<p>জোড় ইজতেমা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার পর প্রশাসন সকল মুসল্লিদের বের করে দিয়েছে। ইজতেমা মাঠ এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।</p> <p>বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত ইজতেমা মাঠ থেকে সকল মুসল্লি চলে যায়।</p> <p>এর আগে বেলা ২টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইজতেমা মাঠের তিন কিলোমিটার এলাকায় একজনের বেশি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই আদেশ মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়ার পর মুসল্লিরা মাঠ ছাড়তে শুরু করেন। সাদপন্থীদের নিরাপদে প্রস্থান নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিশেষভাবে নিরাপত্তা দিয়ে তাদের যাতায়াতে সহযোগিতা করছেন।</p> <p>টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে কামারপাড়া রোড বন্ধ করে দিয়ে সেনাবাহিনী সাদপন্থীদের একটি পথে গন্তব্যে ষেতে সহযোগিতা করছেন। সাদপন্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় প্রস্থান নিশ্চিত বিষয়ে সেনাবাহিনী বলছে, রাস্তায় প্রতিপক্ষের আক্রমণ যেন না হয় সেজন্য বিশেষভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। তবে বিদেশি মেহমানখানায় এখনো বিদেশিরা অবস্থান করছেন।</p> <p>প্রসঙ্গত, আগামী বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা জোড় ইজতেমা করবেন ও জুবায়েরপন্থীরা করতে দেবে না বলে বিরোধ চলছিল। এ অবস্থায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। জুবায়েরপন্থীদের সাংবাদিক সম্মেলনের পর সাদপন্থীরাও সম্মেলন করে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। এ অবস্থায় সাদপন্থীদের পূর্ব ঘোষিত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ২৪ ঘণ্টা পিছিয়ে ১৮ ডিসেম্বর করেছে তারা। </p> <p>এ অবস্থায় জুবায়েরপন্থীদের সমর্থনে টঙ্গীবাসী ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে টঙ্গী থেকে উত্তরা পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে একই দাবিতে কয়েকটি মানববন্ধন হয়। বুধবার সাদপন্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু গতরাতেই ঘটে যায় সংঘর্ষ। নিহত হন চারজন ও আহত হয় শতাধিক। এই অবস্থায় সরকার দুই পক্ষের দখল থেকে ইজতেমা মাঠ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ময়দান খালি করার জন্য করা হয় মাইকিং। ফলে রাত ৮টা পর্যন্ত সাদপন্থীরা মাঠ ছেড়ে চলে যায়।</p>