<p>১৮ জনের একটি ডাকাতদল নৌকা থেকে নেমে এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের সঙ্গে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। উঠানে ডাকাতদলের হাঁটাচলার শব্দে ঘুম ভাঙে বাড়ির কর্তার। ঘর থেকে উঁকি দিয়ে দেখতে পান মানুষের আনাগোনা। ওই সময় তিনি ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। ধাওয়া খেয়ে একজন বাদে অন্য ডাকাত সদস্যরা নৌকায় উঠে পালিয়ে যান।</p> <p>মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নদীবেষ্টিত চর আড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি এলাকায় বাবুল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>আটক হওয়া ডাকাত সদস্যের নাম রহমান মিয়া (৪৫)। তিনি একই ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি এলাকার মঙ্গল মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।</p> <p>স্থানীয়রা জানায়, গতরাতে সশস্ত্র একটি ডাকাতদল এলাকায় প্রবেশ করে। পরে তারা বাবুল মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি করতে আসে। ওই সময় বাড়ির কর্তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া দেয়। পরে নৌকায় উঠে একজন বাদে সবাই পালিয়ে যান তারা। পালানো আগে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান ডাকাত দলের সদস্যরা। এদিকে স্থানীয়দের হাতে আটকের আগে নিজের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র পানিতে ফেলে দেন রহমান। বুধবার সকাল ১১টায় গণধোলায় দিয়ে ওই ডাকাত সদস্যকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।</p> <p>ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া বলেন, ‘ডাকাতদলের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ছিল। সংখ্যায় তারা ১৫ থেকে ১৮ জন। সময়মতো প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছি।’ তবে এ ঘটনায় তিনিসহ পরিবারের কেউ আহত হননি বলে জানান।</p> <p>ইউপি সদস্য জালাল মিয়া বলেন, ‘পালানোর আগে ডাকাত সদস্যরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। আটক হওয়া রহমানের নামে হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা আছে। আমার তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছি।’</p> <p>চর আড়ালিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও নরসিংদী জেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার বলেন, ১৭ থেকে ১৮ জনের একটি ডাকাতদল বাঘাইকান্দি এলাকার বাবুল মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছিল। ওই সময় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একজন বাদে সবাই নৌকায় উঠে পালিয়ে যান। আটক হওয়া রহমানকে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় থানায় সোপর্দ করে স্থানীয়রা। তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে থানায় মামলা রয়েছে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এলাকায় ডাকাতের উৎপাত বেড়ে যায়। রাতে সশন্ত্র ডাকাতদল এলাকায় প্রবেশ করে। এতে শঙ্কা ও আতঙ্কিত লোকজন নির্ঘুমে রাত কাটায়।</p> <p>রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার বলেন, এলাকাবাসী ডাকাত ধরে থানায় সোপর্দ করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।</p>