<p style="text-align:justify">ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বড় শট খেলার দিকে ঝোঁক ছিল জিসান আলমের। জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির এবারের আসর দেখছে সেটিরই প্রতিফলন। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭টি ছক্কা মেরেছেন এই <img alt="নতুন মঞ্চে ফুটছে সক্ষমতার ছবি " height="182" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/19-12-2024/Rif/19-12-2024-p3-10.jpg" style="float:left" width="200" />তরুণ ব্যাটার। শুধু জিসান নন, দেশের ক্রিকেটারদের জন্য টি-টোয়েন্টির নতুন এই মঞ্চে ছক্কার প্রদর্শনী চলছে আরো একঝাঁক তরুণের ব্যাটে। হাবিবুর রহমান সোহান, আরিফুল ইসলাম থেকে শুরু করে সদ্যই যুব এশিয়া কাপজয়ী অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমরা নিজেদের ছক্কা মারার সামর্থ্যের জানান দিয়ে চলেছেন।</p> <p style="text-align:justify">বড় রান তাড়াও হয়েছে প্রায়ই। যদিও আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে বাংলাদেশের তাল মেলাতে না পারার পেছনে এই দুটি অক্ষমতাকেই ধরা হয় মূল কারণ। সেদিক থেকে দেখলে এবারের এনসিএল টি-<img alt="নতুন মঞ্চে ফুটছে সক্ষমতার ছবি " height="1269" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/19-12-2024/Rif/19-12-2024-p3-11.jpg" style="float:right" width="350" />টোয়েন্টি সেই দুর্বলতার জায়গায় সবল হয়ে ওঠার আশার রেণু ছড়াতে পারছে। ছড়াচ্ছেন জিসান-আজিজুলরা। তারুণ্যের উচ্ছ্বলতার সঙ্গে পাওয়ার হিটিংয়ের দারুণ সমন্বয়ই ফুটে উঠছে এই তরুণদের ব্যাটে। নিয়মিত এ ধরনের আসর তাঁর মতো তরুণদের  বড় শট খেলার ক্ষেত্রে সাহসী করে তুলবে বলে মনে করেন জিসান, ‘প্রতিবছর যদি আমরা স্থানীয় খেলোয়াড়রা এ রকম টুর্নামেন্ট খেলতে থাকি, আমার বিশ্বাস আমাদের পাওয়ার হিটিংয়ের ক্ষমতা আরো বেড়ে যাবে। আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে এ ধরনের টুর্নামেন্ট দরকার। আপনি এখানে খেলার পর যখন আরেকটা বড় টুর্নামেন্টে যাবেন, স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস উঁচুতে থাকবে। উইকেটে তখন নিজের সামর্থ্য দেখানোর কাজটি সহজ হয়। যেমন—আমরা এখান (সিলেট) থেকে গিয়ে সরাসরি বিপিএল খেলব। পর পর দুটো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেললে নিজের জন্য হলেও আপনাকে একটু উদ্ভাবনী হতে হবে।’</p> <p style="text-align:justify">টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ২৪ ম্যাচে ছক্কা হয়েছে ৩৩০টি। যেখানে গত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ৪৮ ম্যাচে ছক্কা হয়েছিল ৫৯৮টি। শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের বিবেচনায় এনসিএল টি-টোয়েন্টির সংখ্যাটা বেশ সমীহ-জাগানিয়াই। এ ক্ষেত্রে উইকেটের ভূমিকাও দেখছেন সিলেট বিভাগের কোচ রাজিন সালেহ, ‘আপনি যখন ট্রু উইকেটে খেলবেন, স্বাভাবিকভাবে ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাসী থাকবে যে, আমি মারলে এটা ছক্কা হবে। গত দুই বছরে সিলেটে স্থানীয় গ্রাউন্ডসম্যানরা অনেক ভালো উইকেট বানাচ্ছে। একটা দেশের ক্রিকেটে পরিবর্তনের হাওয়া লাগাতে পারে ভালো উইকেট। ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাসী থাকবে। সাহস নিয়ে ব্যাটিং করবে। আর বোলাররা নিজেদের স্কিলের উন্নতি আনতে বাধ্য হবে। ভালো উইকেটে নিয়মিত এ ধরনের টুর্নামেন্ট হলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের জন্য ভালো ক্রিকেটার বেরিয়ে আসবে।’</p> <p style="text-align:justify">ঢাকা মহানগরের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল মনে করেন, আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে বেশি বেশি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলার বিকল্প নেই। এ ধরনের টুর্নামেন্টই পারে ক্রিকেটারদের বড় শট খেলার সাহস জোগাতে। অনুশীলনে ক্রিকেটারদের নিজেদের পোক্ত করে তোলার সুযোগকে বড় করে দেখছেন মিজানুর, ‘দেখেন আধুনিক ক্রিকেট তো পরে, আমরা টি-টোয়েন্টির ওই স্বাদটাই ক্রিকেটারদের দিতে পারিনি। এমন টুর্নামেন্ট হলে আপনি বিভিন্ন উদ্ভাবনী শট খেলার চেষ্টা করবেন। এখন যেমন আমাদের ক্রিকেটাররা পর পর দুটো টুর্নামেন্ট পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে অনুশীলনে ক্রিকেটাররা বিভিন্ন ধরনের শট খেলবে। তাদের পাওয়ার হিটিংয়ের ক্ষমতা বাড়বে।’ </p>