীর স্বজন জানান, একটা মশারি দিয়ে রোগীদের রাখা হয়েছে। খুব বেশি নিরাপদ চিকিৎসাব্যবস্থা নেই।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রোগীরা জানান, পুরো হাসপাতালে মশা-মাছির উৎপাত। দিনরাত সমানতালে মশা কামড়ায়, কয়েল জ্বালিয়ে কিংবা মশারি টাঙিয়েও নিরাপদ থাকা যায় না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রেহেনা পারভীন নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘যেহেতু আমার রোগীর ডেঙ্গু হয়েছে, তাকে যদি আলাদা করে রাখা হতো, তাহলে ভালো হতো। কারণ সে ঘুমাইতে পারছে না। শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছে। এখানে তো আরো রোগী ভর্তি আছে। আলাদা ওয়ার্ড হলে চিকিৎসাটাও আরো ভালো হতো।’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রনি ও সুমন ইসলাম নামের দুই স্বজন জানান, এখানে সব কিনে আনতে হয়। হাসপাতাল থেকে দুই দিনে শুধু একটা স্যালাইন দিয়েছে। আর প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ছাড়া বাকি সব কিনে আনতে হচ্ছে। গরিব মানুষ খরচ কমাতে হাসপাতালে এসেছেন। তাঁদের মতে, রোগীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পুরো চিকিৎসা ব্যয় বহন করা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুরুজ্জামাল নামের এক রোগী জানান, ঢাকা থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছেন। ডেঙ্গু হয়ে হাসপাতালে আছেন। কয়েক দিন ধরে কিছু খেতে পারছেন না। পুরো শরীরে ব্যথা হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে একটু ভালো আছেন। তবে সেবার মান আরো উন্নত হওয়া দরকার ছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যারা ভর্তি রয়েছে, তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করার। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সাধারণ রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ইউনিট এবং শয্যার সমস্যা রয়েছে।’ রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের কাছ থেকে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি কেউ অভিযোগ করেন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’</span></span></span></span></p> <p> </p>