পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
সংগৃহীত ছবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সব ধর্ষণের বিচারের দাবিতে গণপদযাত্রা করছেন ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্ল্যাটফরম’-এর সদস্যরা। ‘আইন-শৃঙ্খলার অবনতিতে ব্যর্থতা’র দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন তারা। 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরের ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের পাশে পৌঁছলে পুলিশ প্রথমে তাতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়।

দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। পদযাত্রা থেকে শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশের ওপর ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থামানো হয় এবং বলা হয় একটি ছোট প্রতিনিধিদল নিয়ে স্মারকলিপি দিতে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবং একজন পুলিশ সদস্যের ওপর চড়াও হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।

পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের দাবি, তাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সংঘর্ষে পুলিশেরও কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা সারা দেশে অব্যাহত আইন-শৃঙ্খলার অবনতির দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।

একই সঙ্গে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মাগুরায় শিশু ধর্ষণকারীর বিচার দাবি করছি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অপহরণের দুদিন পর মিলল হামিম গ্রুপের কর্মকর্তার লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অপহরণের দুদিন পর মিলল হামিম গ্রুপের কর্মকর্তার লাশ
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সেখানকার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত কর্মকর্তার নাম, আহসান উল্লাহ। তার লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ বলছে, আহসান উল্লাহকে হত্যার পর রাস্তার পাশে কাশবনে ফেলে রাখা হয়েছিল। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র বলছে, আহসান উল্লাহ হাসান হা-মীম ‘গ্রুপের দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেডের’ মহাব্যবস্থাপক। তাঁর বাসা তুরাগ থানা এলাকার চন্ডালভোগে।

বাসা থেকে নিজস্ব গাড়িতে আশুলিয়ায় অফিসে যাতায়াত করতেন। প্রতিদিনের মতো গত রবিবার সকালে কম্পানির কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক সাইফুল ইসলাম। সাইফুল আট মাস ধরে এই গাড়ি চালান।
অফিসের কাজ শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি গাড়িতে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। ৪টায় তাঁর স্ত্রী লুৎফুন নাহার তাঁকে ফোন করলে অপরপ্রান্ত থেকে কল কেটে দেওয়া হয়। ইফতারের আগে লুৎফুন নাহার পুনরায় ফোন করেও স্বামীকে পাননি। এরপর খোঁজ নেওয়ার জন্য চালক সাইফুলকে ফোন করেন। সাইফুল তাঁকে জানান, আহসান উল্লাহকে নিয়ে মিরপুরে অবস্থান করছেন।
তাঁর কাছে ফোন দিতে বললে, চালক বলেন, ‘স্যার মিটিং করছেন।’ রাত ৮টায়ও বাসায় না ফেরায় আবার আহসান উল্লাহকে ফোন করেন লুৎফুন নাহার। তখন ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর সাইফুলকে ফোন করলে তিনি জানান, আহসান উল্লাহ উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে একজনের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। তাঁকে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেছেন। রাতে তিনি বাসায় গাড়ি রেখে চলে যান।

একপর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে আহসান উল্লাহর সন্ধান শুরু করেন স্বজনরা। এরপর কোথাও না পেয়ে সোমবার ভোরে তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। 

এদিন সকালেই চালক সাইফুল চন্ডালভোগ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পালিয়ে যান জানিয়ে পারিবারিক সূত্র বলছে, তাঁর ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

এ ঘটনায় সাইফুলকে আসামি করে লুৎফুন নাহার বাদী হয়ে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেছেন।

তুরাগ থানার ওসি রাহাত খান বলেন, জিডি হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চালানো হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় খবর পাওয়া যায়, ১৬ নম্বর সেক্টরে কাশবনের ভেতরে একজনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর জানা যায়, তিনি আহসান উল্লাহ। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র বলছে, আহসান উল্লাহকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে অপহরণ এবং হত্যা করা হতে পারে। তাঁর এটিএম কার্ড থেকে ব্যাংকের বুথ থেকে কয়েকবার টাকা উঠানো হয়েছে। চালক সাইফুল এ ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে সন্দেহ পুলিশের। ব্যক্তিগত চালক হওয়ায় সাইফুল যে কোনো উপায়ে এটিএম কার্ডের গোপন নম্বর জেনে থাকতে পারেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করলে সব রহস্য উদঘাটন হবে বলে ধারণা করছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য

মহাখালীতে সাংবাদিকের ওপর শ্রমিকদের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মহাখালীতে সাংবাদিকের ওপর শ্রমিকদের হামলা
সংগৃহীত ছবি

ঢাকার মহাখালীতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিক ওবায়দুর মাসুমের ওপর হামলা চালিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার মহাখালীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ওই সাংবাদিকের ওপর হামলা চালান স্থানীয় বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিকরা। এতে আহত হন তিনি।

ওবায়দুর মাসুম অনলাইন গণমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র করেসপনডেন্ট হিসেবে কর্মরত। তার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম।

এ ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মাসুম বলেন, ‘সকালে মহাখালীতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কার্যালয় থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের দিকে যাচ্ছিলাম।

পথে দেখতে পাই, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে রাস্তায় একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে পরিবহন শ্রমিকরা মারধর করছে।’

‘তা দেখে মোটরসাইকেল থামিয়ে আমি ছবি তোলার জন্য মোবাইল বের করি। আর ওই ব্যক্তিকে কেন মারধর করা হচ্ছে তা জানতে চাই। এরপর পরিবহন শ্রমিকরা উল্টো আমার ওপর চড়াও হয়।

সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও বেশ কয়েকজন আমাকে ঘিরে ধরে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে চারপাশ থেকে কিল, লাথি, ঘুষি দিতে থাকে।’

এক পর্যায়ে সাহায্যের জন্য সেখানে থাকা দুজন পুলিশের কাছে দৌঁড়ে যান জানিয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই পুলিশ সদস্যরাও দূরে সরে যায়। সেখান থেকে কোনোমতে বের হয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যাই।

এ ঘটনায় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। তবে বেশি আঘাত পেয়েছি ঘাড়ে।’

হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‘ওবায়দুর মাসুমের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

মন্তব্য

পুলিশকে মারধরের অভিযোগ, আ. লীগ নেতাসহ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পুলিশকে মারধরের অভিযোগ, আ. লীগ নেতাসহ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশকে মারধর করে পালিয়ে যাওয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা গোলাম মোস্তফাকে (৫৮) গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান বলেন, পলাতক গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করতে  অভিযান অব্যাহত আছে।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যাসহ পাঁচটি মামলার আসামি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা গোলাম মোস্তফাকে গত ১২ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে হাতকড়া পরানোর পর পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছাড়িয়ে নেয় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় কয়েকজন পুলিশ আহতও হন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় সরকারি কাজে বাধা দান ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলা হয়েছে।

তবে গোলাম মোস্তফাসহ হামলাকারী কেউই এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ওসমান মাসুম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

আরো পড়ুন
ঈদের আগেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আহ্বান এনসিপির

ঈদের আগেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আহ্বান এনসিপির

 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অ্যাভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে থেকে আসামি আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য গোলাম মোস্তফাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। এই সময়ে পুলিশের হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যেতে থাকলে মামলার বাদীসহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স তাকে আটক করার চেষ্টা করলে তিনিসহ অন্যরা কিল-ঘুষি মারতে থাকে।

আসামিদের মারপিটের সময়ে গোলাম মোস্তফাকে ছিনিয়ে নিয়ে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। হামলায় পুলিশের এক সদস্য আহত হলে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলায় নেতৃত্ব দেয় ঘটনাস্থলের সামনেই থাকা একটি স্কুলের শিক্ষক কর্মকর্তারা। ঘটনার সময় মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হামলার সামনে ছিল ওই স্কুলের পোশাকধারী নিরাপত্তা-প্রহরীরা। 

আরো পড়ুন
রাতে বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের পর ফেরত

রাতে বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের পর ফেরত

 

পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক গোলাম মোস্তার বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানা (মামলা নং-১৬), রামপুরা থানা (মামলা নং-১৮/১৯৩), বাড্ডা থানা (মামলা নং-১৬), মোহাম্মদপুর থানা (মামলা নং-৬৯(১)২৫), চকবাজার থানা (মামলা নং-৫৬/২৫), পল্লবী থানায় (মামলা নং-১৪৬) হত্যা ও হত্যা চেষ্টার মামলা রয়েছে।

মন্তব্য

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু ও রোগের প্রধান কারণ। ডব্লিউএইচও এফসিটিসির ২০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ৩টায় রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এফসিটিসি বাস্তবায়নে সিভিল সোসাইটির ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন বক্তারা।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন-‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তামাক একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে, তাই এফসিটিসি’র যথাযথ বাস্তবায়ন এবং এতে সিভিল সোসাইটির অংশগ্রহণ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়। এফসিটিসি’র যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এর আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও কঠোর বাস্তবায়নও অত্যন্ত জরুরি।

আরো পড়ুন
গণহত্যা চালিয়েও শেখ হাসিনার অনুশোচনা হয়নি : রিজভী

গণহত্যা চালিয়েও শেখ হাসিনার অনুশোচনা হয়নি : রিজভী

 

আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সভায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস-এর সিনিয়র টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজার সৈয়দ মাহবুবুল আলম ও টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজার আমিনুল ইসলাম সুজন, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান, মাদক বিরোধী সংগঠন প্রত্যাশার হেলাল আহমেদ, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মো: মোখলেছুর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: শরিফুল ইসলাম, আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা। এ সময় বক্তারা এফসিটিসির শুরু ২০০৩ সাল থেকে অদ্যাবধি এফসিটিসি প্রনয়ণ, পর্যালোচনা ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির যে অনবদ্য ভূমিকা ও অবদান ছিল তার স্মৃতিচারণ করেন। সেই সাথে এফসিটিসির আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রনয়ণে সরকারকে মোবিলাইজ করার ক্ষেত্রেও সিভিল সোসাইটির অংশগ্রহণ অনস্বীকার্য।

এ সময় ইকবাল মাসুদ বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (ডব্লিউএইচও এফসিটিসি) কার্যকর হওয়ার ২০ বছর পূর্ণ করেছে।

এটি একটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা প্রথম আলোচিত এবং দ্রুত জাতিসংঘের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। এফসিটিসির এই চুক্তিতে ১৮৩ টি দেশ স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর করে চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে "তামাক সেবন, নিকোটিন আসক্তি এবং পরোক্ষ ধূমপান নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

আরো পড়ুন
ঈদে নৌপথে সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে কোস্ট গার্ড

ঈদে নৌপথে সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে কোস্ট গার্ড

 

বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে, পঙ্গুত্ববরণ করে বছরে প্রায় ৪ লাখ মানুষ, পরোক্ষ ধূমপানে শিকার ৪২.৭ শতাংশ।

এছাড়াও তামাকপণ্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও কার্যকর ভাবে বাস্তবায়নের অভাবে তামাক কোম্পানির কূটকৌশল ও চটকদার বিজ্ঞাপনের ফলে, তামাকের প্রতি আসক্ত হচ্ছে দেশের তরুণরা। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উচিত তামাক কোম্পানির ছোবল থেকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুরক্ষা প্রদান করা এবং তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন যথাযথ আইন ও এর কঠোর প্রয়োগ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ