<p>চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা আদা ও কমলা নিলামে উঠানো হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে খালাস না করায় এসব পণ্য নিলামে তোলা হয়। আমদানি করা আদার পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৩১২ কেজি এবং কমলার পরিমাণ ছিল ৫২ হাজার ২০০ কেজি।</p> <p>নিলামে আদার সর্বোচ্চ দর ওঠে প্রতি কেজি ২৫.২৫ টাকা। অথচ এসব আদার প্রতি কেজি সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছিল ১৩৫ টাকা। আর কমলার সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছিল ৯০ টাকা ৫০ পয়সা। নিলামে এক কেজি কমলার দাম ওঠে ১০ টাকা ৫৪ পয়সা। গত সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম কাস্টমের নিলাম শাখায় অনুষ্ঠিত আদা, কমলা এবং বিভিন্ন ধরনের ফলের জুসেরও প্রকাশ্য নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>চট্টগ্রাম কাস্টমের নিলাম শাখার তথ্যে দেখা যায়, নিলামে তোলা ২২ হাজার ৩১২ কেজি আদার সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩০ লাখ চার হাজার ৪৩৬ টাকা। যার প্রতি কেজি মূল্য ১৩৫ টাকা। অথচ সেই আদা নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দর পাওয়া গেছে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১৩৫ টাকা কেজি দরের আদার সর্বোচ্চ দাম পাওয়া গেছে ২৫.২৫ টাকা। ৪৭ নম্বর প্রকাশ্য নিলামে এই সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করে চট্টগ্রাম নগরীর এ কে খান গেট এলাকার প্রতিষ্ঠান মদিনা এন্টারপ্রাইজ। </p> <p>এ ছাড়া ৪৬ নম্বর প্রকাশ্য নিলামে উঠানো হয় ৫২ হাজার ২০০ কেজি কমলা। যার সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয় ৪৭ লাখ ২৪ হাজার ৬৫২ টাকা। প্রতি কেজি হিসেবে যার মূল্য হয় সাড়ে ৯০ টাকা। অথচ নিলামে ওই কমলার কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ দর ওঠে ১০.৫৪ টাকা। নগরীর আশ্রাফ আলী রোডের প্রতিষ্ঠান মেসার্স মঈনুদ্দিন জাবেদ ট্রেডার্স এসব কমলার সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করেছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা।</p> <p>অন্যদিকে ৪৫ নম্বর প্রকাশ্য নিলামে ছিল সর্বমোট তিন হাজার ৪২২ লিটার জুস। যার সংরক্ষিত মূল্য ৭২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৭৬ টাকা। এসব জুসের মধ্যে রয়েছে ২৯২ লিটার পাইন আপেল জুস (এক লিটারের বোতল), ৮৪২ লিটার ম্যাঙ্গো জুস (২৫০ মিলি লিটারের বোতল), ৫৯২ লিটার অ্যাপল জুস (এক লিটারের বোতল), ৪২২ লিটার স্ট্রবেরি অ্যান্ড ব্যানানা জুস (২৫০ মিলি লিটারের বোতল), ৬৯৮ লিটার পেয়ারার জুস (২৫০ মিলি লিটারের বোতল) এবং ৫৭৬ লিটার ম্যাঙ্গো জুস (এক লিটারের বোতল)। এসব জুসের সর্বোচ্চ দর উঠেছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। নগরীর স্টেশন রোডের প্রতিষ্ঠান রফিক অ্যান্ড ব্রাদার্স এই দর প্রস্তাব করে। এসব জুসের বেশির ভাগেরই মেয়াদ রয়েছে আর দুই থেকে তিন মাস।</p> <p>চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, কমলা, আদা, ফলের জুস এসব পচনশীল পণ্য। এসব পণ্য নিয়ম অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করেননি আমদানিকারকরা। তাই বন্দরের জট কমিয়ে আনতে পণ্যগুলো নিলামে তোলা হয়েছে। নিলামে যে দর পাওয়া গেছে সেটি বিশ্লেষণের জন্য নিলাম নিষ্পত্তির একটি কমিটি রয়েছে। কাস্টমের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে নিলাম নিষ্পত্তি কমিটি।</p>