ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয় নাগরিক পার্টির কাছে আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানালেন নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জাতীয় নাগরিক পার্টির কাছে আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানালেন নেতারা
ফাইল ছবি

অনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল 'জাতীয় নাগরিক পার্টি'। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে দলটি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।

আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় মানিক মিয়া এভিনিউতে এই অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াতের পর বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়।

ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠ শেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন হয়।

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজি বলেন, নতুন রাজনিক দলকে আমরা স্বাগত জানাই। তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়, সহযোদ্ধা।

আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে জনগণের সবথেকে ভালো সেবা কে দিতে পারে। যারা ভালো সেবা দিতে পারবে তারাই এগিয়ে যাবে, জনপ্রতিনিধি হবে এবং দেশ পরিচালনার সুযোগ পাবে।

খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, যেহেতু তারা জুলাই আগষ্টের অভ্যুথ্যানের মধ্য দিয়ে নতুন দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছে, দেশকে নতুন করে স্বাধীন করেছে। এখন তারা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করছে।

আমি বিশ্বাস রাখতে চাই এই নেতৃত্বের ওপর, এই দলের ওপর।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন,  এমন একটা সময় তারা দল গঠন করছেন যখন  জাতির সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। জাতীয় জীবনে আমরা এখন ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি। রাষ্ট্র ব্যবস্থার পুন:গঠন ও সংবিধান সংস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিগত ৫৩ বছরে তরুণদের কাঙ্খিত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হয়নি।

আমরা আশা করবো তাদের এই দলের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও সাম্যের বাংলাদেশ তৈরি করতে সক্ষম হবে।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, আশা করি এই নতুন রাজনৈতিক দলের মধ্য দিয়ে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নতুন বন্ধবস্ত ও সৌহার্দপূর্ন আচরণ পরিলক্ষিত হবে। আরো আশা করি এই দলটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

সরেজিমিনে দেখা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশকে কেন্দ্র সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেন ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ। বিকাল ৪টায় তা জিনসমুদ্রে পরিণত হয়। দলে দলে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে আসছেন। আগতদের মধ্যে গণঅভ্যুত্থানে আহত অনেককেও আসতে দেখা গেছে। এসময় ব্যানার ও মিছিলসহ অনেককে মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধেও আসতে দেখা গেছে।

রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ধানমন্ডি ও মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে। পুলিশ ও বিজিবির পর্যপ্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি সেনা সদস্যদের টহল দিতেও দেখা গেছে।

অনুষ্ঠানস্থলে আগতদের মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশের গেইটের সামনে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

নিরাপত্তা নিয়ে ২৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) উপ অধিনায়ক মেজর আবরার বলেন, ছয়টি পেট্রল কাজ করছে। প্রয়োজনে আরো ৪টি পেট্রল প্রস্তুত আছে। যান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নিরাপত্তা জোরদার থাকবে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য পাইনি।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত হয়েছেন, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ-সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন ও মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাশেমী, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি আবদুর রব ইউসুফিও প্রমুখ।

সভাস্থলে এসেছেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল মান্নান, মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

কূটনীতিবিদদের মধ্যে ঢাকায় ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস রেন্ডাল, পাকিস্তান হাই কমিশনের কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গালও এসেছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
শেয়ার
কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি
ছবি: কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের স্পিড হচ্ছে, অন্যায়-জুলুম-চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। কিন্তু কেউ কেউ ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে ক্ষমতা লোভী হয়ে নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

বুধবার বিকেলে বসুরহাট ইসলামীয়া কামিল মাদরাসা মাঠে নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির (দক্ষিণ) শাখার আয়োজনে কম্পানীগঞ্জ উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঈদ প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে তা কখনো সফল হবে না। আবারো দেশপ্রেমিক সৎ ও খোদাভীরু নির্ভিক তাকওয়ার গুনাবলী সম্পন্ন ছাত্র-জনতা নব্য ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে রক্তদান ও শহীদ হতে প্রস্তুত।

আরো পড়ুন
দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান

দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান

 

শিবির সভাপতি বলেন, যাদের রক্ত ও আত্মদানের ফলে আজ মুক্ত বাংলাদেশে কথা বলছেন, ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, সে শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। আর যদি ভারতীয় প্রেসক্রিপসন অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের চাইতেও কঠিন ভাগ্যবরণ করতে হবে।

ইতিহাস এটাই বলে, এটাই সত্য।

নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাফেজ সাইফুর রসুল ফুয়াদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মিছবাহুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, কম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসাইন, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভার আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, মাদরাসা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির দক্ষিণের অফিস সম্পাদক গোলাম আজম টিপু, কম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শাকিল হোসেন সম্রাট প্রমূখ।

সমাবেশের আগে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারগুলোর খোঁজ খবর নেন শিবির সভাপতি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান
ফাইল ছবি

জামায়াতকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘দুই পারসেন্ট লোক নেই। পায়ের ওপর পা তুলে কথা বলে। ইউএনও চলে তার কথায়, ডিসি চলে তার কথায়। প্রশাসন চলে তার কথায়।

একলা নির্বাচন করলে ৩টা সিট পাবে না, কিন্তু ৩০০ সিটের পাওয়ার দেখাইতেছে এখন। পুরো প্রশাসন দখল করে বসছে। কেন? বাপের বেটা অইলে ইলেকশনে আসো। ইলেকশনে দেখা যাবে বাংলাদেশের মানুষ কারে দায়িত্ব দেয়।
তখন বেটাগিরি করো।’

মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জের ইটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি জামায়াতের আমিরকে জিজ্ঞেস করব, আমি একটা কথা মিছা কইছি কি না? তাহলে আপনার শিবির ও জামায়াতের কর্মীরা আমারে এত বকাবকি করে কেন? আমারে ফজু পাগলা কয় কেন? ঠিক আছে আপনারা পাল্লা (দাড়িপাল্লা প্রতীক) নিয়া করবেন, আমরা ধানের শীষ নিয়া করব। পাবলিককে ডিসিশন নিতে দেন।

পাবলিক যারে ভোট দেব, হে দেশ চালাইব।’

আরো পড়ুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি

 

তিনি বলেন, ‘খালি বকাবকি করেন কেন? আর পেছন দিক দিয়ে কালো অন্ধকারে বসে কুটকুট করেন কেন? ১০ বছর কেমনে বিনা ভোটে থাকা যায়। কারণ জানেন, ভোট করলে জামানত থাকবে না। কূটকৌশল করে ক্ষমতায় থাকতে চান। এইটা কইলেই ফজলুর রহমান খারাপ।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফজলুর রহমান বলেন, ‘কলাগাছ কি বটগাছের চেয়ে বেশি উঁচু হয়? অনির্বাচিত সরকার কি নির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেশি আইন পাবে? কাজেই আমরা চাই না, এই দেশে অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন থাকুক।’

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আগে কইছে ডিসেম্বর মাসে ভোট  দেব। কয়দিন পরে গলা টাইনা বলে ইলেকশন ছয় মাস দেরি করে জুন মাসে দেব। জুন মাস যখন হয়ে যাবে, তখন বলবে আরে জুন মাসে তো আওয়ামী লীগের জন্মদিন। এ মাসে ফ্যাসিস্টদের জন্ম। এই মাসে তো কোনো ইলেকশন হইতে পারে না। এরপরে কইব, আগস্ট-সেপ্টেম্বর, এটাতে তো আমরা আন্দোলন করছিলাম, বিপ্লবের মাস। সেই মাসে ইলেকশন হবে না। আরেকটু পিছিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হোক। এইভাবে ইলেকশন টেনে কূটকৌশল করে পিছাইতেছে। কারণ, তারা জানে, ইলেকশন অইলে বিএনপি ৮০ ভাগ ভোট পাবে। যেই কারণে ইলেকশন দিতে চায় না।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছে জুলাই আন্দোলনের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ অবস্থা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে ও অস্থির করে তুলছে বলেও অভিযোগ তাদের।

বুধবার (২ এপ্রিল) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তরে সংযুক্ত) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত আন্তঃসংঘর্ষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩০ মার্চ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্থানীয় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে হামলার শিকার হন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহিরের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা। এতে তার হাত ভেঙে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।

২৪ মার্চ নোয়াখালীর হাতিয়ায় পথসভা ও জনসংযোগের সময়ে স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের ওপর হামলা চালান। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা এনসিপির কর্মী-সংগঠকদের নিয়মিত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজনৈতিক কারণে হামলার বিরুদ্ধে কথা বললেও এবং অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হলেও এ ধরনের হিংস্র কার্যকলাপ থেমে নেই। এনসিপির নেতারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আ. লীগ মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে রিপোর্ট করিয়েছে : রিজভী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগ মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে রিপোর্ট করিয়েছে : রিজভী
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগ নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। তারা হাজার হাজার কোটি অবৈধ টাকার মালিক। তারা সেই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।

বুধবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশে কোনো উগ্রবাদের উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করছে, কথা বলতে পারছে। শেখ হাসিনার আমলে কেউ স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি। 

আরো পড়ুন
বাংলাদেশ নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে : এ্যানি

বাংলাদেশ নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে : এ্যানি

 

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অপতথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা।

শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে যে নাটক করেছেন সেটা তিনি বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন। এটা ক্ষমতায় টিকে থাকতে তার রাজনৈতিক কৌশল ছিল। একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও তা ওঠে এসেছে।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে যেভাবে মুগ্ধ-ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে তার কোনো বক্তব্যে অনুতপ্ততা নেই।

অস্থিরতা তৈরি করতে দেশকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রশাসনের চারদিকে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ