<p style="text-align:justify">ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরে ওবায়দুর রহমান খান (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজনরা ও এলাকাবাসী।</p> <p style="text-align:justify">শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে ওবায়দুরের লাশ নিয়ে কানাইপুর বাজারে আসলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের আশ্বাসে সড়ক ছাড়েন অবরোধকারীরা। </p> <p style="text-align:justify">এর আগে শুক্রবার বিকেলে কানাইপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় মমতাজ ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেলের তেল কিনতে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ওবায়দুরকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে পদ্মা সেতু এলাকায় রাত ৯টার দিকে ওবায়দুর খান মারা যান।</p> <p style="text-align:justify">নিহত ওবায়দুর কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে।</p> <p style="text-align:justify">থানা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত ওবায়দুরের এক আত্মীয় পুলিশে চাকরি করেন। সেই সুবাধে পুলিশের সাথে তার উঠা-বসার সম্পর্ক ছিল। আর খাজা ও তার লোকজন নিয়ে কানাইপুর এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। খাজাকে গ্রেপ্তার করতে ওবায়দুর পুলিশকে কয়েকবার সাহায্য করেছিল। খায়রুজ্জামান খাজা তাকে (ওবায়দুরকে) প্রতিপক্ষ মনে করতো। খাজা তাকে নিজের বশে নিতে না পারার কারণেই ওবায়দুরের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।</p> <p style="text-align:justify">শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর ওবায়দুরের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। </p> <p style="text-align:justify">ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোছা. তাহিরা জানান, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তার মাথা ও চোখে মারাত্মক আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ছাড়া বাঁ পা ভাঙাসহ শরীরে আরো ইনজুরি ছিল। এ জন্য তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। </p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে খায়রুজ্জামান খাজার ভাই কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বলেন, ‘শুনতে পেরেছি কানাইপুরে ওবায়দুর নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ‘ এ হত্যকাণ্ডে তার ভাই জড়িত আছে কি না জানতে চাইলে আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে বলতে পারি না।’</p> <p style="text-align:justify">ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর ওবায়দুরের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্বজন ও স্থানীয়রা কানাইপুর বাজারে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’</p>