<p>কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ১৮ জন মেম্বারকে (ইউপি সদস্য) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইউপি সদস্যদের সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা থেকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি সংস্থাটির চেয়ারম্যান। </p> <p>পুলিশ জানিয়েছে, গোপন মিটিংয়ের খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ শহরের কলাতলী এলাকার আবাসিক হোটেল ইউনি রিসোর্টে অভিযান চালিয়েছিল। পুলিশের অভিযানকালে অনেকে পালিয়ে গেলেও ৪০ জনকে আটক করা হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইজুল আযীম নোমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>সূত্র মতে, রাত ১২টার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া ইউপি সদস্যদের কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়।</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, শুক্রবার দুপুরের পর শহরের ইউনি রিসোর্টে বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) কক্সবাজার জেলা শাখা ‘রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্থানীয় উন্নয়নে তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের করনীয়’ শিরোনামে এই আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল। এতে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।</p> <p>এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থার চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ-আল-মামুন। প্রধান আলোচক ছিলেন রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সংস্কৃতজন মুহাম্মাদ আতাউল্লাহ খান। ওই সভা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থার ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মো. ছৈয়দ নূর মেম্বার।</p> <p>সূত্র মতে, পুলিশের কাছে খবর পৌঁছে ওই আলোচনা সভার নামে আওয়ামী লীগের দোসর ইউপি সদস্যরা হোটেল ইউনি রিসোর্টে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। এমন খবর পেয়েই পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, ওই সভায় আওয়ামী লীগের দোসর অনেক ইউপি সদস্য অংশ নিয়েছিলেন। তবে সেই সভায় সরকারবিরোধী কোনো কথা হয়নি। বরং তৃণমূলের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি হিসেবে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে সহযোগী করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।</p> <p>পুলিশ সূত্রগুলো জানিয়েছে, পুলিশি অভিযানের সময় অধিকাংশ ইউপি সদস্য সটকে পড়েন। তবে ৪০ জনের মতো ইউপি সদস্যকে হোটেলে আটকে দেওয়া হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে মামলার আসামি থাকা ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। </p>