এবারের ঈদ যাত্রায় নেই ট্রেনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার চিত্র। নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। ফলে নির্বিঘ্নে বাড়ির পথে রওয়ানা হতে পারছেন যাত্রীরা। শুক্রবার (২৮ মার্চ) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এবারের ঈদ যাত্রায় নেই ট্রেনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার চিত্র। নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। ফলে নির্বিঘ্নে বাড়ির পথে রওয়ানা হতে পারছেন যাত্রীরা। শুক্রবার (২৮ মার্চ) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্টেশনের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের লাইনে রাখা আছে ট্রেনের রেক। কোনো কোনো প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত রেকও রাখা আছে। প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ছে। ট্রেন ছাড়ার পর যেসব প্ল্যাটফর্ম খালি হচ্ছে, সেসব প্লাটফর্মে পরবর্তী ট্রেনগুলোর রেক এনে রাখা হচ্ছে বা কোনো ফিরতি ট্রেনের জন্য খালি রাখা হচ্ছে।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, স্টেশনে ভোগান্তি ছাড়া এমন ঈদযাত্রা কমই পেয়েছেন। স্টেশনের ব্যবস্থাপনায় খুশি তারাও। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রী তাহমিদ জীবন বলেন, আমাদের ট্রেন সাড়ে ১০টায় স্টেশন ছাড়বে।
এক যাত্রী হোসেন বলেন, আগেও ট্রেন ভ্রমণ করেছি। ভোগান্তির শেষ ছিল না। এবার ব্যবস্থাপনা ভালো মনে হচ্ছে। টিকিটবিহীন যাত্রী নেই। আগে দেখা যেত একজনের সিটে আরেকজন বসে আছে। ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি যেতে ভালো লাগছে।
আরেক যাত্রী আদুরি খাতুন বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। এখন শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছি, ঈদের পরের দিন বাবার বাড়িতে যাব। ছেলে-মেয়েরাও খুব খুশি, অনেক দিন পর বাড়ি যাচ্ছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন জানান, ভোর থেকে সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত ১৩টি আন্তঃনগর ট্রেন স্টেশন ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়েই ঢাকা স্টেশন ছেড়েছে।
সম্পর্কিত খবর
রাজধানীর বংশালের বাংলাদেশ মাঠ এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধরা হলেন- রিমঝিম (১৬), মেহেদী হাসান (২৫), সাগর (২৫), ইকবাল (৩৩), নয়ন (২৯) ও অপূর্ব (১৮)।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বংশাল থেকে দগ্ধ অবস্থায় ৬ জনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দগ্ধদের মধ্যে সাগরকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। বাকিদের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঈদের দিনেও কর্মব্যস্ত ছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এদিন হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।
জানা যায়, দেশসেরা এই হাসপাতালে ঈদের দিনেও দুই হাজারের অধিক রোগী ভর্তি রয়েছেন। জরুরি বিভাগের পাশাপাশি অন্তর্বিভাগগুলোও খোলা রয়েছে।
এদিকে সোমবার সকালে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন ও পরিবেশিত খাবারসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমরা ঈদের দিনেও রোগীদের পাশে আছি। আমাদের চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ঈদের দিনে জরুরি বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডাক্তার মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই আমরা হাসপাতালে এসেছি। ঢাকা মেডিক্যাল এদেশের মানুষের কাছে চিকিৎসার শেষ ভরসার জায়গা। স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু কমলেও ঈদের দিনেও এখানে দুই হাজারের বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। রোগীদের জানাতে চাই আমরা সব সময়ই তাদের পাশে আছি। ছুটির দিনেও পরিবার-পরিজন রেখে স্বাস্থ্যসেবার কাজে নিয়োজিত থাকা চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই।
হাসপাতাল পরিদর্শনে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের সদস্য সচিব ডাক্তার জাকারিয়া আল আজিজ এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাহমুদুর রহমান নোমানসহ আরো অনেকেই উপস্থিত থেকে সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঈদ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বাহারুল আলম বিপিএম, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পুলিশ সদস্যদের মেস পরিদর্শন করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
ঈদে ঢাকা ছেড়েছেন বহু মানুষ। গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গেল কয়েক দিন ছিল বাস কাউন্টার, রেল স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে উপচে পড়া ভিড়। তবে সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীর সড়কগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। চিরাচরিত সেই ব্যস্ততা ও গণপরিবহনের ভিড় ছিল না।
দুপুরে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলও তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
দুপুর ৩টার দিকে মিরপুর, বনানী, মহাখালী, বিজয়সরণি, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে রাস্তা অনেকটা ফাঁকা দেখা যায়।
ঈদের দিনে ঢাকার ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া হয়ে চলতে দেখা গেছে বাইকারদের। দিনভরই বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়াভাবে গতির ঝড় তুলতে দেখা গেছে অনেককে।
তবে সকালের দিকে সড়কে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। ঈদের নামাজের জন্য অনেকেই বের হয়েছিলেন। আবার বিকেলের দিকেও মানুষের ভিড় দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।