<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবছর শীত মৌসুমের শুরুতেই আলুর উৎপাদন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। আর মাঠ থেকে এক কেজি আলু বিক্রি করেন কৃষকরা মাত্র ১৪-১৫ টাকায়। গত জুনে হঠাৎ করেই আলুর বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। অক্টোবরের শেষে পাইকারিতে ৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন খুচরা পর্যায়ে এক কেজি আলু কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মূলত হিমাগার মালিক, মজুদদার ও আড়তদারদের সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে বলে জানিয়েছেন কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফেব্রুয়ারি-মার্চে কৃষকরা মাঠ থেকে আলু উত্তোলন করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের কাছে তা বিক্রি করে দেন। এসব আলু মজুদ করতে হিমাগারে রাখা হয়। আলু হিমাগারে চলে গেলে জুন মাস থেকে বাজারে আলুর সরবরাহ কমিয়ে দেন মজুদদাররা। এই কৌশল অবলম্বন করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তাঁরা আলুর দাম বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। কালাই উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা যায়, কার্ডিনাল, গ্র্যানুলা, ডায়মন্ড জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আর দেশি পাকড়ি লাল জাতের আলু ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ হিমাগারগেটে এই আলু পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। এটি ইঙ্গিত করে যে বাজার নয়, বরং হিমাগারগেটেই চলছে দাম বাড়ানোর আসল কারসাজি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, এক কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ সর্বোচ্চ সাড়ে ১১ টাকা। পরিবহন ও হিমাগার খরচ যুক্ত করলেও প্রতি কেজিতে দাম সর্বোচ্চ ২০ টাকা হওয়া উচিত। অথচ খুচরা বাজারে সেই আলুর দাম ৬৫ টাকা, যা চার-পাঁচ গুণ বেশি। কালাই উপজেলার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মৌসুমের শুরুতেই মাঠের আলু সব বিক্রি করেছি ১৪-১৫ টাকা কেজি দরে। এখন সেই আলু বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এই লাভের অংশ কৃষকরা পান না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলুর এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি শুধু কৃষক ও ক্রেতাদের জন্যই বোঝা হয়ে দাঁড়ায়নি, বরং এটি গ্রামীণ অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অসংখ্য খুচরা ব্যবসায়ী ও কৃষক মনে করেন, বাজারের অস্থিরতা কমাতে হিমাগারে অভিযান চালানো অত্যন্ত জরুরি। কালাইয়ের আলু ব্যবসায়ী মাহবুব হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম বাড়াচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> স্থানীয় আড়তদাররা মনে করেন, হিমাগারগেটে সিন্ডিকেটের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নিলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য আলুর দাম সহনশীল রাখা সম্ভব হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জয়পুরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের হিসাব অনুযায়ী হিমাগার ও পরিবহন খরচ ধরলে প্রতি কেজি আলুর খরচ সর্বোচ্চ ২০ টাকা। বাজার তদারকির মাধ্যমে এই সংকট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>