<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে এক হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে ও ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি করা হয়। দুদকের উপপরিচালক ইয়াসিন আরাফাত বাদী হয়ে মামলাটি করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই দিন সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। এসব ব্যাংক হিসাবে ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে মুরাদ এন্টারপ্রাইজের নামে ঋণ নিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম সারওয়ার চৌধুরী এস আলম গ্রুপের বেতনভুক কর্মচারী। আসামি আহসানুল আলমের নেতৃত্বে শুধু ব্যাংকটির চট্টগ্রামের চাক্তাই শাখা থেকে তিন বছরে ওই অর্থ লোপাট করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমদ, ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ড. মো. ফসিউল আলম, কাজী শহীদুল আলম, ড. মো. সিরাজুল করিম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, মো. জয়নাল আবেদীন, সাবেক পরিচালক খুরশীদ উল আলম, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও মোহাম্মদ সোলায়মান, পরিচালক মো. কামরুল হাসান ও সাবেক নমিনি পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও কে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি ও চিফ হিউম্যান রিসার্চ অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ সাব্বির, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. রেজাউল করিম, বর্তমান উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইন ট্রেড লিংকের মালিক মোহাম্মদ এরশাদ হোসাইন চৌধুরী, বিসমিল্লাহ ট্রেডিং করপোরেশনের মালিক মোরশেদুল আলম, মেসার্স ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, চেমন ইস্পাত লিমিটেডের পরিচালক মুহা. নজরুল ইসলাম, ওই প্রতিষ্ঠানের এমডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সেঞ্চুরি ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম চৌধরী, পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, রেইনবো করপোরেশনের মালিক রায়হান মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যদের আসামি করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০২১ সালের ২১ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৮৯০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেন। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের নভেম্বরে বিনিয়োগসীমা বৃদ্ধি করে হাজার কোটি এবং ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর এক হাজার ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়। এর মধ্যে আসল ৯৬৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং মুনাফা ১২৫ কোটি ৮০ লাখ টাকাসহ এক হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এস আলমের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত গতকাল সাইফুল আলম (এস আলম) ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন। এতে ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিন দুদকের পক্ষে ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কমিশনের উপপরিচালক মো. আবু সাইদ। আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বিভিন্ন শাখায় ১২৫টি হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক। প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়, সাইফুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপনের উদ্দেশ্যে এসব হিসাবে জমা রেখেছেন। যেকোনো সময় এসব অর্থ উত্তোলন করে বিদেশে পাচার বা গোপন করার আশঙ্কা রয়েছে মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হয়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ১২টি হিসাবের ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার ১৯১ টাকা ফ্রিজ করা প্রয়োজন। পরে দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহাম্মদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৭ অক্টোবর এস আলম ও স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ তাঁর পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>