ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ইজিবাইকের যাত্রীর

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ইজিবাইকের যাত্রীর
নিহতের বাড়িতে স্বজনদের ভিড়। ছবি : কালের কণ্ঠ

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ট্রাক-ইজিবাইক সংঘর্ষে মানোয়ার মোল্যা (৩০) নামে এক ইজিবাইকের যাত্রী নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কলিমাঝি ঈদগাহের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মানোয়ার মোল্যা একই উপজেলার কাটাগড় গ্রামের আফসার মোল্লার ছেলে। নিহত ব্যক্তির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

তিনি খুলনায় জাহাজে চাকরি করতেন। 

আরো পড়ুন
‘গুলিতে ডাইন হাতটা অবশ অইয়া গেছে, চিকিৎসার টেহা নাই’

‘গুলিতে ডাইন হাতটা অবশ অইয়া গেছে, চিকিৎসার টেহা নাই’

 

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার কাটাগড় গ্রামের জাহাজ কর্মী মানোয়ার মোল্যা (৩০) ও আহাদ মোল্লা (৩২) ইজিবাইকযোগে খুলনায় যাওয়ার উদ্দেশে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আচ্চলিক মহাসড়ক হয়ে ভাটিয়াপাড়া যাচ্ছিলেন। তারা বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কলিমাঝি ঈদগাহের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা মাঝকান্দিগামী অজ্ঞাত ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকটি ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এ সময় মারাত্মক আহত মানোয়ারকে পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

আলফাডাঙ্গা জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদ হোসেন জানান, হাসপাতালে আনার পর অক্সিজেন মুখে দেওয়ার সময় আহত ব্যক্তি মারা যান। তার মাথায় প্রচণ্ড আঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। 

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের

 

বোয়ালমারী থানার ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মধুসূদন পান্ডে জানান, আমি নিহতের বাড়িতেই আছি।

দুর্ঘটনায় ইজিবাইকে থাকা দুই যাত্রী ও চালকের মধ্যে মানোয়ার মারা গেছে। চালক ও অন্য যাত্রীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ঘাতক ট্রাকটি সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৩ দিনের ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই বিদ্যালয়ে আবারও চুরি

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
৩ দিনের ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই বিদ্যালয়ে আবারও চুরি
ছবি: কালের কণ্ঠ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ভেলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবারও চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাতে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। 

ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, এবার চোরের দল বিদ্যালয় থেকে তিনটি সিলিং ফ্যান নিয়ে গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে নবীনগরের ইউএনও রাজীব চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনসুর আহমেদ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ও এসআই রামকানাই সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাছলিমা বেগম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বিদ্যালয়ে এসে দ্বিতীয় তলার ছাদে নতুন লাগানো তালা ভাঙা দেখতে পান। পরে প্রাক প্রাথমিকের শ্রেণি কক্ষে গিয়ে দেখেন, ওই কক্ষের তিনটি সিলিং ফ্যান চোরের দল খুলে নিয়ে গেছে। 

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই তিনি পুরো ঘটনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও নবীনগর থানার সেকেন্ড অফিসারকে অবগত করেন।  

নবীনগর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাম্মদ আবদুল মুনাফ বলেন, ‘ঘটনা শোনার পরপরই রাম কানাই সরকার নামের একজন এসআইকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়ে সেখানে পাঠিয়েছিলাম।

’ 

নবীনগরের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনসুর আহমেদ ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে এসে বলেন, ‘আমি আগের চুরির ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মাত্র তিন দিনের মধ্যে এমন অপ্রত্যাশিত চুরির ঘটনা আবারও ঘটবে, সেটি বিশ্বাসই করতে পারছি না। আজ ইউএনও স্যারও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।’

এ বিষয়ে নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আমি নিজে বিকেলে ওই বিদ্যাপীঠ পরিদর্শন করে খোঁজখবর নিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, গত রবিবার এই বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে ৭টি সিলিং ফ্যান, ২৫ জোড়া বেঞ্চ (লোহার) ও বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদিসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়।

মন্তব্য

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এক মুসল্লির মৃত্যু

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এক মুসল্লির মৃত্যু
ছবি: কালের কণ্ঠ

৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এই প্রথম কোনো মুসল্লি মারা গেলেন। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তিনি মারা যান।

দ্বিতীয় পর্ব বিশ্ব ইজতেমার নিজামুদ্দিন মারকাজের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মারা যাওয়া মুসল্লি খুলনা জেলা সদরের লবণচড়া থানার বাঙালগলি গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে দিদার তরফদার (৫৫)।

জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমার ৪১ নম্বর খিত্তায় অবস্থানকারী মুসল্লি দিদার তরফদার বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক তাকে টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
 
 

মন্তব্য

বরিশালে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শেয়ার
বরিশালে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি

বরিশালে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি স্বামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. রকিবুল ইসলাম রায় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কালাম রাঢ়ী (৫০) বরিশাল সদর উপজেলার খোন্তাখালী এলাকার বাসিন্দা।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নুপুর বেগমকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন কামাল। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলায় কবিরাজ গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন। সেখানে গিয়ে যৌতুকের দাবিতে নুপুরের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয় কামালের। পরে ১৪ মার্চ নুপুরকে নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।

এরপর থেকে নুপুর নিখোঁজ ছিলেন।

পরের দিন তার লাশ খাল থেকে উদ্ধার করে বরিশাল মহানগর বন্দর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নুপুরের মা রেনু বেগম অজ্ঞাত আসামি করে বন্দর থানায় মামলাটি করেন। কালাম রাঢ়ীকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল ইসলাম ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

 

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, শ্বাসরোধ করে নুপুরকে হত্যা করে প্রমাণ লোপাটের জন্য লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়।
 

মন্তব্য

আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আ. লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে : আখতার হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আ. লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে : আখতার হোসেন
সংগৃহীত ছবি

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। দল হিসেবে অতি দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের কবি নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে জাতীয় নাগরিক কমিটির সিলেট বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, ‘বিশিষ্ট নাগরিকের নামে যারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুনের রাজনীতিকে বৈধতা দিতে চায়, তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য বাংলাদেশের সাধারণ জনগণই যথেষ্ট।

’ 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো মানুষই আর এই নির্লজ্জ, বেহায়া, খুনি, স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেবে না। আমরা সামনের বাংলাদেশে দেশবিরোধী, বাংলাদেশের জনগণের ওপর ভয়ংকর অভিশাপ চাপিয়ে দেওয়া কোনো খুনিকে দেখতে চাই না।’

নতুন রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা এমন এক রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছি, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। ন্যায় ও ইনসাফের পলিসিই হবে নতুন বন্দোবস্ত।

এখানে আর কোনো বাকশাল ও ফ্যাসিবাদকে জায়গা দেওয়া হবে না।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল ভারতের তাঁবেদারি করবে, বাংলাদেশের মানুষ তা আর হতে দেবে না। পতিত আওয়ামী লীগারদের মতো বেহায়াদের, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মানুষ আর রাজনীতি করতে দেবে না। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমাদের আগে ফ্যাসিস্ট কাঠামো ধ্বংস করতে হবে। এরপর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য আদর্শ প্রশাসনিক কাঠামো প্রয়োজন। পার্টি গঠনের পাশাপাশি আমরা রাষ্ট্র গঠনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। এর বাস্তবায়নে তরুণ জনগোষ্ঠীকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ