শেষ সময়ে ঈদুল ফিতরের ছোঁয়া লেগেছে খুলনার জুতা-স্যান্ডেলের বিপণিবিতানে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে ‘সুজ’ মার্কেট খ্যাত নগরীর সিমেট্রি রোড, ডাকাবাংলোসহ আশপাশের এলাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, পবিত্র রমজানের শেষ সময়ে ক্রেতারা পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতা-স্যান্ডেল কিনছে। তাই এখন তাঁরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অবশ্য ক্রেতাদের দাবি, বিগত বছরগুলোর তুলনায় পোশাকের মতো জুতা-স্যান্ডেলেরও দাম বেড়েছে। তাই সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ব্যবধান হচ্ছে।
ডাকবাংলো মোড়ের ‘এডিডাস সু’র স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল জানান, তাঁর দোকানে মূলত পুরুষদের জুতা-স্যান্ডেল বিক্রি হয়। বেচাকেনা সন্তোষজনক।
তিনি বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা-স্যান্ডেল সর্বনিম্ন এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
সিমেট্রি রোডে সম্রাট গ্যালাক্সিতে শিশু, নারী থেকে পুরুষের বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা-স্যান্ডেল বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম স্বত্বাধিকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেচাকেনা ভালো।
বেশির ভাগ ক্রেতাই তার পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে পণ্য কিনছে। জুতার দাম নির্ধারিত থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছে না।
সম্রাট গ্যালাক্সি শিশুদের প্রতি জোড়া জুতা-স্যান্ডেল ৪২৫ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা, নারীদের ৬৯৫ থেকে দুই হাজার টাকা এবং পুরুষের ৬২৫ থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করছে।
তবে ব্যতিক্রম জুতা-স্যান্ডেলের পসরা সাজিয়েছে মো. রমজান আলীর ‘ডিসকাউন্ট সুজ’। সেখানে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায় মিলছে শিশু, নারী ও পুরুষের স্যান্ডেল।
রমজান আলী বলেন, ‘এখানে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকার স্যান্ডেলও আমরা সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় বিক্রি করছি, যা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কাছে পছন্দের, বিক্রিও ভালো।’
ছেলের জন্য জুতা কিনতে এসেছিলেন মো. জুয়েল। তিনি বলেন, ‘পোশাক-পরিচ্ছদ কেনা শেষ। তাই জুতা কিনতে এসেছি। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম বেড়েছে। তাই একটু বেছে নিতে হচ্ছে।’