আখ চাষের জন্য ময়মনসিংহ জেলা একসময় বিখ্যাত ছিল। কিন্তু দিন দিন কৃষকরা আগ্রহ হারাচ্ছেন আখ চাষে। গত পাঁচ বছরে আবাদ কমেছে প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। কৃষকরা জানিয়েছেন, শ্রমিক সংকট, ন্যায্য মূল্য না পাওয়া এবং অন্য ফসলের তুলনায় কম লাভ হওয়ার কারণেই আখের আবাদ কমছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলায় ধান চাষের বাইরে যে ফসলটি পরিচিত ছিল তা আখ চাষ। বিশেষ করে ফুলবাড়িয়া, হালুয়াঘাট, গফরগাঁও, ত্রিশালসহ বেশির ভাগ উপজেলাতেই আখের আবাদ ছিল। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ২০২৪ সালে এক হাজার ৯৯৬ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। অথচ ২০১৯ সালে এ জমির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৭৩৪ হেক্টর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায় একসময় ১৩টি ইউনিয়নে ব্যাপক আখের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে রাধাকানাই, বাকতা ও কালাদহ ইউনিয়নের কিছু এলাকায় আখের আবাদ করছেন কৃষক।
২০২১ সালে ফুলবাড়িয়ায় আখের আবাদ হয়েছিল ৮৫০ হেক্টর জমিতে। এ বছর আবাদ হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে।
গত পাঁচ বছরে আখের আবাদ কমেছে ২০০ হেক্টর।
চাঁদপুরের কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, ‘গত বছর প্রায় ১০০ শতাংশ জমিতে আখের আবাদ করেছিলাম। এ বছর করেছি মাত্র ৬০ শতাংশ জমিতে। শ্রমিক সংকট, উন্নত জাতের আখের চারা নেই। যে কারণে প্রতিবছর আখের আবাদ কমছে।
’
আরেক চাষী শহিদুল ইসলাম বলেন, আখে এক সময় লাভ হলেও এখন আর লাভ হচ্ছে না। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, দেশে চিনির দাম বেড়েছে। কিন্তু আখ চাষীদের তেমন লাভ নেই।
ময়মনসিংহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) তাহমিনা ইয়াসমীন বলেন, আখের আবাদ আগের চেয়ে কমেছে। তবে কৃষকরা সেখানে স্বল্প মেয়াদে অন্য ফসল আবাদ করছে।