খুলনা

নিরাপত্তা নেই খোদ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানেরই, ৬০ লাখ টাকা চুরি

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
নিরাপত্তা নেই খোদ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানেরই, ৬০ লাখ টাকা চুরি

যাদের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব তারাই নিরাপদ নয়। খোদ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান থেকেই ৬০ লাখ টাকা চুরি হয়ে গেল। ঈদের লম্বা ছুটির প্রাক্কালেই এমন ঘটনাটি ঘটল খুলনায়। আর এর সঙ্গে জড়িতও ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ৩ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সিকিউরেক্স প্রাইভেট কম্পানীতে-এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। মধ্যরাতে ওই অফিস থেকে পুলিশ একজনকে হেফাজতে নিয়েছে।

পুলিশ জানায়, সিকিউরেক্স প্রাইভেট কম্পানীর এটিএম অপারেটর মো. রফিকুল ইসলাম ও সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. শফিকুল ইসলাম নগরীর শিববাড়ি মোড়ের ব্যাংক এশিয়া থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় ৬০ লাখ টাকা নিয়ে অফিসের ক্যাশ বক্সে রেখে আরো ছয় কোটি টাকা আনার জন্য অন্য আরেক ব্যাংকের দিকে যান।

এসময় ওই ক্যাশ বাক্সটি পাশের রুমের সিকিউরিটি মো. মিলন সরদারকে পাহারা দেওয়ার জন্য বলে যান তারা। 

ইসলামী ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আবারো ওই প্রতিষ্ঠানে ফিরে দেখেন, ক্যাশবক্সে রেখে যাওয়া ৬০ লাখ টাকা নেই। বিষয়টি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ সেখানে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে।

ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা ৫৭ মিনিটের দিকে উক্ত সিকিউরিটি কম্পানীর ড্রাইভার মো. রবিউল ইসলাম আরো একজন ব্যক্তিকে নিয়ে সেখানে প্রবেশ করে।

কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ডকে ৫০০ টাকা দিয়ে দোকান থেকে কিছু একটা আনতে পাঠায় সে। সিকিউরিটি গার্ড বাইরে যাওয়ামাত্রই ড্রাইভার রবিউল ও তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত পরিচয়ধারী ব্যক্তি ক্যাশ বাক্সের তালা খুলে ৬০ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যান। 

সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর পুলিশ ড্রাইভার রবিউল ইসলামকে তাদের হেফাজতে নেয়। ড্রাইভার রবিউল খুলনা জেলার ডুমুরিয়া এলাকার সেনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রাত ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেএমপির সোনাডাঙ্গা থানায় মামলার প্রস্তুতি
চলছিল।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চাচার হাঁসুয়ার কোপে ভাতিজা নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শেয়ার
চাচার হাঁসুয়ার কোপে ভাতিজা নিহত
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে চাচার হাঁসুয়ার কোপে ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার আঁচুয়াভাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ওই যুবকের নাম কাওসার আহমেদ রকি (২৭)। তার বাবার নাম মজিবর রহমান।

ঘটনার পর পালিয়েছেন তার চাচা রবিউল ইসলাম (৩০)। 

গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কাওসার আহমেদ ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঈদ করতে বাড়ি এসেছিলেন।

দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে চাচা রবিউল ইসলামের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হচ্ছিল। একপর্যায়ে চাচা রবিউল ইসলাম হাঁসুয়া দিয়ে কাওসার আহমেদকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা কাওসারকে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে কাওসারের মৃত্যু হয়। 

ওসি জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনার পর পালিয়েছেন চাচা রবিউল ইসলাম। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান ওসি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বত্রিশের আগুন যমুনায় লাগতে পারে : রাশেদ খাঁন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
বত্রিশের আগুন যমুনায় লাগতে পারে : রাশেদ খাঁন
ছবি: কালের কণ্ঠ

বত্রিশের আগুন যমুনায় লাগতে পারে বলে মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘ধানমিন্ড বত্রিশ নাম্বার এবং সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে যে তাণ্ডব শুরু হয়েছিল তা বন্ধ করতে বলেছিলাম। অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও এ ধরনের অরাজকতা চললে সরকার স্থিতিশীল হতে পারবে না।'

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঝিনাইদহ শহরতলীর মুরারিদহ এলাকায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
সংস্কার ও নির্বাচন আলাদা জিনিস না : মির্জা ফখরুল

সংস্কার ও নির্বাচন আলাদা জিনিস না : মির্জা ফখরুল

তিনি বলেন, ‘একটা মব শুরু হয়েছিল।

ওই মবটা যখন যমুনা পর্যন্ত চলে গেল তখন ডিএমপির পক্ষ থেকে শাহবাগ, যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। এসব বিষয় নিয়ে অনেকে কথা বলতে চান না। অনেকে মনে করেন, এই মুহুর্তে তাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা। কথা বললে সাইবার অ্যাটাক হতে পারে, সাইবার বুলিং হতে পারে।
তবে আমার মনে হয়, যেটা সত্য সেটা বলতে হবে।’

রাশেদ খাঁন আরো বলেন, ‘আজকে হয়তো মানুষ মনে করছে যে আমি ভুল বলছি। আগামীকাল, পরশুদিন বা ছয় মাস পর গিয়ে আমার এই বক্তব্য যে সঠিক ছিল সেটা বলবে না, এর কোনো নিশ্চয়তা আছে। আগে থেকেই আমি ও আমাদের সভাপতি নুরুল হক নুর এসব বিষয়ে কথা বলেছি।

পরে গিয়ে অনেক বিষয় সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।’

আরো পড়ুন
‘আমাদের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে’

‘আমাদের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে’

মন্তব্য

হিলি শূন্যরেখায় দর্শনার্থীদের মিলনমেলা

হিলি প্রতিনিধি
হিলি প্রতিনিধি
শেয়ার
হিলি শূন্যরেখায় দর্শনার্থীদের মিলনমেলা
হিলি শূন্যরেখায় দর্শনার্থীদের মিলনমেলা

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখা দর্শনার্থীদের পদচারণায় মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে অনেক মানুষ ভিড় করছেন ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হিলি রেলওয়ে স্টেশন এলাকায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে অনেকেই এসেছেন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে। আবার কেউবা আসছেন ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে।

তবে বিজিবির বাধার কারণে সীমান্তের শূন্যরেখায় মিলিত হতে না পেরে মন খারাপ করেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে অনেককে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের নামাজের পর পর হিলি সীমান্ত ও রেলস্টেশন এলাকায় মানুষ ভিড় করতে শুরু করেন। বেলা যত বাড়তে থাকে তত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল, অটোভ্যান রিকশা, কার, মাইক্রোবাস ও বাস নিয়ে দর্শনার্থীরা আসেন হিলি সীমান্ত দেখতে।

সীমান্ত ঘুরে দেখার পাশাপাশি দুদেশের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া রেললাইনও ঘুরে দেখছেন তারা।এ সময় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে দূর থেকে ভারতে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে আকার-ইঙ্গিতে কথা ও মনের ভাব প্রকাশ করছেন তারা।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসা জটিলতার কারণে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার আগের তুলনায় কমেছে। আগে ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রী পারাপার করলেও এখন তা কমে এসেছে।

গতকাল ১০৪ জন যাত্রী পারাপার করেছে। আজ এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মতো যাতায়াত করেছে।

তিনি আরো বলেন, ঈদ ঘিরে সীমান্তে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই সীমান্ত এলাকা দেখার জন্য আসছেন, আবার অনেকে ভারতে তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য আসছেন। সীমান্তের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে হাত নেড়ে মনের ভাব প্রকাশ করে চলে যাচ্ছেন।

ঈদের দিন থেকেই মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মন্তব্য

‘আমাদের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে’

রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘আমাদের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে’
ঈদের দিন বিকেলে শহীদ রাকিবের কবর জিয়ারত করেন মা-বাবা ও তার ভাই। ছবি : কালের কণ্ঠ

‘আমার বুকের ধন কবরে শুয়ে আছে। রাকিবকে হারিয়ে আমাদের জীবনের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে। আমাদের কোনো ঈদ নেই, কোনো আনন্দ নেই। আজ রাকিব বেঁচে থাকলে একসঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতাম।

কথাগুলো বলেছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ রাকিব বেপারীর মা রাশিদা বেগম।
গত বছরের ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন রাকিব বেপারী।

গতকাল ঈদের বিকেল রাবিকের কবরের পাশেই দিনের অধিকাংশ সময় কেটেছে মা-বাবার।

গত ঈদ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে করেছিলেন রাকিব।

'ফতুল্লা বাজার জামে মসজিদ'-এ বাবা ও ভাইকে নিয়ে ঈদের নামাজ পড়েছিলেন। এবার রাকিবকে ছাড়া সেই মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে যান বাবা মোশারেফ হোসেন। নামাজ শেষে ছেলের কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়ায় রাকিবের কবর জিয়ারত করতে চলে আসেন মোশারেফ।

ছেলের কবর জিয়ারত শেষে বাবা মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘বাবার কাঁধে সন্তানের লাশের চেয়ে পৃথিবীতে ভারী আর কিছু নেই। কিছুতেই এই শোক সইতে পারছি না। সবার কাছে আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই। আল্লাহ যেন ওকে জান্নাতবাসী করেন।’

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত বছরের ২১ জুলাই সকালে রাকিব ফতুল্লার পোস্ট অফিস এলাকায় বাজার করতে বের হন।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন পোশাক শ্রমিক রাকিব বেপারী। ওই দিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খানপুর হাসপাতালে গিয়ে রাকিবের লাশ শনাক্ত করেন বাবা মোশারেফ হোসেন।

শহীদ হওয়ার চার মাস আগে প্রেমিকা জান্নাতকে বিয়ে করেছিলেন রাকিব। বিয়ের চার মাসের মাথায় স্বামীর মৃত্যুতে শোকে ভেঙেন পড়েন স্ত্রীও। ভেঙে যায় স্বপ্নের ‘সুখের ঘর’। এতিম জান্নাত ফিরে যান নানির কাছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ