<p>জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার কারণে ফেনীর তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাহবুব উল হক পেয়ারা সুইমিংপুল পরিত্যক্ত পড়ে আছে। এই সুযোগে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে এটি। </p> <p>স্থানীয়রা জানায়, শহরের দাউদপুরে তিন একর জায়গা জুড়ে মাহবুব উল হক পেয়ারা সুইমিংপুলটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর ২০১২ সালে একবার ব্যবহার করা হয়েছিল। এর পর থেকে এটি আর ব্যবহার করা হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পানির মোটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। দেয়ালে ফাটল ধরেছে, পলেস্তারা খসে পড়ে যাচ্ছে। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। বাথরুম ও ড্রেসিং রুমের অনেক জিনিস চুরি হয়ে গেছে। দিনের বেলায় বখাটে আর রাতে মাদকসেবীদের দখলে থাকে। এই অবস্থায় সুইমিংপুলের আশপাশে আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করতে হয়। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে আবাসিক বাসিন্দারা অভিযোগ করলেও বিগত সরকারের আমলে নেতাদের ভয়ে কেউ কথা বলার সাহস পায়নি। </p> <p>এদিকে সাঁতারুদের বিকল্প কোনো জায়গা না থাকায় ফেনীতে সাঁতার প্রতিযোগীতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন সাঁতারু তৈরি হওয়ার সুযোগ হারাচ্ছে। স্থানীয় ও জাতীয় খেলোয়াড় তৈরি হওয়া থেকে ফেনীবাসী পিছিয়ে পড়েছে।<br /> স্থানীয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা বলেন, এলাকার শিশুদের কথা চিন্তা করে সুইমিংপুলটি নির্মাণ করা হলেও তা কাজে আসেনি। এখন সংস্কারের মাধ্যমে এটি আবার চালুর দাবি জানান তাঁরা।<br />  <br /> জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা হীরা আক্তার বলেন, শিগগিরই এটি চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।</p> <p>এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এটি চালু করতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও মন্ত্রণালয় বরাবরে চিঠি দেওয়া হবে। এ ছাড়া পুলটি ব্যবহারের উপযোগী করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।</p>