বিশেষ অভিযানে আ. লীগের ৩ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিশেষ অভিযানে আ. লীগের ৩ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩০
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামে নগর পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাসহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত সময়ে নগরের বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সিএমপির বিভিন্ন থানায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী/পরিকল্পনাকারী/সহযোগী ৩০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।

 

আরো পড়ুন
নিজের লেখা বই নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

নিজের লেখা বই নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. আনোয়ার হোসেন, হারুনুর রশিদ, আশিষ কুমার নাথ, মো. নওশেদ আলম, মো. মুন্না, ফয়েজ উল্লাহ ফয়সাল প্রকাশ কিং ফয়সল, বশির উদ্দিন সোহেল, মোস্তফা কামাল, মো. আকিব, মো. আজিজ, রিয়াজ সরকার, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার খন্দকার, তৌহিদুল ইসলাম, আবরার হোসেন শাহারিয়া, জাহেদুল ইসলাম, জাহিদুল আলম জাহিদ, মোহাম্মদ ওসমান, আক্তারুজ্জামান চৌধুরী, মোহাম্মদ রাব্বি, হারুনুর রশিদ, মোসলেম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মো. আকাশ, করিম উদ্দিন, মো. ইসরাফিল, বিকাশ চাকমা, মো. ফরহাদ, মো. জাহাঙ্গীর ও মো. রিপন। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফেনীতে ২২ কেজি গাঁজাসহ দুই নারী আটক

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী প্রতিনিধি
শেয়ার
ফেনীতে ২২ কেজি গাঁজাসহ দুই নারী আটক
সংগৃহীত ছবি

ফেনীর মহিপালে ২২ কেজি গাঁজাসহ দুই নারীকে আটক করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍‍্যাব)। রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে ফেনীর মহিপাল বাস স্টেশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন—কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার পাইপ বাগান এলাকার কাদের হোসেনের মেয়ে রশিদা বেগম (৬০) ও একই এলাকার আবদুর শুক্কুরের মেয়ে সুফিয়া খাতুন (৪৫)।

র‍্যাব জানায়, রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক পাচারের খবর পেয়ে উপজেলার বাস স্টেশন এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব।

এ সময়  চট্টগ্রাম গামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সামনে ২ নারীসহ একটি সিএনজি এসে দাঁড়ায়। সিএনজিতে থাকা নারীরা র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‍্যাব সদস্যরা দুই নারীকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিএনজিতে তল্লাশি চালিয়ে ২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ফেনী র‌্যাব-৭ এর মিডিয়া ইউং সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফফর হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, আটককৃতরা কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ করে সু কৌশলে চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার আশপাশের এলাকায় বিক্রি করে আসছিল।

ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের ও আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুজ্জামান বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

মন্তব্য

সাভারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগী গ্রেপ্তার

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
সাভারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগী গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

হত্যা মামলায় সাভারের সাবেক উপজেলা চেয়্যারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিবের একান্ত সহযোগী মামুনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা উত্তর (ডিবি) পুলিশ।

মামুন সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ভরারী এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ মো. জালাল উদ্দীন বলেন, জুলাই আন্দোলনে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে ছাত্র-জনতার হামলা চালিয়ে হত্যার মামলাসহ মামুনের বিরুদ্ধে সাভারের হেমায়েতপুর ভরারী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে জমি দখলসহ একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মন্তব্য

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় বৃদ্ধকে পেটালেন যুবদল নেতা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
শেয়ার
ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় বৃদ্ধকে পেটালেন যুবদল নেতা
সংগৃহীত ছবি

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সাকের খান নামের এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে স্বজনরা উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত বৃদ্ধ হক মিয়া (৬০) একই ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত ডেন্ডু মিয়ার ছেলে।

অভিযুক্ত সাকের খান ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা। তিনি প্রায় এক যুগ আগে মদন উপজেলা তিয়শ্রী গ্রামে বিয়ে করে ঘর জামাই থেকে যান। পরে মদন উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পান তিনি। এর আগেও সাকের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
 

স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানায়, হক মিয়া একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে তার সংসার। নিজের ৩ শতাংশ বসতভিটে ছাড়া কোনো জমিও নেই। সরকারি একটি ঘর পেতে তথাকথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারী ও যুবদল নেতা সাকের খানকে ৪ বছর আগে ১৪ হাজার টাকা ঘুষ দেন।

৪ বছর ধরে ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বৃদ্ধকে মাসের পর মাস ঘুরিয়েছেন। ঘর না দিতে পেরে সম্প্রতি ঘুষের ৩ হাজার টাকা ফেরতও দিয়েছে। বাকি টাকা দিই দিচ্ছি বলে সময় অতিবাহিত করছেন।

আরো পড়ুন
‘কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে জামাইকে নিয়ে আসব’—সাজ্জাদের স্ত্রী

‘কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে জামাইকে নিয়ে আসব’—সাজ্জাদের স্ত্রী

 

শনিবার বিকেলে বৃদ্ধ হক মিয়া টাকা চাইতে তিয়শ্রী গ্রামে সাকের খানের শ্বশুর বাড়িতে যান। টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাকের খান ওই বৃদ্ধকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে।

পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা আহত বৃদ্ধকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, সাকের খান ঘর জামাই থাকেন। সে নানা অপকর্মের সঙ্গে তিনি জড়িত। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্যসহ সব ধরনের অপরাধ করে গেছেন। এর আগে ২০১৯ সালে মামলা তদবির করার জন্য নায়েকপুর গ্রামের হাসিম উদ্দিম নামের বৃদ্ধের কাছ থেকে ঘুষ নেন। কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করায় পাওনা টাকা ফেরত চাইলে পিতা-পুত্রকে পিটিয়ে আহত করেছিল। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ হলেও বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। বিভিন্ন অফিসেও নানা অপকর্ম করায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও সংশ্লিষ্টরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বার বার অপকর্ম করলেও কোন শাস্তি না হওয়ায় এখন তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। 

ভুক্তভোগী হক মিয়া জানান, আমি গরীব মানুষ। ঘর দিবে বলে সাকের খান ১৪ হাজার টাকা ঘুষ নেন। ৪ বছর ঘুরে ৩ হাজার টাকা ফেরত নিয়েছি। বাকি টাকা ফেরত চাওয়ায় আমাকে মারপিট করেছে। আমি তার বিচার চাই।  

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাকের খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

তবে মদন উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম রাসেল রুবেল বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। আহত হক মিয়ার স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। টাকার লেনদেন পরিশোধ করে বিষয়টি সমাধান করার জন্য তাদের বলেছি। 

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


 

মন্তব্য

রাত ৮টার ট্রেন ছাড়ে ভোরে, ভোরেরটি বিকেলে!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
রাত ৮টার ট্রেন ছাড়ে ভোরে, ভোরেরটি বিকেলে!
ছবি: কালের কণ্ঠ

রেলপথে সিলেট থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার। সিলেট-ঢাকা-সিলেট পথে চলা একমাত্র মেইল ট্র্রেনটির নাম ‘সুরমা মেইল’। চলার পথে ট্রেনটি ৫০টির মতো স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়।

আজ রবিবার সিলেট থেকে ঢাকা অভিমুখী ট্রেনটিতে যাত্রীদের জন্য ছিল মাত্র দেড়টি বগি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনটি ১০ ঘণ্টার বেশি বিলম্বে পৌঁছায়। ঢাকা যেতে ট্রেনটির বিলম্ব আরো বাড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে দেখা যায়, ট্রেনটির মোট ছয়টি বগির মধ্যে তিনটিই মালবাহী। একটিতে রেলওয়ে মেইল সার্ভিসের (আরএমএস) বিশেষ বগি।

একটির অর্ধেক বগিতে গার্ড ব্রেক ও মালামাল রাখার জায়গা। বাকি দেড় বগি যাত্রীদের বসার জন্য বরাদ্দ। যাতে সিট আছে ১০০টির মতো। বসে ও দাঁড়িয়ে মাত্র দুই থেকে আড়াই শ যাত্রী একসঙ্গে যাতায়ত করতে পারে ট্রেনটিতে।

৯ ঘণ্টার বেশি বিলম্বে ট্রেনটি দুপুর ২টা ৯ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে প্রবেশ করে। লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ঘুরিয়ে ট্রেনটি বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বেলা পৌনে ৪টায় ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছাড়ে।

চলার পথে যাত্রীরা তাদের দুর্ভোগের কথা জানান। একইসঙ্গে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের দাবিও করেন তারা।

এটিকে ভোগান্তির ট্রেন উল্লেখ করেন একাধিক যাত্রী। তারা ‘নিরাপদ বাহন’ হিসেবে পরিচিত ট্রেনকে আরো ভালো সার্ভিস দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এত বেশি দূরত্বে চলাচলকারী একটি ট্রেনে মাত্র দেড় বগি যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখার বিষয়টি তারা ‘হাস্যকর’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, একই ট্রেন, অর্থাৎ একটি রেক সিলেট-ঢাকা-সিলেট পথে চলাচল করে। যে কারণে প্রায়ই বেশ বিলম্ব হয়। ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকা ও সিলেট থেকে ছেড়ে যায়। সিলেট থেকে রাত ৮টা ২০ মিনিটে ও ঢাকা থেকে সোয়া ৯টায় ছাড়ে ট্রেনটি। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছার পর আবার ফিরতি পথে যায়। শনিবার দুপুরে সিলেট পৌঁছার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পৌঁছায় ট্রেনটি। যে কারণে ফেরার নির্ধারিত সময় ৮টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি সিলেট থেকে ছাড়তে পারেনি।

আরো পড়ুন
সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা

সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা

 

ট্রেনযাত্রী মো. জামাল জানান, তিনি মাজার জিয়ারত করতে ঢাকা থেকে সিলেট যান। সুরমা মেইল ট্রেনটি শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা। সেই থেকে তিনি অপেক্ষা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভোর ৪টায় ট্রেনটি সিলেট থেকে ছাড়ে। পথে বেশিরভাগ স্টেশনেই এটি যাত্রাবিরতি দেয় এবং অনেক স্টেশনেই দীর্ঘ সময় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এ কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। কখন ঢাকায় পৌঁছাবে তার কোনো ঠিক নেই।’

মো. জামির হোসেন নামে আরেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ট্রেনে খুব বিরক্ত লাগছে। এই রোজার মধ্যে খুব কষ্ট হচ্ছে। ট্রেন কখন ঢাকায় পৌঁছাবে এর কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। এভাবে চললে ট্রেনের প্রতি মানুষের ভরসা উঠে যাবে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে কথা হয় ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ট্রেনটি শনিবার নির্ধারিত সময় থেকে অনেক দেরিতে সিলেট পৌঁছায়। যে কারণে আসার পথেও দেরি হয়। আখাউড়া থেকে ভোর ৫টার আগে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি বিকেল ৩টায় ছাড়ে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ