<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যদি এইরাম এট্টা যন্তর থাইক তো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, যা সহজে হাতে কইরে নিয়ে যাইয়ে, সহজে খাজুরগাছে ওঠানামা করা যাইতো। তালি (তাহলে) এখন যা রস ও গুড় হয়, তার ডবল হইত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গাছি সিরাজুল ইসলাম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (৬৫) আক্ষেপ করে যখন এসব কথা বলছিলেন তখন তিনি খেজুরগাছের মাথায় রস সংগ্রহের প্রাথমিক ধাপ পাতা কেটে গাছ পরিষ্কার করছিলেন। তাঁর বাড়ি বাঘারপাড়া উপজেলার আজমপুর গ্রামে। প্রায় ৫০ বছর তিনি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করছেন। সিরাজুল ইসলাম জানালেন, গত বছর শীতের তিন মাসে খেজুর রস ও গুড় বিক্রি করে এবং অন্য মানুষের খেজুরগাছ রস সংগ্রহের উপযোগী করার কাজ করে প্রায় দেড় লাখ টাকা উপার্জন করেছেন। তবে তাঁর ছেলে এ পেশায় আসতে চান না। কারণ গাছে ওঠা, রস নিয়ে নামা বেশ কষ্টের ব্যাপার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে নতুনদের এ পেশায় আসতে না চাওয়ার কারণ এবং প্রতিকারের পাশাপাশি খেজুরের রস ও গুড় উৎপাদন দ্রুতই দ্বিগুণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন এ অঞ্চলের গাছি ও খেজুরগাছ মালিকরা। তাঁরা বলছেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, নারকেলগাছে ওঠার সহজ যন্ত্রের মতো খেজুরগাছে ওঠার জন্য সহজে বহন ও ব্যবহার উপযোগী কোনো যন্ত্র উদ্ভাবন আবার ফিরিয়ে আনতে পারে খেজুর রসের গুড়ের সুদিন। সম্প্রতি যশোর জেলার কয়েকটি উপজেলায় ঘুরে গাছিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য উঠে এসেছে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে দেশে নারকেলগাছে ওঠার যন্ত্র থাকলেও খেজুরগাছে ওঠার কোনো যন্ত্র নেই বলে কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের তথ্যে দেখা যায়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে যশোরে খেজুরগাছের সংখ্যা বাড়লেও কমে যাচ্ছে রস ও গুড় উৎপাদন। তাদের হিসাবে ২০১৯ সালে জেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৫টি, যা কমতে কমতে ২০২৩ সালে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০টিতে। তবে ২০২৪ সালে গাছের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৮০টিতে। অন্যদিকে ২০২৩ সালে রস আহরণকারী গাছের সংখ্যা ছিল তিন লাখ ২১ হাজার ৮২৩টি। ২০২৪ সালে আহরণকারী গাছের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় তিন লাখ চার হাজার পাঁচটিতে। ২০২৩ সালে গুড় উৎপাদন ছিল তিন হাজার ৬৬৯ টন। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়ায় তিন হাজার ৪০ মেট্রিক টনে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাবে যশোর জেলায় গাছি রয়েছেন পাঁচ হাজার ১২৫ জন এবং এ জেলায় গুড় উৎপাদন হয়েছে প্রায় শতকোটি টাকার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের অতিরিক্ত উপপরিচালক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (উদ্যান) প্রতাপ মণ্ডল বলেন, খেজুরগাছে ওঠানামার জন্য দেশে এখনো এমন কোনো যন্ত্র নেই। এমন যন্ত্রের প্রয়োজনীতার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।</span></span></span></span></span></p>