বাংলাদেশের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিন রাফান দীর্ঘদিন ধরে তার ইউটিউব চ্যানেল ‘রবিন রাফান একাডেমি’ এর মাধ্যমে নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। কনটেন্ট নির্মাণের মৌলিক বিষয় থেকে শুরু করে কীভাবে একজন সফল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া যায়, সেই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা তার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রদান করেন তিনি।
সম্প্রতি, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তার নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘সিলভার প্লে বাটন’ প্রদান করেছে। এই সম্মানজনক পুরস্কারটি ইউটিউব তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য চ্যানেলগুলোর সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা এক লক্ষ পূর্ণ হলে প্রদান করে।
তবে এটি শুধুমাত্র সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা নয়, বরং ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইনস অনুসরণ করাসহ অন্যান্য নীতিমালার ওপরও নির্ভর করে।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে এক লাখ সাবস্ক্রাইবার হলেই যে সে এই ক্রিয়েটরস অ্যাওয়ার্ডটি পাবে সেটি কিন্তু নয়। একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য এক লক্ষ সাবস্ক্রাইবার হওয়ার পর তার পুরো চ্যানেলকে প্রায় ১০টি কার্যদিবস পর্যন্ত ইউটিউব কর্তৃপক্ষ পুরো চ্যানেলটি যাচাই-বাছাই করে তারপর এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য চ্যানেলটিকে নির্বাচন করেন।
সিলভার প্লে বাটন অর্জনের পর রবিন রাফান আরো বড় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের প্রথম কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ‘এআই প্রশিক্ষণ’ প্রগ্রাম চালু করেছেন, যা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে আরো দক্ষ ও ক্রিয়েটিভ করে তুলতে সাহায্য করবে।
এই অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৩০০-এর অধিক কনটেন্ট ক্রিয়েটর নিবন্ধন করেছেন, যার মধ্যে শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও অনেক ইউটিউবার অংশগ্রহণ করেছেন। এটি প্রমাণ করে যে, এআই ভিত্তিক কনটেন্ট নির্মাণ নিয়ে সবার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিন রাফানের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ৩.৫ মিলিয়নেরও ফলোয়ার রয়েছেন।
গত কয়েক মাস ধরে সেই অফিসের ফেসবুক পেজে ‘এ আই’ তৈরি করা কনটেন্টগুলো মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে। তার সঙ্গে আরো অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটররা যোগাযোগ করেন যেন তিনি এআই নিয়ে সবার জন্য একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। আর সেই চাহিদা পূরণে বিশ্বব্যাপী বাঙালি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে আরো বেশি ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট বানানোর লক্ষ্যে তিনি এই অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছেন। প্রথম এই অনলাইন ওয়ার্কশপে বিশ্বব্যাপী ৫০০ জন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে প্রশিক্ষণ দিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিন রাফান ভবিষ্যতে তার ইউটিউব একাডেমির মাধ্যমে আরো উন্নত প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করতে চান, যাতে কনটেন্ট নির্মাতারা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শিখে আরো কার্যকরভাবে কাজ করতে পারেন।
তার লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং তাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটে আরো প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা। তার সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকলে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরো অনেক সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর গড়ে উঠবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।