<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তা যেন কাটছেই না কয়েকটি গ্রামের শতাধিক কৃষকের। এ উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা বিলের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মহেড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক কৃষক বোরো আবাদ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ উপজেলার মহেড়া ও ফতেপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর ধলেশ্বরী শাখা নদী ভরাট হওয়ায় কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীটি ভরাট হওয়ায় পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে কয়েক বছর ধরে সরিষার আবাদ করতে পারছেন না ওই এলাকার কৃষক। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষক বাঁচাতে খাল কাটা হোক, এই দাবিতে দুই সপ্তাহ আগে মহেড়া ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলামের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এলাকাবাসী জানান, যমুনা নদীর ধলেশ্বরী শাখা নদী এ উপজেলার মহেড়া ও ফতেপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ঝিনাই নদীতে মিলিত হয়েছে। মহেড়া ইউনিয়নের মহেড়া, আগ ছাওয়ালী, স্বল্প মহেড়া, গোরাখি গ্রামের নদীসংলগ্ন নিচু জমিতে সরিষা ও বোরো আবাদ হতো। ওই নদী ছাড়া পানি নিষ্কাশনের আর কোনো খাল না থাকায় জমি চাষাবাদে ওই নদীর পানিই ব্যবহার করতেন ওই এলাকার কৃষকরা। নদীটি ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশনে দেরি হয়। কয়েক বছর যাবৎ মহেড়া, আগ ছাওয়ালী ও স্বল্প মহেড়া গ্রামের কৃষক গোরাখি এলাকায় কোদাল দিয়ে মাটি কেটে ড্রেন নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে শুধু বোরো আবাদ করতেন। এ মৌসুমেও ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ২৫-৩০ জন কৃষক ওই এলাকায় মাটি কেটে ড্রেন তৈরি করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। দুদিন পানি প্রবাহিত হওয়ার পর মাটি ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। নদীটি খননে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>