<p>হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ছয়শ্রী গ্রামে মনিপুরীদের আবাসস্থলে মহারাস উৎসব নিয়ে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। শিল্পীরা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সেখানে অনুষ্ঠিত হবে ১৮১তম রাস উৎসব। চুনারুঘাট উপজেলার উত্তর ছয়শ্রী মহাপ্রভু মণ্ডপে শুক্রবার সকাল ৫টায় মঙ্গল আরতির মাধ্যমে শুরু হবে এই উৎসব। শনিবার ভোররাত পর্যন্ত তা চলবে। গভীর রাতে মনিপুরী শিল্পীরা নিপুন দক্ষতায় নৃত্যের মাধ্যমে তুলে ধরবেন রাধা কৃষ্ণের জীবন আলেখ্য। এবার সেখানে উপস্থিত থাকবেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. জহিরুল হক শাকিল ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।</p> <p>মহারাস লীল উদযাপন কমিটির সাথে জড়িত বিরেশ্বর কুমার সিংহ জানান, মঙ্গল আরতির মাধ্যমে উৎসব শুরুর পর মহাপ্রভুর ভোগ আরতি ও মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। শুক্রবার আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শ্রী কৃষ্ণের গোচারণ লীলা এবং রাত সাড়ে ১০টা থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত হবে মহারাসলীলা।</p> <p>প্রতিবছর কার্তিক মাসের পূর্নিমা তিথিতে অনারম্ভর ভাবে অনুষ্ঠিত হয় মহারাসলীলা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মুনিপুরী সম্প্রদায়সহ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অনেকেই ছুটে আসেন মহারাসলীলা উপভোগ করতে। মুনিপুরী নৃত্যকলা শুধু ছয়শ্রী নয়, গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বিশ্বের নৃত্যকলার মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দখলে করে আছে। মহারাসলীলায় শিশু থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরী সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে রাতের বেলায় রাস উৎসব হয়ে ওঠে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। </p> <p>রাখাল নৃত্য দিনের বেলায় হলেও রাখাল নৃত্যের পর থেকেই সন্ধ্যায় শুরু হয় রাসলীলা। শুরুতেই পরিবেশিত হয় রাসধারীদের অপুর্ব মৃদঙ্গ নৃত্য। মৃদঙ্গ নৃত্য শেষে প্রদীপ হাতে নৃত্যের তালে তালে সাজানো মঞ্চে প্রবেশ করেবেন শ্রী রাধা সাজে সজ্জিত একজন নৃত্যশিল্পী বৃন্দা। তার নৃত্যের সঙ্গে বাদ্যের তালে তালে পরিবেশিত হবে মুনিপুরী বন্দনা সঙ্গীত। শ্রীকৃষ্ঞ রূপধারী বাশিঁ হাতে মাথায় কারুকার্য্য খচিত ময়ূর গুচ্ছধারী এক কিশোর নৃত্যশিল্পী তার বাঁশির সুর শুনে রজগোপী পরিবেশিত হয়ে শ্রী রাধা মঞ্চে আসেন। রাতব্যাপী সুবর্ন কংকন পরিহিতা মুনিপুরী কিশোরীদের নৃত্য প্রদর্শন চলে। সবাই মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন এই নৃত্য। </p>