<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের বাজারে আলুর দাম নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই অস্থিরতা চলছে। এই অবস্থায় সাধারণ ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে বাজারের চেয়ে অনেক কম দামে ট্রাকে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সরকারি সংস্থাটি ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ তিন কেজি করে আলু কিনতে পারবে। সুলভ মূল্যে আলু বিক্রি কার্যক্রমটি আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার টিসিবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তার কাছে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য তেল, ডাল ও চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এখন থেকে এই কার্যক্রমের সঙ্গে আজ বুধবার থেকে ঢাকা মহানগরীতে ভোক্তাদের জন্য জনপ্রতি তিন কেজি করে আলু বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি আলুর দাম পড়বে ৪০ টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় কেনা যাবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এবং পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযান চালাতে ভোক্তা অধিদপ্তরকে আলটিমেটাম</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেসব হিমাগারে আলুর মজুদ রয়েছে সেগুলোতে অভিযান চালানোর জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনশাস কনজিউমার্স সোসাইটি (সিসিএস) এবং এর যুব শাখা কনজিউমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি)।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী তিন দিনের মধ্যে হিমাগারে অভিযান চালিয়ে মজুদ করা আলু বাজারে ছেড়ে দাম নিয়ন্ত্রণে না আনলে আগামী রবিবার অধিদপ্তর ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছের সিসিএস ও সিওয়াইবির সদস্যরা। স্মারকলিপির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় আলুর মজুদ রয়েছে এমন হিমাগারের বিভাগ ও জেলাভিত্তিক তালিকা, অধিক মুনাফাখোর মজুদদারদের তালিকা এবং হিমাগারে সংরক্ষিত আলুর তথ্য সরবরাহ করা হয়। এ সময় মহাপরিচালককে মৌখিকভাবে তিন দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্মারকলিপিতে বলা হয়, এক মাস ধরে প্রতীয়মান হচ্ছে যে অসাধু ব্যবসায়ীরা হিমাগারকেন্দ্রিক কূটকৌশলের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তাসাধারণকে জিম্মি করে ফেলেছেন। গত ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চ পর্যন্ত মজুদদাররা আলু সংগ্রহ করে হিমাগারে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয়মূল্য কেজিপ্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। হিমাগারে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০ থেকে ৩৪০ টাকা।</span></span></span></span></span></p>