ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫
১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ রমজান ১৪৪৬

বাকৃবি শিবিরের সভাপতি ফকরুল, সেক্রেটারি ত্বোহা

বাকৃবি সংবাদদাতা
বাকৃবি সংবাদদাতা
শেয়ার
বাকৃবি শিবিরের সভাপতি ফকরুল, সেক্রেটারি ত্বোহা
সভাপতি ফকরুল ইসলাম (বাঁয়ে) ও সেক্রেটারি আবু নাসির ত্বোহা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শাখার সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফকরুল ইসলাম। 

নবনির্বাচিত সভাপতি জানান, কেন্দ্রীয় সভাপতির স্বাক্ষরিত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ভোটগ্রহণে তিনি সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত হয়েছেন। ফল ঘোষণার পর তাকে শপথ পাঠ করান সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।

পরে সদস্যদের পরামর্শের ভিত্তিতে নবনির্বাচিত সভাপতি আবু নাসির ত্বোহাকে শাখা সেক্রেটারি হিসেবে মনোনীত এবং তার নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় ২০২৫ সালের জন্য নতুন নেতৃত্ব বাকৃবি শাখাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সভাপতি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সাক্ষাৎকার : অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম

সবাইকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কাজ করছি

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. সাইফুল ইসলাম
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. সাইফুল ইসলাম
শেয়ার
সবাইকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কাজ করছি
অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম

অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। শামছুল আলম ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ২০১২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে প্রভোস্ট ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার ৩১টি গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে। তার তত্ত্বাবধানে ৬ জন পিএইচডি এবং ৭ জন এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

 

কালের কণ্ঠ : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে কেমন অবস্থায় পেয়েছিলেন? বর্তমান অবস্থা কেমন?

ড. মো. শামছুল আলম : বিগত সরকারের শাসনামলে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কেও ধ্বংস করা হয়েছিল। সেখান থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে টেনে তোলার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার কাজ করছি।  

কালের কণ্ঠ : ইআবি এখনো ভাড়া বাসায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ কত দূর?

ড. মো. শামছুল আলম : ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানাধীন ঘাটারচর ও মধ্যেরচর এলাকায় ১৭ একর জমিতে নির্মিত হবে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। পুরো প্রজেক্টের কাজটি বাস্তবায়ন করছে সরকার। সেখানে কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর পুরো ১৭ একর জমি বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। জমির বাউন্ডারির কাজ হয়েছে প্রায় ৮০ ভাগ।

কালের কণ্ঠ : স্থায়ী ক্যাম্পাসে কী কী থাকবে?

ড. মো. শামছুল আলম : একটি বড় আকারের ১০ তলা ভবন হবে। যেখানে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে একটি বড় মসজিদ হবে। আর তিন একর জায়গাজুড়ে নির্মিত হবে আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট। সৌদি আরবের অর্থায়নে এই ইনস্টিটিউট নির্মিত হবে। 

কালের কণ্ঠ : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অনেকাংশে পরীক্ষাকেন্দ্রিক...

ড. মো. শামছুল আলম : আমরা এ বিষয়ে দৃষ্টি দিয়েছি। বৃহৎ পরিসরে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আগামীতে অনেকগুলো জার্নাল বের করব। ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রবন্ধ জমা হয়েছে। দেশ-বিদেশের ভালো মানের অনেক গবেষক আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন। 

কালের কণ্ঠ : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এমফিল-পিএইচডি প্রগ্রাম চালু করবে?

ড. মো. শামছুল আলম : আমরা এমফিল-পিএইচডি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য নীতিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে। খুব দ্রুত এ বিষয়ে সার্কুলার দেওয়া হবে। আশা করি, ভালো সাড়া পাব। 

কালের কণ্ঠ : ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মাদরাসাগুলোর শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে...

ড. মো. শামছুল আলম : আমরা মাদরাসাগুলোকে কোয়ালিটি বাড়ানোর কাজে উদ্বুদ্ধ করছি। আগামীতে শুধু এই লক্ষ্যে সভা-সেমিনার করা হবে। এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য চাই। আসলে কেন এমন হচ্ছে। এ কাজে বিশেষজ্ঞদের নিয়োজিত করা হবে। এ ছাড়া বিগত ১৫ বছর চাকরির ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে। এটাও শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। শিক্ষার্থীদেরে মধ্যে এই আস্থা তৈরির চেষ্টা করব যে তারা যোগ্য ও দক্ষ হলে চাকরির বাজারে আর বৈষম্যের শিকার হবে না। আশা করি, আগামীতে মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়গুলো সুষ্পষ্ট হবে। 

কালের কণ্ঠ : মাদরাসাগুলোতে নিয়মিত ক্লাস হয় না, পরীক্ষায় অনিয়মের কথাও শোনা যায়।

ড. মো. শামছুল আলম : আমরা ধীরে ধীরে একটি সিস্টেম গড়ে তুলব মাদরাসাগুলোর জন্য। সেখানে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্টসংখ্যক ক্লাসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হবে। পরীক্ষায় অনিয়ম বন্ধে আমরা ইতিমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। প্রয়োজনে কেন্দ্র বাতিলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে।

কালের কণ্ঠ : মাদরাসা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রফেশনাল কোর্স করানোর উদ্যোগ আছে কি?

ড. মো. শামছুল আলম : আগামীতে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন ভাষাসহ ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য আবাসিক সুবিধাও রাখা হবে।

কালের কণ্ঠ : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চ্যালেঞ্জ কী?

ড. মো. শামছুল আলম : দেখুন, আমরা দেড় হাজার মাদরাসা নিয়ে কাজ করি। এই বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানে কাজগুলো সমন্বয় করতে যতসংখ্যক জনবল থাকা দরকার, তা আমাদের নেই। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে কাজগুলো পরিচালনা করা অনেকটাই কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা করছি সমন্বিতভাবে কাজ করার। একই সঙ্গে জনবল নিয়োগের জন্যও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

কালের কণ্ঠ : আপনার মেয়াদের শেষে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে কোথায় দেখতে চান?

ড. মো. শামছুল আলম : দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত, বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় আমার স্বপ্ন। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে সবার সহযোগিতা নিয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করব ইনশাআল্লাহ।

কালের কণ্ঠ : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ড. মো. শামছুল আলম : আপনাকেও ধন্যবাদ। কালের কণ্ঠের জন্য শুভ কামনা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দাখিল পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন, নতুন রুটিন প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দাখিল পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন, নতুন রুটিন প্রকাশ
ফাইল ছবি

এসএসসির পর এবার ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে নতুন রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) মাদারাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সই করা সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

আগামী ১০ এপ্রিল এ পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হবে কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষা।

নতুন সূচিতে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী, ২০ এপ্রিলের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা এক দিন পিছিয়ে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) ১২ মের পরিবর্তে ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলা প্রথম পত্র এবং উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়)-এর পরিবর্তন ছাড়া সংশোধিত রুটিনের সঙ্গে আগে প্রকাশিত রুটিনের সব তারিখ ও সময়ের মিল রয়েছে।

এর আগে এসএসসি পরীক্ষার রুটিনেও একবার সংশোধন আনা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রতারণার ফাঁদে ৩০ হাজার টাকা খোয়া গেল জবি শিক্ষার্থীর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
প্রতারণার ফাঁদে ৩০ হাজার টাকা খোয়া গেল জবি শিক্ষার্থীর
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমদাদুল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমদাদুল হক। নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশে লুঙ্গি বিক্রি করেন। ঈদের অধিক মুনাফা লাভের আশায় কুষ্টিয়া থেকে বাবাকে নিয়ে এসে একই ব্যবসা করতে থাকেন। তবে গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল বাবা ফাঁদে পড়ে ৩০ হাজার টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

 

সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে গেন্ডারিয়ার ঘুণ্টিঘর সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, গেন্ডারিয়া মসজিদের পাশে সাধনার গলির সামনে লুঙ্গি বিক্রি করছিল শিক্ষার্থীর বাবা। পরে একজন নারী একসঙ্গে ৩০-৪০টি লুঙ্গি কেনার কথা জানান। মানের লুঙ্গি কম থাকায় নারী আরো লুঙ্গি আনতে বলেন।

পাশে থাকা একটি দোকানের একজন ছোট ছেলের কাছে লুঙ্গি রেখে আরো লুঙ্গি আনতে যান বাবা। ফিরে এসে দোকান বন্ধ দেখেন। পরে ছেলেটি জানান, তাঁর কাছ থেকে ওই নারী লুঙ্গি নিয়ে চলে গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমদাদুল বলেন, আমি সোমবারই গেন্দারিয়া থানায় জিডি করে আসি।

মঙ্গলবার পুলিশ নিয়ে দোকানে যাই। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ছেলেটি নিজ হাতে লুঙ্গি নারীর হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছেন, তাঁরা ফুটেজ দেখে নারীকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।  

তিনি আরো বলেন, আমি ঋণ নিয়ে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ঈদের আগে ব্যবসা শুরু করি। ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো মালামাল নিয়ে গেছে।

আমি কিভাবে কি করব, বুঝতে পারছি না। ঋণ কিভাবে শোধ করব বুঝতে পারছি না।

এ ব্যাপারে ইমদাদুলের সহপাঠী হোমাইরা বলেন, ইমদাদুল নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্যে সন্ধ্যার পরে রাস্তার পাশে লুঙ্গি বিক্রি করত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় একটি প্রতারক চক্র ওর থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার লুঙ্গি নিয়ে যায়। ছেলেটা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা সবাই গ্রামে চলে এসেছি। তাই কেউ ওর কাছে যেতেও পারছি না। পুলিশের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত অপরাধীকে শনাক্ত করুন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার আমরা ৪ জন ইমদাদুলকে নিয়ে গেন্ডারিয়া থানায় যাই। সেখান থেকে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখি। সিসিটিভি ফুটেজ এবং দোকানে থাকা ছেলের কথাবার্তায় কিছু অসামঞ্জস্যতা পাওয়া যায়। তবে ঘটনা দেখে দোকানিকে দায়ীও করা যাচ্ছে না। তদন্ত কর্মকর্তা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ওসির সঙ্গে কথা বলবে। তারপর যদি কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়, সেটা জানানো হবে। তবে এই ব্যাপারটা নিশ্চিত নয়।

মন্তব্য

রাবির এক শিক্ষকের অব্যাহতি, আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

রাবি প্রতিনিধি
রাবি প্রতিনিধি
শেয়ার
রাবির এক শিক্ষকের অব্যাহতি, আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অপরাধে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চারুকলা অনুষদের শিক্ষক সুজন সেনের বিরুদ্ধে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

শাস্তি পাওয়া দুই শিক্ষক হচ্ছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ ও চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেন। এ বছরের আগস্টে শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাক্তন সভাপতি মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে বিভাগের আয়-ব্যয়ের অনিয়ম ও শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ পর্যালোচনা করে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে পরবর্তী পদোন্নতির তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য পদোন্নতি ও বেতনের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়া, তিনি এই ৫ বছর কোনো একাডেমিক কার্যক্রম বা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করতে পারবেন না। তার বিভাগের পাওনাদি পত্র ইস্যুর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

অন্যদিকে, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে আনীত নৈতিক স্খলনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ৫৫ (৩) ধারায়  উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম-২ এবং ড. সুজন সেন মনোনীত একজন প্রতিনিধি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ