<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার স্থায়ী রূপ নিশ্চিতের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে মরুর দেশ সৌদি আরব। এসব কর্মসূচি এরই মধ্যে বেশ ইতিবাচক প্রমাণিত হওয়ায় বলা হচ্ছে, দেশটির কৃষি মানচিত্র আগাগোড়া পাল্টে যাচ্ছে। এতে তেলনির্ভর দেশটির অর্থনীতি আরো সংহত হবে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। দেশটি এমন সব কৃষিপণ্য উৎপাদনে এগিয়ে এসেছে, যা দেশটিতে এর আগে উৎপাদিত হতো না। এই কাজে তারা দেশের কৃষি উদ্যোক্তাদের জড়াতে পেরেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও নানামুখী সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতে দেশটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশটি মনে করছে, তাদের এই উদ্যোগ বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। দেশটির পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রী আবদুর রহমান আল-ফাদলি সম্প্রতি ব্রাজিলে জি২০ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রীদের সভায়ও গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি খাতের বিকাশ সাধন সৌদি আরবের টেকসই উন্নয়ন ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রারও একটি অংশ। দেশটি ২০২৩ সালেই ঘোষণা করেছিল যে তারা এরই মধ্যে শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেনি, উদ্বৃত্ত কৃষিপণ্য তারা এখন রপ্তানিও করছে। এর মধ্যে রয়েছে দুগ্ধজাত পণ্য ও ডিম। দেশটি মাংসের পাশাপাশি আলু, টমেটো, গাজর ও পেঁয়াজের ফলন এতটাই বাড়িয়েছে যে এসব কৃষিপণ্য এখন উদ্বৃত্তও থাকছে। কৃষিপণ্য উৎপাদনে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সরকার নিজেও এগিয়ে এসেছে। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় গঠিত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাপিয়েন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কম্পানি এরই মধ্যে সাড়া জাগাতে পেরেছে। এই কৃষি প্রতিষ্ঠান খাদ্য উৎপাদন, বিপণন খাতের প্রচলিত সংজ্ঞাগুলোকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার দুঃসাহসী চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি পাঁচটি সুনির্দিষ্ট খাতে উদ্ভাবনী ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে ক্লাইমেট-প্রুফ কৃষি, পুনরুৎপাদী মংস্য চাষ, আদর্শ খাদ্যপণ্য, ব্যক্তিগত পুষ্টি এবং টেকসই খাদ্যপণ্য সরবরাহ। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের ঘরে নামিয়ে আনতে চাইছে। অর্থাৎ কৃষিপণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় বিশেষভাবে নজর রাখছে। সূত্র : খালিজ টাইমস</span></span></span></span></p>