<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে নামি-দামি কম্পানিগুলোর মধ্যে স্টারবাকস, নাইকি ও বোয়িং অন্যতম। বিশ্ববিখ্যাত এই তিন কম্পানির ব্যবসার খাত পরস্পরের চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। তবে তাদের দুর্দশার কাহিনি কিছুটা একই রকম। ফলে ব্যবসা আলাদা হলেও নানা সংকটের কারণে আজ তারা একই নৌকার যাত্রী। তিনটি কম্পানিই সম্প্রতি নতুন সিইও নিয়োগ দিয়েছে। ব্র্যান্ড হিসেবে আগের জৌলুস ফিরিয়ে আনতে তারা এখন মরিয়া। তাদের সামনের দিনগুলো যে আরো কঠিন হবে তা সাম্প্রতিক কিছু পরিসংখ্যানে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিক্রি কমেছে স্টারবাকসের : স্টারবাকসের তৃতীয় প্রান্তিকের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে গত মঙ্গলবার। টানা তিন প্রান্তিক ধরেই কম্পানিটির বিক্রি কমছে। বিক্রি কমার হার যুক্তরাষ্ট্রে ১০ শতাংশ এবং চীনে ১৪ শতাংশ। ২০২০ সালে কভিড মহামারি শুরুর পর থেকে তাদের বিক্রি কখনো এতটা কমেনি। বিক্রির হার কমে যাওয়ায় তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী প্রান্তিকের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তারা কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করবে না। গত মাসে ব্রায়ান নিকোলকে সিইও হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে স্টারবাকস। তিন বছরের মধ্যে তিনি কম্পানিটির তৃতীয় সিইও। ব্যবসা বাঁচাতে উদ্ধারকারীর দায়িত্বে বেশ কয়েকবারই ক্যারিয়ারে সফল হয়েছেন তিনি। তবে স্টারবাকসের ব্যবসা সামলানো তাঁর জন্য কিছুটা হলেও কঠিন। তবে এরই মধ্যে কিছু কৌশলগত পরিকল্পনা সাজিয়েছেন তিনি। এসব পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে স্টারবাকসের মেন্যুতে পরিবর্তন আনা এবং গ্রাহকসেবায় নিয়োজিত কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো। এমনকি কাউন্টারের পেছনে গ্রাহকদের জন্য আলাদাভাবে দুধ ও চিনি রাখা যাতে কোনো গ্রাহককে কর্মীদের ওপর নির্ভর করতে না হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগের মতো নেই নাইকির জুতা : একই নৌকার আরেক সহযাত্রী বলা যায় নাইকিকে। চলতি বছর তাদের শেয়ারের মূল্য কমেছে ২৫ শতাংশ। বছরের প্রথম দিককার তুলনায় গত প্রান্তিকে তাদের আয় কমেছে ১০ শতাংশ। নতুন ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতা বাড়ছে। জুতার নকশায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে কম্পানিটি খুব একটা মনোযোগ দেয়নি। নিজেদের নেওয়া ভুল পদক্ষেপেরই মাসুল দিচ্ছে তারা। সম্প্রতি নতুন সিইও হিসেবে এলিয়ট হিলকে নিয়োগ দিয়েছে নাইকি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন বা এনবিএ ও ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন বা ডব্লিউএনবিএর সঙ্গে চুক্তি করেছে নাইকি। ফলে আগামী কয়েক বছর পেশাদার বাস্কেট দলের ইউনিফর্মে নাইকির লোগো দেখা যাবে। এতে আপাত বিপদ এড়িয়েছে কম্পানিটি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ বোয়িং : কেলি ওর্টবার্গ বোয়িংয়ের সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন আগস্টে। এর বহু আগে থেকেই ঝাঁকুনি খেতে খেতে এগোচ্ছে বোয়িংয়ের ব্যবসা। ছয় সপ্তাহ ধরে বোয়িংয়ের কর্মীরা দফায় দফায় ধর্মঘট করছেন। আন্দোলনরত ৩৩ হাজার কর্মীর সঙ্গে সমঝোতায় আসতে কোনো চুক্তি করতে পারেনি বোয়িং। কর্মীদের কর্মবিরতিতে প্রতি মাসে বোয়িংয়ের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। একই সঙ্গে তৃতীয় প্রান্তিকে কম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৬০০ কোটি ডলার। কম্পানির ১০৮ বছরের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ ক্ষতি। অন্য কোনো প্রান্তিকে তাদের এতটা লোকসান হয়নি। চলতি বছরের শুরুতেই বোয়িং নির্মিত ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের দরজা মাঝ আকাশে খুলে পড়ে। এর আগে থেকেই দুটি বিমান দুর্ঘটনার জের টানছিল বোয়িং। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ নানা দ্বন্দ্বের জেরে কম্পানিটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এতে জটিল সময় পার রয়েছে বোয়িং। সূত্র : সিএনএন</span></span></span></span></p>