লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রের মুখে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অপহরণ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রের মুখে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অপহরণ
রুবেল হোসেন

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রুবেল হোসেনকে (৩২) মুখোশধারী দূর্বৃত্তরা অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বটতলী গ্রাম থেকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে তাকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আরো পড়ুন
আরো অনিশ্চয়তার পথে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, সংকট সর্বত্র

আরো অনিশ্চয়তার পথে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, সংকট সর্বত্র

 

রুবেল দত্তপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পশ্চিম বটতলী গ্রামের মৃত মহি উদ্দিনের ছেলে।

তিনি পরিবহন ও মাটি ব্যবসায়ী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রুবেল রাত সাড়ে ৯টার দিকে মান্দারী বাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মুখোশধারী দূর্বৃত্তরা আগ্নোয়াস্ত্রের মুখে রুবেলকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তবে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।

 

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ

যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ

 

সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মো. মিন্টু বলেন, মান্দারী থেকে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুর ডিলারের বাড়ির পাশে পৌঁছেলে মুখ বাঁধা ৪-৫ ব্যক্তি সিএনজি থামায়। এসময় অস্ত্র ঠেকিয়ে তারা রুবেলকে নিয়ে গেছে। বাধা দিলে অস্ত্র ধরে আমাদের হুমকি দেয়।

রুবেলের ভগ্নিপতি ইউছুফ আমিন জানান, অপহরণের ঘটনা শুনে আমরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করছি।

ঘটনাটি থানা পুলিশ, সেনাবাহিনীকেও জানিয়েছি। 

ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে জানিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাউছার বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপহৃতকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

১৭ বছর পর নিজ বাড়িতে বাবর, জনসাধারণের ভালোবাসায় সিক্ত

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
শেয়ার
১৭ বছর পর নিজ বাড়িতে বাবর, জনসাধারণের ভালোবাসায় সিক্ত
দীর্ঘ ১৭ বছর পর নিজ বাড়িতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর নিজ গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার মদনে আসলেন সাবেক সফল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। রাত সাড়ে ১০টায় তিনি নিজ জন্মভূমি পৌরসভার বাড়িভাদেরা গ্রামে এসে পৌঁছান। এ সময় হাজারো জনসাধারণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। সন্ধ্যা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার পাশে লোকজন দাঁড়িয়ে থাকেন বাবরকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে লুৎফুজ্জামান বাবরকে নেত্রকোনার ঐতিহাসিক মুক্তার পাড়া মাঠে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। পরে তিনি মদনপুর শাহসুলতান কমর উদ্দিন রুমী (র.) এর মাজার জিয়ারত করে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। প্রিয় নেতাকে এক পলক দেখার জন্য হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা সন্ধ্যা থেকে নিজ উপজেলায় একে একে জড়ো হতে থাকে। রাত সাড়ে ১০টায় নেতাকে দেখে অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।

২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি ৩০ জানুয়ারি সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে যান। পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ২১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেন। 

লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

পরে ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এমপি নির্বাচিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বার বার জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মন্তব্য

অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, প্রাণ গেল দুজনের

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, প্রাণ গেল দুজনের
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় একজন ও রাত ১১টায় আরেকজন রাজধানীর আলাদা দুইটি হাসপাতালে মারা যান।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট-কাচিনা সড়কে শৈলাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- অনিক মণ্ডল (২৫) ও রিয়াদ মণ্ডল (২২)।

 নিহত অনিক শ্রীপুর উপজেলার শৈলাট গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে ও রিয়াদ একই গ্রামের শামীম আল মামুনের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাত ভাই।

তাদের আরেক চাচাত ভাই মাজেদুর রহমান রায়হান জানান, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অনিক ও রিয়াদ শৈলাট বাজার থেকে কাচিনা যাচ্ছিলেন। পথে শৈলাট শিপ্রা কারখানার সামনে পৌঁছার পর একটি ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে কয়েক ফুট দূরে ছিটকে পড়েন তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে মাওনা চৌরাস্তায় বেসরকারি একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে অনিককে রাজধানীর জাতীয় স্নায়ুবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে এবং রিয়াদকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনিক রাত সাড়ে ১০টায় ও রিয়াদ রাত ১১টায় মারা যান।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘটনা জেনে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে তদন্ত করেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য

স্কুলে না গিয়েও বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেয়ার
স্কুলে না গিয়েও বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
মীর রফিকুল ইসলাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত বাঞ্ছারামপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে না এসেও স্কুলের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করাসহ বেতন ভাতাদি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করেই ওই প্রধান শিক্ষক গত ৬ মাস ধরে অনৈতিকভাবে এসব সুযোগ সুবিধা নিয়মিত তুলে নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মীর রফিকুল ইসলাম ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই যোগদান করেন।

অভিয়োগ পাওয়া যায়, যোগদানের পর থেকেই তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার ইচ্ছে মতো বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন। 

স্থানীয়রা জানান, তিনি বিগত সরকারের অন্ধ ভক্ত। ফলে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে তিনি তার ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। যার ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে তিনি  কখনো সেভাবে পাঠদান করাতে পারতেন না।

 

স্থানীয় অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, সাবেক আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ এবিএম তাজুল ইসলামের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এই প্রধান শিক্ষক গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তিনি একাধিক মামলার আসামিও হন। কিন্তু দুঃখজনক হলো, তিনি গত ৬ মাস ধরে বিদ্যালয়ে না এসেও সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে প্রতিনিয়ত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নির্বিঘ্নে তুলে নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ‘আমরা স্কুলের হেড স্যারকে গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিগত ৬ মাস ধরে এক দিনের জন্যও বিদ্যালয়ে আসতে দেখিনি।

ফলে আমাদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটাসহ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূণ্যতা বিরাজ করছে।’

মৌখিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার সাহা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকেই তিনি ‍বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় লেখাপড়ায় বিঘ্নতো ঘটছেই। তবে হাজিরা খাতায় কখন তিনি স্বাক্ষর করেন- এটি আমি বলতে পারব না। তবে দীর্ঘদিন স্কুলে না থাকায় বিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রমে বেশ বিঘ্ন ঘটছে, এটি সত্য।’

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মূসা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মাঝে মধ্যে আমরাও স্কুলে এসে পাই না।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথাও বলেছি। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মীর রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। 

তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ রবিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তিনি ৬ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত এ অভিযোগ সঠিক নয়। আমার জানা মতে, তিনি মেডিক্যাল ছুটিতে আছেন এবং ওমরা হজ্বে গিয়েছিলেন।’

তিনি কতদিনের মেডিক্যাল ছুটি নিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, ‘প্রধান শিক্ষক এক মাসের জন্য মেডিক্যাল নিয়েছেন।’

কিন্তু অভিযোগ আছে, তিনি (প্রধান শিক্ষক) গত ৫ আগস্ট থেকে বিদ্যালয়ে ৬ মাস ধরে অনুপস্থিত! এরপরও তিনি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন কিভাবে? এ প্রশ্ন করা হলে, শিক্ষা কর্মকর্তা কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

পরে এ নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শামসুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি তেমন কিছুই জানি না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোর্শেদুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমি ছুটিতে আছি। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা, সেটি না দেখে বলতে পারব না।’

মন্তব্য

সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ
ছবি: কালের কণ্ঠ

সাভারের হেমায়েতপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় লাগা আগুনে দগ্ধ হয়েছে নারী-শিশুসহ অন্তত ৭ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুর নালিয়াশুর এলাকার নোয়াব আলীর বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধরা হলেন- জিসান (২০), সোলেমান (১৮), শিল্পী (৪০) তার ছেলে সজীব (৭), হালিমা আক্তার (৪০), আমেনা বেগম (৬০) ও সুজাত মোল্লা (২৭)।

তারা সবাই আত্মীয়-স্বজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে দগ্ধদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

আহত রোগী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যায় বাড়িতে আসা অতিথিদের বিদায় জানাতে পরিবারের সদস্যরা বাহিরে যায়। এসময় তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে গ্যাসের গন্ধ পান তারা।

এর কিছুক্ষণ পর সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে আশেপাশে থাকা শিশু ও নারীসহ ৭ জন অগ্নিদগ্ধ হন। এসময় প্রতিবেশীরা দগ্ধদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

যোগাযোগ করলে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার পলাশ বলেন, সাভারের হেমায়েতপুর থেকে নারী ও শিশুসহ অগ্নিদগ্ধ ৭ জনকে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়েছে। তারা বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ