<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্য </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অস্পষ্ট ও হতাশাজনক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় সম্পর্কে যে ধারণা দেওয়া হয়েছে, তা-ও তাঁদের যৌক্তিক মনে হয়নি। তবে পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান তিনি।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গত বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকে দলটি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দেন, তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মির্জা ফখরুল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনসংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট। আমি মনে করি যে এখন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গেছে। নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য, প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আর কোনো সমস্যা নেই। আমরা আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা সুনির্দিষ্ট একটা সময়ের মধ্যে তাঁর রোডম্যাপ দিয়ে দেবেন; কিন্তু সেটা তিনি দেননি। এটা আমাদের কিছুটা হতাশ করেছে এবং একই সঙ্গে জাতিকেও কিছুটা হতাশ করেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্থায়ী কমিটি মনে করে, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনসংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট। তাঁর বক্তব্যে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলা হলেও নির্বাচনের রোডম্যাপ সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তিনি নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম অংশে অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। আবার তাঁর প্রেসসচিব যে কথা বলেছেন, ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটা পরস্পরবিরোধী। এই ধরনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আরো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটি মনে করে, যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়ে গেছে, সেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিলম্বের প্রয়োজন নেই। নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। জনগণ এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করে। সভা মনে করে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর প্রেস সচিবের বক্তব্য সাংঘর্ষিক। তাঁরা ঠিক বুঝতে পারছেন না, কোনটা সঠিক। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে সময়ের কথা বলছেন এটাতে কি মনে হচ্ছে যে সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে কিংবা বিষয়টা আপনাদের কাছে যৌক্তিক মনে হচ্ছে না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যৌক্তিক তো মনে হয়নি। আমরা বলেছি তো এটাতে আমরা হতাশ হয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা এই রায়কে স্বাগত জানাই। আদালত স্বীকৃতি দিয়েছেন যে নির্বাচিত পরবর্তী সংসদই সংবিধান সংশোধনের একমাত্র উপযুক্ত ফোরাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে আদালতের রায় ব্যাখ্যা করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার, বিচার বিভাগীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এই রায়ে। কিন্তু যেসব বিষয় আদালত অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করেছেন সেই বিষয়গুলো আসলে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সে জন্য সুপ্রিম কোর্ট সব সময় সংবিধানের ব্যাখ্যা প্রদানকারী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি আছে। সেই হিসেবে আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের কথা বলা হয়েছে। বাকি যেটা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদ বহাল করা হয়েছে, গণভোট পুনর্বহাল, অনুচ্ছেদ ১৮(ক) পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, অনুচ্ছেদ ২৩(ক) উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব অনুচ্ছেদ বহাল রাখা হয়েছে। সংবিধানের এক-তৃতীয়াংশ এবং কিছু তফসিল, যেগুলো আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সংযুক্ত করেছে এগুলোকে ঘোষণা দিয়েছিল যে এসব অপরিবর্তনীয় থাকবে, সংবিধান এমন কোনো দলিল নয় যে সেটা পরিবর্তন করা যাবে না। আদালত এসবকে অবৈধ ঘোষণা করে বিলুপ্ত করেছে। বাকি বিষয়গুলো আদালত সংসদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। এখানে কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আছে বলে হয়তো আদালত মনে করেছেন। সুতরাং রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত পরবর্তী সংসদের কর্ম যাবতীয় সংশোধনী বিবেচনা করা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া অন্য পরিষদগুলো ভেঙে দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদও অবিলম্বে বাতিল করা উচিত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, যিনি সংবিধানকে অবৈধভাবে সংশোধন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তাঁকে বিচারের আওতায় আনার দাবি করবেন কি না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সময় যখন আসবে তখন তাঁকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>